পুরুলিয়া : প্রায় ১৫ মাস ধরে ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের কুমারী নদীর উপর কদমা এবং নাথুরডির মাঝে অবস্থিত চাকা সেতুর একাংশ । বন্ধ হয়ে রয়েছে ছোট বড় যানবাহন চলাচল । গ্রামে পৌঁছায় না এম্বুলেন্স । দুই প্রান্তের প্রায় ৪০ টিরও বেশি গ্রামের মানুষদের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন । বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জানিয়েও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করে চলছে ঝুঁকির পারাপার । ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা । বেশ কয়েক বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল। গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ । গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সেতুর একাংশ ভেঙ্গে যায় । তারপর থেকেই বাস এবং অন্যান্য চার চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে । দুই প্রান্তের প্রায় ৪০ টিরও বেশি গ্রামের মানুষরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । গ্রাম পঞ্চায়েত, অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ দৈনন্দিন কাজে দুই প্রান্তের মানুষদের যাতায়াত করতে হয় ওই একমাত্র রাস্তা দিয়ে । সেতু ভেঙে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা । যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় গ্রামে পৌঁছায় না এম্বুলেন্স । জরুরী পরিস্থিতিতে প্রায় ৩০ কিমি ঘুরপথে এম্বুলেন্স পৌঁছায় গ্রামগুলিতে। ফলে সেতু নির্মাণের দাবিতে গ্রামবাসীরা পুরুলিয়া জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে গণ আবেদন জানান । কিন্তু বছর ঘুরলেও সেতু নির্মাণ বা মেরামত হয়নি । বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা কুমারী নদীর উপর অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরি করে পারাপার শুরু করেছেন । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী সহ জেলার অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সেতু নির্মাণের আশ্বাস মিললেও তা পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের । যদিও পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সহ সভাধিপতি সুজয় ব্যানার্জী মেনে নিয়েছেন সমস্যার কথা । পুরুলিয়া জেলা পরিষদ তহবিল থেকে প্রায় ৬-৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে সেতু নির্মাণ করা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন তিনি । তবুও আনুমানিক ১০-১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে নদীর পারাপারের জন্য অস্থায়ী ভাবে ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন সুজয় ব্যানার্জী । বছর ঘুরলেও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি বলেন, ৪০ টির বেশী গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়লেও রাজ্য সরকারের ক্ষমতা নেই সেতু নির্মাণ করার । রাজ্য সরকারের পালা বদলের অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ মানুষ । ১) মহাদেব হালদার (এলাকাবাসী) ২) পঙ্কজ মাহাতো (এলাকাবাসী) ৩) সুজয় ব্যানার্জী (সহ সভাধিপতি, পুরুলিয়া জেলা পরিষদ) ৪) জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো (পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ)