মা কে পুকুরে রুই মাছ দিয়ে পুজো দিতে হয় সেকালের রীতিনীতি একালে মেনে চলতে হয় নেতড়ার নন্দী পাড়ার চক্রবর্তী বাড়ির দুর্গাপূজা , সভা বাড়ি রাজবাড়ির পুজোর নিয়ম মেনে পুজিত হয়ে আসছে ১৪৪ বছরের চক্রবতীর পরিবারের দুর্গাপূজা নকিব উদ্দিন গাজী 140925ZG_PA_DH_NETRA এই চক্রবর্তী বাড়ির প্রথম বংশধর জনার্দন সার্বভৌম ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁর সভা পণ্ডিত, সেই সূত্রে তার পুত্র রাম ব্রাম্ভ চক্রবর্তী দুর্গা পুজোর সূচনা করেন। হাতের লেখা পুঁতি ধরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতড়ার নন্দী পাড়ার দুর্গাপূজা এ বছর ১৪৪ বছরে পা দিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জৌলুশ কিছুটা কমলেও নিয়ম মেনে আজও চক্রবর্তী পরিবার এই পূজা আয়োজন করে আসছে ইতিহাস অনুযায়ী, বংশের প্রথম জনার্দন সার্বভৌম ছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁর সভা পণ্ডিত। নবাব তাঁকে মুকুন্দপুরে ৩০০ একর জমি দান করেন এবং ‘নন্দী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। পরে তাঁর ছেলে রামব্রহ্ম চক্রবর্তী কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ীর পুরোহিত ছিলেন। তিনিই প্রথম শোভাবাজার রাজবাড়ির নিয়ম মেনে নেতড়ায় দুর্গাপূজার সূচনা করেন। শুরুর কালে এই পূজোয় ৪ মন চালের নৈবেদ্য দেওয়া হতো। পুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই শুরু হতো দেবীর বোধন। একসময় এখানে পশুবলির প্রথা ছিল, তবে কালের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা উঠে যায়। এখনও নিয়ম মেনে প্রতিদিন আলাদা ভোগ নিবেদন করা হয় দেবীকে। পুকুরের রুই, কাতলা মাছের বিশেষ ভোগও থাকে পূজার অন্যতম আকর্ষণ। পাশাপাশি, আজও ১৪৪ বছর আগের হাতে লেখা পুঁথির নিয়ম মেনেই পূজার প্রতিটি বিধি সম্পন্ন করা হয়। সবচেয়ে বড় দিক, জাত-পাত নির্বিশেষে গ্রামের মানুষ এই পূজায় একত্রিত হন। পূজার ক’টা দিন সম্প্রীতির মেলবন্ধনে মেতে ওঠে নেতড়া গ্রাম।