গঙ্গা ভাঙ্গনে কেড়েছে ভিটে মাটি এখন নাগরিকত্ব হারানোর ভয় ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় গায়েব প্রায় 2000 জনের নাম। আর যা ঘিরে গোটা গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।মালদার মোথাবাড়ি বিধানসভা বাঙ্গি টোলা অঞ্চলের ২৯ নম্বর উমেত হাজিটোলা বুথের প্রায় ২০০০ ভোটারের ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম নেই l । অথচ রয়েছে তাদের ভোটার কার্ড।পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা, লোকসভা সব ভোটেই ভোট দিয়েছেন তারা।2002 সালে এস আই আর হওয়ার সময় তাদের নাম নেই । নতুন করে এসআইআর ঘোষনা হতে ২০০২সালের ভোটার তালিকা খোঁজ করতেই চক্ষুচড়খাছ তাদের । নাম নেই তালিকায়। এই অবস্থায় কী করবেন কোথায় যাবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন নন তারা।ফলে দুঃশ্চিন্তা ও আতঙ্কে রয়েছেন পরিবারগুলি । যদিও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ নাগরিক অ্যাকশন কমিটির সদস্যরা । ইতিমধ্যেই এই সমস্যার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তারা. স্থানীয় সূত্রে জানানো যায় ৯৮ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত গঙ্গা ভাঙনের সময় বহু মানুষের বাড়িঘর জমি জায়গা গঙ্গায় তলিয়ে যায় । আজকে যারা সমস্যায় পড়ছেন সে সমস্ত নাগরিকরা মানিকচক বিধানসভার অন্তর্গত কেবি ঝাউ বোনা অঞ্চলে থাকতেন । গঙ্গা ভাঙনের সময় এই কেবি ঝাউবোনা অঞ্চলের ১১ টি বুথ গঙ্গায় তলিয়ে যায়। সেই সময় ভাঙ্গন-অगণিত এলাকার মানুষরা মোথাবাড়ি বিধানসভার বাঙ্গি টোলা অঞ্চলে বসবাস শুরু করে । ২০০২ এর পরবর্তীতে অর্থাৎ এস আই আর এর পর থেকে নির্বাচন গুলিতে ভোটার লিস্টে তাদের নাম থাকলেও কিন্তু বর্তমানে সমস্যা ২০০২ এ লিস্টে তাদের নাম নেই । গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ নাগরিক অ্যাকশন কমিটির মুখপাত্র তারিকুল ইসলাম জানান কেবি ঝাউ বোনা 11 টি অঞ্চল ৯৮ থেকে ২০০২ সালের গঙ্গা ভাঙনের সবকিছু তলিয়ে যায়। নিশ্চিত হয়ে যায় গোটা পঞ্চায়েত এলাকা । ফলে ২০০২ সালে প্রকাশিত কমিশনের ভোটার লিস্টে কেবি যাওবোনা পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ২০০০ মানুষের নাম বাদ থেকে যায় । আজকে সেই এলাকার মানুষের ঠিকানা মোথাবাড়ি বিধানসভা বাঙ্গি টোলা অঞ্চল এর বিস্তীর্ণ এলাকায়। তারা সেখানে বাস করছেন । এই সমস্যার নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে দারস্ত হয়েছে আমরা। কমিশনকে আবেদন জানানো হয়েছে। আফাজ উদ্দিন শেখ, আনিউল শেখ, এসরাফুল শেখ, একরামুল শেখ, definidos এস আই আর কে আমরা সমর্থন করি রাজ্যে এস আই আর হোক আমরা চাই । তবে সেই ক্ষেত্রে আমরা ভারতীয় নাগরিক আমাদের নাম যাতে ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না হয় সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন জানাইছি । এ বিষয়ে মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতি মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান এস আই আর বিরুদ্ধে আমরা নই । তবে তড়িঘড়ি ভাবে আলোচনা না করে এসআইআর চাপিয়ে দাওয়া হল কেন এটাই আমাদের প্রশ্ন । আমার বিধানসভায় এলাকায় বাঙ্গিটোলা অঞ্চলের এগারটি বুথে সমস্যা রয়েছে তারা একসময় কেবি ঝাউবোনা অঞ্চলে থাকতো কিন্তু আজকে ভাঙ্গনে তাদের সব শেষ হয়ে যায় যার ফলে তাদের নতুন জায়গায় এসে বসতি হয় । সে ক্ষেত্রে ২০০২ সালে তাদের নাম নেই । তবে আমরা কোন রকম ভাবে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দিতে দিবো না আমি essa বিষয় নিয়ে আমি জেলাশাসককে জানিয়েছি বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহচর দেখছি। দক্ষিণ মালদা বিজেপির সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী জানান আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যারা বৈধ ভোটার যারা পঞ্চানন্দপুর এক, দুই, বাসিন্দা পাশাপাশি যারা গঙ্গা ভাঙন area's মানুষ যাদের নাম ২০০২ লিস্টে ছিল না যদিও তারা প্রকৃত ভোটার তাদের নাম অবিলম্বে জেলা প্রশাসন উঠানোর ব্যবস্থা করে এবং প্রকৃত ভোটার হিসেবে তাদেরকে চিহ্নিত করে । সেই তাদের দাবির সাথে ভারতীয় জনতা পার্টি একমত ।