दक्षिण ২৪ পরগনা ফলতা জেলা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী নকিব উদ্দিন গাজী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বইমেলার ৩১তম আসরের শুভ উদ্বোধন হলো সোমবার। জেলার ফলতা বিধানসভার হরিনডাঙ্গা বাসুদেবপুর ফুটবল মাঠে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এই বইমেলার সূচনা করেন。 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা শাসক শুভজিৎ গুপ্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি এবং ফলতা বিধানসভার বিধায়ক শঙ্কর নস্কর। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফলতা ব্লকের প্রশাসনিক কর্তারা。 এবারের বইমেলায় মোট ৭৫টি বইয়ের স্টল স্থাপন করা হয়েছে। প্রথম দিনেই ফলতা ও আশপাশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় জমে যায়। জানা গেছে, প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন ব্লকে ঘুরে ঘুরে এই বইমেলার আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, মোবাইলের যুগে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেলেও মানুষকে ‘বইমুখী’ করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত আছে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলার বাজেট সাত গুণ বাড়িয়েছেন। গত বছর রাজ্যের বিভিন্ন বইমেলায় ১৪.৫ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে এবং প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ বইমেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এই বছরের বইমেলায় কমপক্ষে ৫০ লক্ষ টাকার বই বিক্রির আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, গ্রামীণ পাঠাগারে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইতিমধ্যে ৫৩৯ জন চাকরি পেয়েছেন এবং আরও ১৯২টি শূন্যপদ নির্বাচনের আগে পূরণ করা হবে। গ্রামীণ গ্রন্থাগারগুলিকে আরও আধুনিক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিণত করার কাজ চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন。 মন্ত্রী বলেন, “বই মানুষকে স্বচ্ছতা ও জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। বাংলা সাহিত্য নজরুল, রবীন্দ্রনাথসহ অসংখ্য সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্বের অফুরন্ত ভাণ্ডার। এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই রাজ্যে এভাবে বইমেলার আয়োজন অন্যান্য রাজ্যে দেখা যায় না। মানুষের জ্ঞান-চর্চা বাড়াতে হলে বইয়ের দিকে সকলকে ফিরতেই হবে।” বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ করতে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন ফলতাবাসী।