तुरंत चार्जशीट से जांच की रफ्तार: दुर्गापुर-न्यूटाउन-बीजोन् थाने के सीसीटीवी पर उठे सवाल

তড়িঘড়ি কেন চার্জশিট পেশ করা হল ? তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নয়তো ? দুর্গাপুর থানা, নিউটাউনশিপ থানা ও বিজোন পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও চাইলেন বিপক্ষের আইনজীবী। আগে থেকেই অভিযুক্তকে সেখানে আটক করে রাখা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এই ফুটেজ আদালতের কাছে দাবি করেন তিনি। তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করারও আবেদন করেন বিপক্ষের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। এই সওয়াল করেই অভিযুক্তের আইনজীবী বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণ ধর্ষণ কাণ্ডের শুনানি জমিয়ে দিলেন। সোমবার এডিজে সেশন ১ বিচারকের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হতেই নির্যাতিতার সহপাঠী অন্যতম অভিযুক্ত ওয়াসেফ আলির আইনজীবী শেখর কুণ্ডু এই প্রশ্ন তোলেন। এছাড়াও চার্জশিট হওয়ার আগে তদন্ত চলাকালীন নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের সমস্ত কল রেকর্ড দাবি করেন শেখরবাবু। টিআই প্যারেডের ভিসুয়ালও বিচারকের কাছে চান আইনজীবী শেখর কুণ্ডু। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক এভিডেন্স যা দেওয়া হয়েছে তাতে বেশ কিছু অংশ রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অংশ দিতে হবে বলেও অভিযুক্তের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তিনি। একের পর এক ভিন রাজ্যের মামলার উদাহরণ দিয়ে শেখরবাবু এই সব নথি আদালতের কাছে চান। তিনি সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, "উনি দুটো স্বার্থই দেখবেন। অভিযুক্ত ও স্টেটের। একপক্ষের হয়ে বলবেন এটা নয়।" এরপর সওয়ালের জবাবে বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, " ভিন্ন দুটো মামলার রায় অনুযায়ি যা যা দিতে বলা হয়েছে আমরা তা দিয়েছি। অভিযুক্তের আইনজীবী কোন সেকশনে পিটিশন করেছেন তা আবেদনে উল্লেখ নেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। টিআই প্যারেডের রেকর্ডিং আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই করা হয়নি। হার্ড কপি দেওয়া হয়েছে। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন টেলিকম সংস্থা দিয়েছে। তা দেওয়া হয়েছে। আজ যারা ক্রাইম করে তারা অনেকেই আইটি এক্সপার্ট। তারা এক্সপোর্ট চ্যাট অফ করে চ্যাট করে। তাই ইন্টারনেট কানেকশন অন করলেও ডিলিটেড চ্যাট প্রথমে পাওয়া যায়নি। পরে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তা পাওয়া যায়। তাও চার্জশিটে আছে। দুর্গাপুর, নিউটাউনশিপ ও বিজোন ফাঁড়ির সিসিটিভি আমাদের তদন্তে বিশ্বাসযোগ্য মনে করছিনা। ভিডিওগ্রাফি হয়েছে সিজার সহ একাধিক তদন্তের। যা পাওয়া গেছে তাই চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এটা সাপলিমেন্টারি চার্জশিট। চার্জশিট ফাইলের ৯০ দিনের মধ্যে সাপলিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া যায়। বেশ কিছু নথির জন্যে অপেক্ষা করছি। অভিযুক্তের আইনজীবী তদন্ত বন্ধ করতে বলছেন। আসলে উনি তদন্ত গতিরুদ্ধ করতে চাইছেন। তদন্ত বন্ধ করার আবেদন করা অন্যায়। আইন অনুযায়ী চার্জশিটের দুই মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ করতে হবে। ট্রায়াল আশা করি থেমে থাকবে না। আদালত ফের আজ, মঙ্গলবার শুনানির সময় নির্ধারণ করবে। অভিযুক্তরা তাদের পরিবার আইনজীবী নিয়োগের জন্যে কথা বলছে বলে অভিযুক্ত শেখ রিয়াজউদ্দিন বিচারককে বললে তিনি বলেন, "যতদিন না হচ্ছে ততদিন জেলা আইনি সহায়তায় দেখুক." পরে অভিযুক্ত ওয়াসেফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, "বিশ্বাস ও অবিশ্বাসযোগ্য দুটো এভিডেন্সই আমরা পেতে পারি। আমরা থানার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্বাসযোগ্য মনে করছি। আমার মক্কেলকে দীর্ঘদিন ওখানে আটকে রাখা হয়েছিল বলে মনে করছি। তড়িঘড়ি চার্জশিট কেন দেওয়া হলো? এটা মিডিয়া, রাজনীতি ও পুলিশের যৌথ চাপে করা হয়েছে। জামিন না পেতেই আগেভাগে চার্জশিট দেওয়া। এতে জাস্টিস পেতে সমস্যা হবে." বিভাসবাবু বলেন, "দ্রুত চার্জশিট দেওয়াই আমাদের কাজ। আমরা দিয়েছি। উনি চার্জশিট নিয়ে বলতেই পারেন। আমরা সব ঠিক করেছি." এদিন অভিযুক্তদের ফের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।