बारिश और हाथी के हमले से नागरकाटा के किसानों पर भारी नुकसान

*বৃষ্টি ও হাতির হামলায় বিপর্যস্ত নাগরাকাটার চাষিরা... একদিকে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে হাতির তাণ্ডব—দুইয়ের মারাত্মক আঘাতে বিপর্যস্ত নাগরাকাটা ব্লকের চাষিরা। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক বৃষ্টিতে ব্লকের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত এখন জলের তলায়। যেসব জমিতে ফসল অক্ষত ছিল, সেখানেও রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়ছে হাতির পাল। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষি দপ্তর ইতিমধ্যেই ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে。 ব্লকের ‘শস্য গোলা’ হিসেবে পরিচিত আংরাভাসা দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ ধানের জমি 이제 ডুবে রয়েছে জলে। অনেক কৃষক ধান কেটে মাঠেই শুকোতে দিয়েছিলেন—কিন্তু বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগেই জলে সব ভেসে গেছে। যাঁরা এখনো ধান কাটতে পারেননি, তাঁদের ফসলেও পচন ধরেছে। এক চাষি বলেন, “আড়াই বিঘা জমির কেটে রাখা ধান একেবারে শেষ হয়ে গেল। হাতির উপদ্রবে এমনিতেই চাষ কমিয়ে দিয়েছিলাম, এখন আর জানি না কী হবে।” আংরাভাসা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরকাটা গ্রামের চাষিদের অবস্থাও একইরকম। আকাশ খারিয়া নামে এক কৃষক জানান, “আমার জমি কম ছিল, তাই ক্ষতি কিছুটা কম, কিন্তু অনেকের তো পুরো ফসলটাই শেষ।” আন্যান্যদিকে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুখানী বস্তীতে বৃষ্টিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে ধানের পাশাপাশি বহু সুপারি চারা। গতকাল গভীর রাতে হাতির একটি দল তছনছ করে দেয় লালু লোহারের নামে এক চাষির এক বিঘা ধানের জমি। বৃষ্টিতে অন্তত ২০ বিঘা ধান নষ্ট হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। কৃষকেরা বলেন, ক্ষতিপূরণ না পেলে তাঁদের পক্ষে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ অক্টোবরের প্লাবনে একই অঞ্চলের কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। এক মাস না যেতেই ফের নতুন বিপর্যয়। স্থানীয়দের আক্ষেপ—“প্রকৃতি কেন এমন বিরূপ হয়ে উঠছে, তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন।”