মালদার মানিকচকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট কারচুপি করে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে।প্রধানের সঙ্গে যোগ সাজস করে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে কারসাজি করে জমি হাতানোর অভিযোগ। মানিকচক থানার দারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ জমি মালিক পক্ষের। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি প্রধান ও কংগ্রেস সদস্যের।ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল এলাকাজুড়ে।অন্যদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানা। মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত এনায়েতপুরের শেখপুরা গ্রামে প্রায় পাঁচ শতক জমি রয়েছে শেখ আবিরুদ্দিন ও শেখ খাবিরুদ্দিনের,দুজনেই বর্তমানে মৃত।দীর্ঘদিন ধরেই সেই জমিতে বসবাস করেন মানিকচকের বিভিন্ন এলাকার ভূমিহীনরা।কিন্তু বিগত কিছুদিন আগেই তারা জানতে পারেন তাদের বসবাসের জমি স্থানীয় বাসিন্দা তথা এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা আঞ্জুম সাগীরা ক্রয় করেছেন। কিন্তু এই জমি বিক্রির বিষয়ে জানেনই না বলে অভিযোগ জমির বর্তমান মালিক বলে দাবিদার মৃত শেখ আবিরুদ্দিনের ছেলে শেখ জায়েদ।পরবর্তীতে এবিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিরোধী দলনেতা যোগ সাজস করে শেখ খাবিরুদ্দিনের ছেলে শেখ ফরিদের নামে ওয়ারিস সার্টিফিকেটে কারচুপি করে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরী করেছেন। কোন রকম তথ্য যাচাই না করেই শুধু মাত্র মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই শংসাপত্রটির তৈরি করেছেন প্রধান। বিষয়টি জানা মাত্রই শনিবার এলাকাবাসীদের নিয়ে মানিকচক থানার দারস্থ হয়ে এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তপতী মন্ডল মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শেখ জায়েদ।এবিষয়ে তিনি বলেন, জমিটি আমার বাবার, তিনি এলাকার ভূমিহীনদের কথা ভেবে তাদের বসবাস করতে দিয়েছেন। এই সুযোগে আমাদের না জানিয়েই ওয়ারিশ শংসাপত্রে কারচুপি করে তা তৈরী করা হয়েছে। আর সেই শংসাপত্র দেখে জমিটি ক্রয় করেছেন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। জমিটির বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা, তাই জমিটি হাতাতে এই চক্রান্ত করেছে তারা। এবিষয়ে বিরোধী দলনেতা আঞ্জুম শাগিরা বলেন,ওয়ারিশ শংসাপত্র মূলে শেখ খাবিরুদ্দিনের বংশের ওয়ারিশ শেখ ফরিদের কাছে জমি ক্রয় করেছি, কোনো কারচুপি হয়নি।প্রধান সমস্ত তথ্য যাচাই করে শংসাপত্র দিয়েছেন,যদি কোন কারচুপি থাকে তাহলে তা আমার জানা নেই। যদিও প্রধান তপতী মন্ডল মজুমদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা একেবারে ভিত্তিহীন। যারা এই অভিযোগ করছেন তারা সেই জমির ওয়ারিশ না,তাহলে কেনো তারা অভিযোগ করেছেন আমার জানা নেই। আমরা কোর্ট অবিডিভিড, আধার সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করেই শংসাপত্র প্রদান করেছি।