দূষণমুক্ত করতে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার উদ্যোগে জল থেকে তুলে ফেলা হলো প্রতিমা কাঠমা পুজোর উপকরণ, আর এগুলো করেন উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। বিসর্জনের সম্প্রীতির বার্তা বিসর্জনে গঙ্গাতে যাতে দূষণ না ছড়ায় তার ব্যবস্থা নিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার পৌরসভা পৌর প্রশাসন। ডায়মন হারবার শহরের প্রতিমা বিসর্জন হয় বিধান চন্দ্র রায় ঘাটে যাতে যেটি মগরাহাটের একটি খালের অংশ যা ডায়মন্ড হারবার হুগলি নদীর সঙ্গে সংযোগ হয়েছে সেই হুগলি নদীর জল যাতে না দূষণ হয় সেই কারণে একাধিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার প্রশাসনের উদ্যোগে, মূলত জোয়ারের জল ঢোকার পরে সেটি আটকে দেওয়া হয়। এরপর ঘাটের সামনের অংশের বেশ কিছুটা জুড়ে চল্লিশটি লাইভ টিউএর মাধ্যমে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় যাতে কোনোভাবে প্রতিমার যে উপকরণ ভেসে ওই ব্যারিকেডের বাইরে না যায়। প্রতিমা বিসর্জনের পরেই সঙ্গে সঙ্গে তারা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র জল থেকে তুলে নিয়ে একটি জাল দিয়ে ঘেরা মধ্যে রাখা হয়। বাকি প্রতিমার কাঠমাটা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কিছুটা দূরে আর এগুলো সম্পূর্ণ কাজ করেন ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার উদ্যোগে ৩৮ জন এই নিরঞ্জন কর্মী হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয় এই দিনে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি পুজো প্রতিমা বিসর্জন হয়। তার যা কিছু সবই জলে না ভেসে গিয়ে হুগলি নদীতে দূষণ না করে তারিখ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর এই নিরঞ্জন ঘাটে যারা প্রতিমা নিরঞ্জন করেন সকল সম্প্রদায়ের মানুষেই অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা নেত্রালাকা থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ তারা দক্ষতার সঙ্গে এই নিরঞ্জন করেন প্রতিবছরেই আসেন। যা ডায়মন্ড হারবারের সম্প্রীতির পুজো ঘিরে মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতন পাশাপাশি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যাতে দূষণমুক্ত প্রতিমা নিরঞ্জন করার। সেই মতন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই নিরঞ্জনে ঘাটে সমস্ত প্রতিমার কাঠ মা সরিয়ে নেওয়া হয়।