*পশ্চিম ডামডিমে হাতি দেখতে গিয়ে বন দপ্তরের ছররা গুলিতে আহত ৮–৯ জন গ্রামবাসী...? বৃহস্পতিবার রাতে মাল ব্লকের পশ্চিম ডামডিম এলাকায় হাতি দেখতে গিয়ে বন দপ্তরের ছররা গুলিতে আহত হলেন প্রায় আট থেকে নয়জন গ্রামবাসী। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ওদলাবাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকলকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর বন দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকা। আহত সঞ্জয় রায় ও নোকুল গোপ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শুধু হাতিটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কোনো কিছু না জানিয়ে বনকর্মীরা আমাদের দিকে ছররা গুলি চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। কারো হাতে, পায়ে, কপালে, পেটে লাগে।” এলাকার বাসিন্দা সুরেশ কেরকাট্টা জানিয়েছেন, তাঁরা বন দপ্তরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। অন্যদিকে, বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই একটি বুনো হাতি পশ্চিম ডামডিম এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সকাল থেকে বনকর্মীরা হাতিটির গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলেন। বন দপ্তরের দাবি, বারবার গ্রামবাসীদের দূরে সরে যেতে বলা হলেও অনেকে কথা শোনেননি। সন্ধ্যার সময় হাতিটি যখন জনতার দিকে তেড়ে আসে, তখন চেল নদীর নিচ থেকে বাধের দিকে আকাশে ছররা গুলি ছোঁড়া হয়। সেই গুলির কিছু অংশে গ্রামবাসীদের শরীরে লাগে। তরঘেরা রেঞ্জার স্বপন কুমার রায় ফোনে জানান , “আমরা তিনটি গাড়িতে ১৫ জন কর্মী নিয়ে উপস্থিত ছিলাম। বহুবার অনুরোধ করেছি যাতে কেউ হাতির কাছে না যায়। কিন্তু কেউ শুনছিল না। হাতিটি যখন হুমকিস্বরূপ আচরণ করে, তখনই আমরা শুন্যে গুলি ছুড়ি। দুর্ভাগ্যবশত কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।” ঘটনার খবর পেয়ে মালবাজার থানার আইসি সৌম্যজিৎ মল্লিক পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছান। তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন ও পরবর্তীতে তাঁদের গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন। এই ঘটনার পর থেকে পশ্চিম ডামডিম এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাইট ১) আহত সঞ্জয় রায়। ২) আহত নোকুল গোপ। ৩) স্থানিয় যুবক সুরেশ কেরকাট্টা। ৪) চিকিৎসক, ওদলাবাড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। ৫) নফসর আলী পরিবেশ প্রেমি।