নদীয়া অনুপ কুমার দাস দুর্নীতির স্টোরি নদিয়ার চাপড়ায় তৃণমূল পরিচালিত চাপড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করলো প্রশাসনের কাছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ শাসক বিরোধী সদস্যদের। কাজ না করেই বহু প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ। পাড়ায় পাড়ায় সমাধান শুরু হলেও বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্নীতি চলছেই।সরকারি গ্রামীন বহু প্রকল্পের বিল পেমেন্ট হয়ে গেছে,অথচ সেইসব কাজ নাকি বাস্তবে হয়নি।পুরনো কাজকে নতুন হিসেবে দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ,২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সরকারি কাজ নিয়ে এমনই বেনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে চাপড়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে,যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে চাপড়ায়। সরকারি বহু প্রকল্পেই এই ধরনের অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ।টাকার অঙ্কে সেই অনিয়মের পরিমাণ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা,অধিকাংশ এলাকাতেই প্রকল্পের কাজ না হলেও বিল পেমেন্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেন সদস্যরা। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান ফোনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,বলেন তাকে ফাঁসানো হচ্ছে,চাপড়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের সদস্য দাবি, তিন লক্ষ টাকার রাস্তা এবং দু' লক্ষ টাকার টিউবওয়েল,মোট ৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পের কাজ ঠিকাদার করেনি, অথচ তার বিল পেমেন্ট করা হয়ে গিয়েছে। তার রিসিভড কপিও আমার কাছে আছে। এছাড়াও পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে এই ভাবেই কাজ না করে টাকা তোলা হয়েছে। কম বেশি প্রায় এক কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে।আমরা বিষয়টা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। উল্লেখ্য, চাপড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা ২১ তার মধ্যে তৃণমূল সদস্য সংখ্যা ৯টি আসনে সিপিএম, ২টি আসনে বিজেপি এবং ৬টি আসনে কংগ্রেস জয়ী হয়। পঞ্চায়েতটি ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ায় বোর্ড গঠনের সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময়ে একজন সিপিএম সদস্য এবং একজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন,যার ফলে পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১১। সিপিএম থেকে যোগ দেওয়া সদস্য, দিলওয়ারা বিবিকে পঞ্চায়েত প্রধান করে বোর্ড তৈরি হয়। কিন্তু প্রধান হওয়ার পর থেকেই অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দিলওয়ারার দূরত্ব বাড়তে থাকে। এমনকী শাসকদলের সদস্যদেরও তিনি গুরুত্ব দেন না বলে অভিযোগ।বিজেপি সদস্য দাবি, আরটিআই করি। কারণ, দেখা যাচ্ছিল অনেক জায়গায় কাজ না হলেও তার বিল পেমেন্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই অনিয়ম নিয়ে তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলাম। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের ১৩ জন সদস্যও এই নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলওয়ারা বিবি এই বিষয়ে ক্যামেরায় মুখ খুলতে নারাজ,ফোনে ধরা হয় তাকে, ২৬ শে নির্বাচনের আগেই দুর্নীতির অভিযোগ শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের শোরগোল পড়ে চাপড়ায়। 1নং বাইট প্রবীর ঘোষ,স্থানীয় বাসিন্দা, 2নং বাইট এলাকার স্কুল শিক্ষক সমর ঘোষ, 3নং বাইট icds কর্মী 4নং বাইট স্থানীয় বাসিন্ধা,মৌসুমী শেখ, 5নং মুকিল শেখ, স্থানীয় বাসিন্দা, 6নং বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ বিশ্বাস, 7নং সিপিআইএম পঞ্চায়েত সদস্য,ইনি ভালো বলেছেন।দুর্নীতি নিয়ে। 8নং পঞ্চায়েত প্রধান দিলরুবা বিবি শেখ, (ফোন রেকর্ড বাইট) অভিযোগ কপি,ছবি বাইট একত্রে 2সি তে 050825ZG_NAD_CHAPRA নামে 1 ফাইল