Become a News Creator

Your local stories, Your voice

Follow us on
Download App fromplay-storeapp-store
Advertisement
Back
Nadia741201

शंतिपुर के सभी दुकानदारों के लिए বাংলা बोर्ड अनिवार्य, शहर हलचल बढ़ी

BMBiswajit Mitra
Sept 13, 2025 10:08:42
Ranaghat, West Bengal
শান্তিপুরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলা বোর্ড বাধ্যতামূলক: পৌরসভার সিদ্ধান্তে মিলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল শান্তিপুর পৌরসভা। শহরের সমস্ত ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গতকাল পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জানান, “বাংলা আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়ের ভাষা। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য। সেই ইতিহাস ও ভাষাকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। বাংলাকে অবজ্ঞা করার যে প্রবণতা কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তা রুখতেই আমাদের এই পদক্ষেপ।” এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শহরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কটাক্ষ করে বলেছে, “যারা আগে বাংলা শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে, তারাই এখন বাংলা প্রীতি দেখাচ্ছে। তবে ব্যবসায়ী মহলে এই উদ্যোগ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, বাংলায় বোর্ড থাকলে স্থানীয় গ্রাহকদের সুবিধা হবে, বাংলা ভাষার প্রসারও ঘটবে। অন্যদিকে, কিছু ব্যবসায়ীর মত, ইংরেজিতে লেখা বোর্ড দেখতে ‘আধুনিক’ ও ‘আকর্ষণীয়’ লাগে। এক ব্যবসায়ীর ভাষায়, “বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, আমরা সম্মান করি। কিন্তু সবার বোঝার সুবিধার জন্য ইংরেজিতে নাম থাকা ভালো। তবে বাংলা রাখা বাধ্যতামূলক করলে আমরা মেনে নেব।” ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে শান্তিপুর পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে বাংলা ভাষাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা, অন্যদিকে স্থানীয় স্তরে সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি – এই দুই দিক থেকেই এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সমাজের একাংশ তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রশাসন কীভাবে নজরদারি চালাবে, এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো জানানো হয়নি ১। বিভাস ঘোষ ব্যবসায়ী সমিতি ২। সুব্রত ঘোষ শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান। ৩। জগন্নাথ সরকার সাংসদ রানাঘাট ৪। তড়িৎ ভৌমিক স্থানীয় বাসিন্দা
6
comment0
Report

For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com

Advertisement
BBBimal Basu
Sept 13, 2025 12:05:27
Basirhat, West Bengal:বলে 2C তে ছবি পাঠিয়েছি। বসিরহাট ইটিণ্ডা সীমান্ত থেকে ভারতীয় জাল নোট ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতী গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিস। আজ ভোরে বসিরহাট থানার পুলিসে কাছে খবর আসে বসিরহাট ইটিণ্ডা সীমান্তে দুষ্কৃতীরা জাল নোটের কারবার চালাচ্ছে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিস সেখানে হানা দিলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও রবিউল মণ্ডল ও সেলিম বৈদ্য নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিস। এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ভারতীয় ১৬ হাজার টাকার মোট ৩২ টি পাঁচশো টাকার জাল নোট। ও দুটি আগ্নেয়াস্ত্র একটি সেভেন এম এম পিস্তল ও একটি ওয়ান সাটার পাইপগান। আজ শনিবার দুজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিসি হেপাজাতে রাখার নির্দেশ দেয়। বিমল বসু বসিরহাট
0
comment0
Report
BSBarun Sengupta
Sept 13, 2025 12:04:58
0
comment0
Report
SCSaurav Chaudhuri
Sept 13, 2025 11:53:17
Jhargram, West Bengal:বাবার বন্দুক নিয়ে স্কুলে ছাত্র। বাবাকে গ্রেপ্তার। গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের চোরচিতা চোরেশ্বর হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র নীলাঞ্জন দলাই গত ইং - ১৮/০৮/২৫ তারিখে স্কুল শিক্ষক পরিমল অট্ট কে বন্ধুক নিয়ে গুলি করে প্রাণে মারার উদ্দেশে স্কুলে গিয়েছিলো এবং পরবর্তী সময়ে নীলাঞ্জন স্বীকার করেছিল বন্ধুক টি তার বাবার। নীলাঞ্জনের বাবা কেষ্ট দোলাইর নামে পুলিশ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে, এতদিন কেষ্ট পলাতক ছিলো, কিন্তু গতকাল শুক্রবার বহরগুড়া (বহড়াগুরা থানা, ঝাড়খন্ড) থেকে রাত্রি ১০. ৩০ এর দিকে বেলিয়াবেড়া থানার ওসি নীলু মন্ডল এর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী কেষ্ট কে আরেস্ট করেছে, আজকে শনিবার কেষ্ট কে কোর্টে তোলা হবে। কেষ্ট চোরচিতা অঞ্চলের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী এবং অঞ্চল সভাপতি রাজীব কর ঘনিষ্ট।
1
comment0
Report
ABArup Basak
Sept 13, 2025 11:52:55
Mal Bazar, West Bengal:*ধুমপাড়ায় হাসপাতালের জন্য নতুন ভবন, খুশি এলাকাবাসী...* দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় থাকা মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটার ধুমপাড়া হাসপাতাল এবার নতুন ভবন পাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে জলপাইগুড়ির এক সরকারি অনুষ্ঠানে নতুন ভবনের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৯৪ টাকা। নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে জেলা পরিষদ। নতুন ভবনের ঘোষণা ঘিরে ধুমপাড়া হাসপাতালে এক ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসী, স্থানীয় নেতৃত্ব ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। খুশির মুহূর্ত ভাগ করে নিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়, লাড্ডু বিতরণ করা হয় সাধারণ মানুষের মাঝে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ধুমপাড়া হাসপাতাল বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ছাদ চুইয়ে জল পড়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বহু ওষুধ। ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। এমন অবস্থায় নতুন ভবন নির্মাণ হলে হাসপাতালের পরিকাঠামোগত সমস্যাগুলি দূর হবে বলেই আশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাপরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গনেশ উরাও, তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রি, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি রন্থি তিরকি, তৃণমূলের ২ নম্বর আংরাভাষা অঞ্চল সভাপতি মনসুর আলি, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি ফুলেশ্বরী রায় প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রীর এই জনকল্যাণমুখী উদ্যোগে এলাকাবাসী দারুণ খুশি। এলাকার বাসিন্দা মনোজ ওড়াও, তাপস কর্মকার, রাজা করদের আশা, নতুন ভবন তৈরির মাধ্যমে এলাকার স্বাস্থ্য পরিসেবার মান অনেকটাই উন্নত হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে। বাইট ১) তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লক সভাপতি প্রেম ছেত্রি। 1409ZG_MAL_HASPATAL_R4
3
comment0
Report
CDChittaranjan Das
Sept 13, 2025 11:52:43
Durgapur, West Bengal:रवींद्रनाथ का निःशुल्क विद्यालय। लेकिन यह बीरभूम के रंगमती शांतिनिकेतन में नहीं है। ईंट-लकड़ी-लोहे के औद्योगिक क्षेत्र में। उसका नाम भी विश्व कवि के नाम पर है। मास्टर मशाई रवींद्रनाथ चंद्र एक लाइलाज कैंसर से पीड़ित हैं। उनकी आवाज दिन-ब-दिन खोती जा रही है। उनकी वाणी लड़खड़ाती जा रही है। पश्चिम बर्दवान जिले के दुर्गापुर के वार्ड नंबर 29, सागरभंगा के निवासी रवींद्रनाथ चंद्र भी शिक्षा दे रहे हैं। हालांकि वह केवल 46 वर्ष के हैं, रवींद्रनाथ बाबू काफी बड़े लगते हैं। कैंसर उनके लिए जिम्मेदार है। कवि के आदर्शों से प्रेरित होकर, उन्होंने 25 साल की उम्र में एक निःशुल्क विद्यालय खोला और सरकारी आवास में अपने घर में बैठ गए। वह सफेद धोती और पंजाबी पहनते थे। हर दिन, वह दुर्गापुर के सागरभंगा इलाके से उन बच्चों को लाते थे यह स्कूल उनके घर में ही था। लेकिन जैसे-जैसे छात्रों की संख्या बढ़ी, अब वह सरकार द्वारा प्रदान किए गए आवास में पढ़ते हैं। पढ़ाई के बाद, वह खुद उन्हें घर वापस ले जाते हैं। छात्र मास्टर मशाई से मिलने दौड़े चले आते हैं। स्कूल में पढ़ाई के अलावा, उन्हें कैंटीन भी मिलती है। छह साल पहले, रवींद्रनाथ बाबू को पता चला कि उन्हें कैंसर है। लाइलाज बीमारी से पीड़ित होने के बावजूद, उन्होंने पढ़ाना बंद करने के बारे में नहीं सोचा, न ही उन्होंने अपनी मन की शक्ति खोई। भले ही वह टूट गए हों, लेकिन उन्होंने अपने छात्रों के साथ एक नया जीवन जीने का सपना देखा। हालाँकि ऑपरेशन के बाद वह ठीक हो गए, लेकिन उनकी जीभ काट दी गई, इसलिए वह स्पष्ट रूप से बोल नहीं सकते थे। एक समय में, पड़ोस के कुछ युवा छात्रों के साथ एक छोटा सा स्कूल शुरू किया गया था। आज, वहाँ छात्रों की संख्या 150 के करीब है। मास्टर मशाई की आवाज़ दूसरों की तरह सामान्य नहीं है, वह धाराप्रवाह नहीं बोल सकते। फिर भी, घर में छात्रों की आवाज़ सुनी जा सकती है। इलाके के कई लोग आर्थिक मदद के लिए उनके साथ खड़े हैं। उनके पुराने छात्र और इलाके के शिक्षित युवा शिक्षक के रूप में स्कूल में शामिल हो गए हैं। औद्योगिक क्षेत्र के बीचों-बीच स्थित रवींद्रनाथ चंद्र के गुरुकुल में आने वाली पीढ़ी अपने भविष्य के सपने देख रही है। इस विद्यालय के कई छात्र आज अपने परिवारों की आर्थिक मदद कर रहे हैं। रवींद्रनाथ के विद्यालय के छात्रों को उम्मीद है कि आगे चलकर उनमें से कुछ डॉक्टर बनेंगे, तो कुछ देश के रक्षक। VDO FTG 2C FILE NAME - 1309ZG_DGP_RABINDRANATH_R রবীন্দ্রনাথের বিনে পয়সায় পাঠশালা। তবে তা বীরভূমের রাঙামাটি শান্তিনিকেতনে নয়। ইট-কাঠ-লোহার শিল্পাঞ্চলে। তাঁর নামও বিশ্বকবির নামেই। দুর্গারোগ্য ক্যানসার রোগে আক্রান্ত মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ চন্দ্র । দিনে দিনে গলার স্বর হারিয়ে যাচ্ছে। জড়িয়ে যাচ্ছে কথা । তাও পাঠ দান করে যাচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ চন্দ্ৰ। মাত্র ৪৬ বছর বয়স হলেও রবীন্দ্রনাথবাবুকে দেখলে অনেক বেশি বয়সের মনে হয়। তার জন্য দায়ী ক্যানসার, কবিগুরুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মাত্র ২৫ বছর বয়স থেকে তিনি বিনা পয়সার পাঠশালা খুলে বসতেন সরকারি আবাসনে নিজের বাড়িতে । পোশাক বলতে সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি। দুর্গাপুরের সগড়ভাঙ্গা এলাকার যে সব পড়াশোনা করতে অনিচ্ছুক অথবা বাবা মা পড়াতে চান না পড়ুয়াকে, সেইসব বাচ্চাদের প্রতিদিন একটি ছোট মপেডে করে চাপিয়ে বাড়ি থেকে তার পাঠশালায় নিয়ে আসেন। এই পাঠশালা তাঁর বাড়িতেই ছিল । কিন্তু পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন সরকারের দেওয়া এক আবাসনে পড়াশোনা করায়। পাঠ শেষে ফের বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনিই । মাস্টার মশাইকে দেখলে ছুটে আসে পড়ুয়ারা। পাঠশালায় লেখাপড়ার সঙ্গে বাড়তি পাওনা ক্যান্টিন। ৬ বছর আগে রবীন্দ্রনাথবাবু জানতে পারেন তাঁর মুখে বাসা বেঁধেছে কর্কট রোগ। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও পাঠ দান বন্ধ করার কথা মনে আসেনি, মনের জোর হারিয়ে ফেলেননি। কখনও যদি বা মন ভেঙেছে, তাও নতুন করে পড়ুয়াদের নিয়েই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছেন। তার অপারেশন করে সুস্থ থাকলেও জীভ কেটে বাদ যাওয়ায় মুখ দিয়ে পরিস্কার আওয়াজ বেরোয় না ।একসময় পাড়ার কয়েকজন খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয়েছিল ছোট পাঠশালা। আজ সেখানে ছাত্র- ছাত্রীর সংখ্যা ১৫০ - র কাছাকাছি । মাস্টার মশাইয়ের গলা অন্যদের মতো স্বাভাবিক নয়, সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন না। তবু শোনা যায় ঘরভর্তি পড়ুয়াদের আওয়াজ। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাহায্য করতে এলাকার অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাঠশালায় শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছেন তার পুরোনো ছাত্র ছাত্রী সহ এলাকার শিক্ষিত তরুণ- তরুণীরা। শিল্পাঞ্চলের বুকে রবীন্দ্রনাথ চন্দ্রের গুরুকুলে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছে আগামী প্রজন্ম। এই পাঠশালা থেকে বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রী আজ তাদের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করছে। রবীন্দ্রনাথের পাঠশালার ছাত্র ছাত্রীদের আশা ভবিষ্যতে তারা কেউ ডাক্তার, কেউ দেশের রক্ষক হবার চিন্তা করছে। ছবি 2C তে ফাইল নাম 1309ZG_DGP_RABINDRANATH_R রিপোর্ট : চিত্তরঞ্জন দাস
0
comment0
Report
PDPradyut Das
Sept 13, 2025 11:52:07
Jalpaiguri, West Bengal:2C 1309ZG_JAL_NEPAL_TRUEST_R R & R1 বলে ২সি তে বাইট, ভিডিও এবং স্টিল ছবি গেছে। নেপাল থেকে ফিরে এলেন জলপাইগুড়ির গবেষক ময়ূখ! চোখের সামনে গুলি-বোমার বিভীষিকা! চোখের সামনে গুলি চলতে দেখার অভিজ্ঞতা কোনও সাধারণ মানুষের জীবনে সহজে আসে না। সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা নিয়েই নেপাল থেকে বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ির গোমস্তাপাড়ার বাসিন্দা ও গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য। দীর্ঘ কয়েক দিন নেপালে আটকে থাকার পর অবশেষে জলপাইগুড়িতে ফিরলেন গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন পরিবারের লোকজন। বাড়িতে খুশির হাওয়া। ক্যামেরার সামনে নেপালের হাড় হিম করার অভিজ্ঞতা শোনালেন ময়ূখ। জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে গিয়ে নেপালে আটকে থাকা জলপাইগুড়ির গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য বাড়ি ফিরলেন।প্লেনের টিকিটের চড়া দাম থাকায় বিহার সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে গোমস্তা পাড়ার বাড়িতে ফিরলেন ময়ূখ ।গত ৮ তারিখ থেকেই নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে কার্যত হোটেল বন্দী হয়ে পড়েছিলেন ময়ূখরা। হোটেলে বসেই একের পর গুলির শব্দে কান ঝালাপালা হয়েছিল।খাদ্য সংকট তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পেরে স্বস্তির নি:স্বাশ ফেলেন ময়ূখের পরিবার। আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংক্রান্ত এক সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেমিনারের মাঝপথেই নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্থিরতায় হঠাৎ করেই চারদিক জুড়ে গুলির শব্দ, রাস্তায় সেনা টহল, আতঙ্কে থমথমে পরিবেশ। কার্যত হোটেলের ভেতরে বন্দি হয়ে পড়েছিলেন ময়ূখ ও তাঁর সহযাত্রী গবেষকরা। মোবাইলের ভিডিও কলেই পরিবারকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তব ছিল ভয়ংকর। ময়ূখের কথায়, “হোটেলের কাচের জানালার ওপারেই একের পর এক গুলি চলছিল। কানে ঝাঁঝালো শব্দ, বুক কেঁপে উঠছিল। খাবার জোগাড় করতেও সমস্যা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আর হয়তো ফেরা হবে না।” শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই তাঁরা সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছন। প্লেনের টিকিটের আকাশছোঁয়া দামে সম্ভব না হওয়ায় সড়কপথে বিহার সীমান্ত হয়ে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসেন ময়ূখ। বহু আতঙ্কের মুহূর্তের পর গতকাল নিজের বাড়ি গোমস্তাপাড়ায় ফিরতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন পরিবারের সদস্যরা। ময়ূখের বাবা জানান, প্রতিটি রাত তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে। “ছেলেকে সুস্থভাবে ফিরে পেয়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি,” চোখে জল নিয়ে বললেন তিনি। নেপালের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসে আজ যেন নতুন জীবনের স্বাদ পেলেন গবেষক ময়ূখ। কিন্তু সেই গুলির শব্দ, আতঙ্কে ভরা রাতগুলো আজীবন তাঁর মনে গেঁথে থাকবে। অপরদিকে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন নেপালে যাওয়া গবেষক ছাত্রদের প্রতিনিধি দল। গত ৫ই সেপ্টেম্বর 2025 নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে নেপালে গিয়েছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র ময়ূখ ভট্টাচার্য সহ আরও চার পাঁচ জন গবেষক ও ছাত্রদের প্রতিনিধি দল। পরবর্তীতে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ও যোগাযোগের জটিলতায় তারা সেখানে আটকে পড়েন। ক্রমবর্ধমান অশান্তি ও লাগাতার রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন হয়ে নেপালে আটকে পড়ায় তাদের পরিবারও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। ময়ূখের কথায়, "নেপালে আটকে পড়ে প্রাথমিকভাবে আমরা কি করব, কোথায় যোগাযোগ করব বুঝতে পারছিলাম না। একাধিক জায়গায় মেইল মারফত যোগাযোগ করেও কোনো সুবিধা করা যায়নি। এই সময়ে আমার স্কুল জুনিয়ার তথা গবেষক ছাত্রনেতা ভাই সুপ্রিয় চন্দকে গোটা বিষয়টা জানাই। পরবর্তীতে ওর মাধ্যমেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রামমোহন রায়ের সাথে কথা হয়। যেভাবে প্রশাসনিক সহযোগিতায় ও লাগাতার খোঁজখবর নিয়ে রাত জেগে যুব নেতৃত্বরা বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছেন, তাতে আমরা সত্যিই অন্তর থেকে খুশি। বাড়ি ফিরে ভালো লাগছে। মাননীয় রামমোহন রায়কে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। " এই প্রসঙ্গে সুপ্রিয় চন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, "আমরাও আশঙ্কার মধ্যে ছিলাম। ময়ূখ দা আমার জলপাইগুড়ির ছেলে, স্কুল সিনিয়র ও কৃতি গবেষক। আমি খবরটা পেয়েই আমাদের জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রামমোহন দা কে জানাই আলোচনা করি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই রামমোহন দা সবসময় মানুষের পাশে যেভাবে থাকেন, সেভাবেই এক্ষেত্রেও পুরো ব্যাপারটা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।" রামমোহন রায় বলেন, "ওরা সাবধানে ভালো ভাবে বাড়ি ফিরে এসেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা। রোকসান সীমান্ত পার হওয়া অবধি আমি ভোর চারটে অবধি ওদের সাথে ফোনে যোগাযোগে ছিলাম। খবর পাওয়ার থেকে আজকে অবধি, আমি নিজেও টেনশনে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল, আছে, সবসময়। তৃণমূল কর্মী হিসেবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধিনায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে, মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের কর্তব্য। " রিপোর্ট:- প্রদ্যুত দাস ক্যামেরা :- ঋষি চক্রবর্তী ( জলপাইগুড়ি )
0
comment0
Report
DGDebabrata Ghosh
Sept 13, 2025 11:51:54
Howrah, West Bengal:এবার ভুয়ো ভোটার হিসেবে অভিযোগ উঠলো খোদ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারীর বিরুদ্ধে।আজ ভুয়ো ভোটার খুঁজতে হাওড়ার তেলকল ঘাট রেল কোয়ার্টারে আসেন বিজেপি রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই এর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা যখন হাওড়া তেলকল ঘাট রেল কোয়াটারে ক্রিড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারীর ফ্লাটের ঠিকানায় যান তখন তারা দেখেন ওই ফ্ল্যাটে মন্ত্রী থাকেন না। ওই ফ্ল্যাটে থাকে অন্য পরিবার।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। তখন তাদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ মনোজ তিওয়ারীর বাবা রেলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে কয়েক বছর আগে মনোজ তিওয়ারি এখানেই থাকতেন। কিন্তু তার বাবা অবসর গ্রহণের পর ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছেন। তার বাবা প্রায় আট বছর আগে মারা গেছেন। অথচ ২০২১ সালে ভোটার মনোনয়ন পত্রে তিনি ওই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। বিজেপির আরো অভিযোগ মনোজ দীর্ঘদিন এখানে থাকেন না। তাই কিভাবে এখানকার ভোটার লিস্টে তার এবং তার ভাই রাজকুমার তিওয়ারীর নাম থাকে ? তার মানে মন্ত্রী ভুয়ো ভোটার। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান উমেশ রাই।অন্যদিকে এই ঘটনায় তীব্র বচসা শুরু হয় স্থানীয় তৃনমুল নেতা কর্মীদের সাথে বিজেপি নেতা কর্মীদের। কেনো বিনা অনুমতিতে এখানে এসেছে বিজেপি কর্মীরা এনিয়ে সরব হয় তৃণমূল। বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।পাল্টা স্লোগান বিজেপির।তৃণমূলের দাবী মনোজ তেওয়ারী দীর্ঘদিন এখানে থাকতেন। এখানেই তার খেলাধুলা শুরু এবং বেড়ে ওঠা। তার পরিবারের লোকেরা প্রায়ই এখানে আসেন। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। এদিন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি ফোনে বলেন নির্বাচন লড়ার সময় তিনি পুরনো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। তাই ভোটার লিস্টে নাম রয়ে গেছে। এবারে তিনি তার নতুন ঠিকানা দিয়ে দেবেন। বাইট..১..উমেশ রাই(রাজ্য সম্পাদক,বিজেপি) ২..করন রজক(তৃণমূল নেতা) ৩..বকুল পাল(স্থানীয় বাসিন্দা) ৪..ওয়াকথ্রু 1309zg_hwh_voter_r
0
comment0
Report
BMBiswajit Mitra
Sept 13, 2025 11:51:42
Ranaghat, West Bengal:SHANTIPUR MUNICIPALITY 1309ZG_RAN_SHAN_MUNICI_R2 শান্তিপুরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলা বোর্ড বাধ্যতামূলক: পৌরসভার সিদ্ধান্তে মিলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল শান্তিপুর পৌরসভা। শহরের সমস্ত ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বাংলায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গতকাল পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান জানান, “বাংলা আমাদের গর্ব, আমাদের আত্মপরিচয়ের ভাষা। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির অবদান অনস্বীকার্য। সেই ইতিহাস ও ভাষাকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ। বাংলাকে অবজ্ঞা করার যে প্রবণতা কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তা রুখতেই আমাদের এই পদক্ষেপ।” এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে শহরে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কটাক্ষ করে বলেছে, “যারা আগে বাংলা শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস করেছে, তারাই এখন বাংলা প্রীতি দেখাচ্ছে। তবে ব্যবসায়ী মহলে এই উদ্যোগ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, বাংলায় বোর্ড থাকলে স্থানীয় গ্রাহকদের সুবিধা হবে, বাংলা ভাষার প্রসারও ঘটবে। অন্যদিকে, কিছু ব্যবসায়ীর মত, ইংরেজিতে লেখা বোর্ড দেখতে ‘আধুনিক’ ও ‘আকর্ষণীয়’ লাগে। এক ব্যবসায়ীর ভাষায়, “বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, আমরা সম্মান করি। কিন্তু সবার বোঝার সুবিধার জন্য ইংরেজিতে নাম থাকা ভালো। তবে বাংলা রাখা বাধ্যতামূলক করলে আমরা মেনে নেব।” ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে দাঁড়িয়ে শান্তিপুর পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে বাংলা ভাষাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা, অন্যদিকে স্থানীয় স্তরে সাংস্কৃতিক সচেতনতা বৃদ্ধি – এই দুই দিক থেকেই এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সমাজের একাংশ তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রশাসন কীভাবে নজরদারি চালাবে, এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো জানানো হয়নি ১। বিভাস ঘোষ ব্যবসায়ী সমিতি ২। সুব্রত ঘোষ শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান। ৩। জগন্নাথ সরকার সাংসদ রানাঘাট ৪। তড়িৎ ভৌমিক স্থানীয় বাসিন্দা
0
comment0
Report
ALArup Laha
Sept 13, 2025 11:50:55
Belna, West Bengal:মাদ্রাসা’ শব্দটি শুনলেই, অনেকেরই মনে হয়, খুবই রক্ষণশীল, উগ্র ধর্মীয় অনুশাসনের ঘেরাটোপে বন্দি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ পশ্চিমবঙ্গেই এমন একটি মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে মুসলিম এবং অ-মুসলিম পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় সমান সমান। পূর্ববর্ধমানের ভাতারের ওড়গ্রাম চতুষ্পল্লি হাই মাদ্রাসা। কীভাবে এতটা আলাদা হয়ে উঠল। কীভাবে অনন্য পঠনপাঠনে স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলে, এলাকার অ-মুসলিম পরিবারগুলিকেও অনুপ্রাণিত করছে, ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠাতে। আসল চাবিকাঠি লুকিয়ে, উদারবাদী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত মানসিকতায়। ধর্ম বা বর্ণ বা জাতি এমনকি রাজনীতি—এর কোনও কিছুরই প্রবেশাধিকার নেই মাদ্রাসার ভিতরে। মাদ্রাসায় ধর্মীয় কোনও গোঁড়ামির জায়গা নেই। জায়গা নেই কোনও কুসংস্কারের বা প্রাচীনমনস্কতার। শিক্ষাই সেখানে আসল শক্তি, নিয়মানুবর্তিতাই আসল অনুশাসন। রেজাল্ট থেকে খেলাধুলো—সব দিকেই তাকলাগানো সাফল্য এই মাদ্রাসার। সেই সঙ্গে উদারমনস্ক শিক্ষকদের আধুনিক পড়ানোর ধরনে, শুধু মুসলিম ছাত্রছাত্রী নয়, সমান ভিড় হিন্দু অন্য সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদেরও। আর তার কৃতিত্ব তাদের অভিভাবকদেরও। এই মিলনমেলা যেন শুধু শিক্ষার অঙ্গনকে আলোকিত করছে না, গোটা সমাজকেই একটা নতুনগ বার্তা দিচ্ছে। এখানকার শিক্ষকরা বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক ছেলেমেয়ে গড়ে তোলা। আমার এলাকা থেকে তো বটেই, বাইরে থেকেও বহু হিন্দু ছেলেমেয়ে পড়তে আসে এখানে। এসসি-এসটিদের মধ্যেও একটা সাড়া পড়েছে যে, এই মাদ্রাসায় পড়লে রেজাল্ট ভাল করা যাবে। পড়াশোনা তো মূল বিষয় বটেই, তার পাশাপাশি, আমরা ডিসিপ্লিনের জায়গা থেকে একচুলও নড়ি না।’ গাছপালায় ঘেরা শান্তির আবহে, বড় বড় ক্লাসরুম। অঙ্ক, ইংরেজি, বিজ্ঞানের পাঠ সবই চলে স্বাভাবিক নিয়মে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা চান, ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যেন মানুষ হয়ে ওঠে। পরীক্ষার ফলাফলও তাই বলে দিচ্ছে— এই মাদ্রাসা পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য। তবে এই কর্মকাণ্ড সফল হতো না অভিভাবকদের ভরসা ও উদ্যোগ ছাড়া। এলাকাবাসী সকল অভিভাবকই মাদ্রাসার প্রতি কৃতজ্ঞ, ছেলেমেয়েদের গড়ে তোলার জন্য। ওড়গ্রামের চতুষ্পল্লী হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুল আলিমের কথায়, ‘এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে সকলে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষা গ্রহণ করতে আসে। সেখানে ধর্মের কোনও জায়গা নেই। লেখাপড়া, খেলাধুলো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিসিপ্লিন— এগুলোই আমাদের অগ্রাধিকার। উন্নত ল্যাব, স্মার্ট ক্লাসরুম, জিম— এসবেই আমরা বেশি জোর দিই। ধর্মীয় অনুশাসনের কোনও জায়গা নেই।’ বহু মাদ্রাসার থেকে আলাদা এই এই মাদ্রাসা। অন্যান্য অনেক জায়গায় যা ভাবা যায় না, তা এখানে অনায়াসে করা যায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণির ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষাই যে হতে পারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র, আত্মপরিচয় গড়ার সবচেয়ে বড় জায়গা, এই মাদ্রাসা যেন তার জীবন্ত প্রমাণ। যেখানে সমান সুযোগ পাচ্ছে সব ধর্মের ছাত্রছাত্রী, আর বইয়ের পাতায় গড়ে উঠছে ভবিষ্যতের পথ। হয়তো এভাবেই শিক্ষা হয়ে উঠতে পারে এক সেতুবন্ধন, মুছে দিতে পারে মানুষে-মানুষে সবরকম ভেদাভেদ। বাইট১। সুপ্রভাত দে(শিক্ষক), ২।সেখ আব্দুল হালিম (প্রধান শিক্ষক), ৩। রাজিয়া খাতুন(ছাত্রী), ৪।জীবন্বেষা খাতুন(ছাত্রী), ৫।সুপ্রিয়া মাণ্ডি(ছাত্রী)। 130925ZG_BWN_ORGRAM ক্যামেরায় সদন সিনহার সঙ্গে অরূপ লাহার রিপোর্ট। मदरसा शब्द सुनते ही बहुतों के मन में यह धारणा আসে कि यह कोई बहुत ही रूढ़िवादी, उग्र धार्मिक अनुशासन से बंधा हुआ शिक्षा संस्थान है। जबकि, पश्चिम बंगाल में ही ऐसा एक मदरसा है, जहाँ मुस्लिम और गैर-मुस्लिम छात्रों की संख्या लगभग बराबर। पूर्व बर्दवान के भातार क्षेत्र का ओड़ग्राम चतुष्पल्ली हाई मदरसा। यह इतना अलग कैसे बन गया? कैसे अनोखी पढ़ाई-पढ़ाने की पद्धति से अपनी विशिष्ट पहचान बना कर, इलाके के गैर-मुस्लिम परिवारों को भी प्रेरित कर रहा है अपने बच्चों को मदरसे में भेजने के लिए। असल कुंजी छुपी है उदारवादी आधुनिक शिक्षा और शिक्षित मानसिकता में। धर्म, जाति, बिरादरी, यहाँ तक कि राजनीति—इनमें से किसी का भी प्रवेश इस मदरसे के भीतर नहीं। मदरसे में धार्मिक कट्टरता की कोई जगह नहीं। न अंधविश्वास की, न ही पुरानी संकीर्ण मानसिकता की। यहाँ शिक्षा ही असली ताक़त है और अनुशासन ही सबसे बड़ा नियम। नतीजों से लेकर खेलकूद तक—हर क्षेत्र में इस मदरसे ने कमाल किया है। उदार मन वाले शिक्षकों की आधुनिक शिक्षण शैली से न केवल मुस्लिम छात्र-छात्राएँ, बल्कि हिंदू और अन्य समुदायों के बच्चों की भी बराबर भीड़ उमड़ती है। और इसका श्रेय उनके अभिभावकों को भी जाता है। यह संगम सिर्फ शिक्षा जगत को ही नहीं, बल्कि पूरे समाज को एक नई रोशनी और संदेश दे रहा है। यहाँ के शिक्षक कहते हैं— “हमारा लक्ष्य है वैज्ञानिक सोच वाले बच्चे तैयार करना। हमारे इलाके से ही नहीं, बाहर से भी कई हिंदू बच्चे यहाँ पढ़ने आते हैं। एससी-एसटी परिवारों में भी यह विश्वास बना है कि इस मदरसे में पढ़ने से अच्छे नतीजे मिलेंगे। पढ़ाई तो मुख्य विषय है ही, लेकिन अनुशासन से हम ज़रा भी समझौता नहीं करते।” पेड़ों से घिरी शांति-भरी वातावरण, बड़े-बड़े क्लासरूम। गणित, अंग्रेज़ी, विज्ञान—सबकी पढ़ाई सामान्य ढंग से चलती है। शिक्षक चाहते हैं कि बच्चे धर्म की सीमाओं से ऊपर उठकर इंसान बनें। परीक्षा परिणाम भी यह साबित करते हैं कि यह मदरसा पश्चिम बंगाल की शिक्षा व्यवस्था में अनोखा है। लेकिन यह सब कुछ संभव नहीं होता अगर अभिभावकों का विश्वास और सहयोग नहीं होता। सभी अभिभावक इस मदरसे के आभारी हैं कि यह उनके बच्चों को गढ़ रहा है। प्रधान शिक्षक शेख़ अब्दुल अलीम कहते हैं— “यह एक शिक्षा संस्थान है। यहाँ सभी आधुनिक ज्ञान-विज्ञान की शिक्षा लेने आते हैं। धर्म की कोई जगह नहीं। पढ़ाई-लिखाई, खेलकूद, सांस्कृतिक कार्यक्रम, अनुशासन—यही हमारी प्राथमिकताएँ हैं। आधुनिक लैब, स्मार्ट क्लासरूम, जिम—इन्हीं पर हम ज़्यादा ज़ोर देते हैं। धार्मिक अनुशासन की कोई जगह नहीं।” कई मदरसों से अलग यह मदरसा। जहाँ और जगह सोचना भी मुश्किल है, वहाँ यह वास्तविकता है। जाति-धर्म-बिरादरी-श्रेणी से ऊपर उठकर शिक्षा ही सबसे बड़ा हथियार बन सकती है, आत्मपहचान बनाने का सबसे बड़ा स्थान बन सकती है—इसका यह मदरसा ज़िंदा उदाहरण है। जहाँ सभी धर्मों के छात्रों को समान अवसर मिलता है और किताबों के पन्नों से भविष्य का रास्ता बनता है। शायद शिक्षा इसी तरह एक सेतु बन सकती है, जो हर तरह का भेदभाव मिटा दे। --- बाइट्स (Bites): 1. सुप्रभात डे (शिक्षक) 2. शेख़ अब्दुल हलीम (प्रधान शिक्षक) 3. रज़िया खातून (छात्रा) 4. जीवन्वेशा खातून (छात्रा) 5. सुप्रिया मांडी (छात्रा)
0
comment0
Report
CDChittaranjan Das
Sept 13, 2025 11:50:29
Durgapur, West Bengal:*রাজ্য সরকারের অধীনস্থ অন্যত্র বদলি করে দেওয়া শ্রমিকদের বিক্ষোভ কারখানার প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে।* রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ডিপিএল বা দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেডের কোকওভেন ইউনিট ২০১৬ তে বন্ধ হওয়ার পর সংস্থার কর্মীদের খাদ্য দফতর, বিডিও অফিস বিভিন্ন জায়গায় বদলী করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই বদলী হওয়া কর্মীদের ১৮ জনকে ফের বাঁকুড়া পুরুলিয়া মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলাতে পাঠানো হচ্ছে। পুজোর আগে এমন হটকারী সিদ্ধান্তের প্রত্যাহারের দাবিতে এবার দুর্গাপুর প্রজেক্ট লিমিটেড বা ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ বদলী হওয়া কর্মীদের। দাবী, অবিলম্বে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতরের আধিকারিকদের এই সিদ্ধান্ত পুনরবিবেচনা করার জন্য আর্জি জানাক, নচেৎ এই গেট আটকে আন্দোলন জারি থাকবে। আন্দোলনের জেরে সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকদের কার্যত আটকে পড়ে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের। অভিযোগ ধাপে ধাপে বদলী হওয়া শ্রমিকদের ভাতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্রাত্য রয়েছে থাকার জায়গা থেকে শুরু করে আরো অনেক সমস্যা এগুলোর সমাধান না করে কেন আচমকা বদলী করে দেওয়া হচ্ছে নিজের জেলা থেকে ভিন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে, প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের। প্রয়োজনে পরিবার নিয়ে বসে পড়ার হুশিয়ারীও দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ডিপিএলের জনসংযোগ আধিকারিক স্বাগতা মিত্র জানান, তারা বিষয়টি দেখছেন। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে শাসক বিরোধীর। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, তৃণমূল জামানায় শ্রমিক স্বার্থ সুরক্ষিত নয়, কারখানা বন্ধ হচ্ছে, বিজেপিকে পাল্টা তোপ শাসক দলের। তবে দাবী না মানা হলে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ ডিপিএলের বদলী হওয়া এই শ্রমিকরা। ছবি 2C তে ফাইল নাম 1309ZG_DGP_DPL_LBR_PBLM_R
0
comment0
Report
MMManoj Mondal
Sept 13, 2025 11:50:17
Kolkata, West Bengal:এবার বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগ বৃদ্ধিতে অভিনব উদ্যোগ নিল বনগাঁ মহকুমার পুলিশ প্রশাসন। চালু হল বিশেষ পুলিশ বন্ধু অ্যাপ। থানায় এসে এই অ্যাপের মাধ্যমে আম জনতা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন পুলিশের কাছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরো দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতেই বনগাঁ জেলা পুলিশ এলাকায় চালু হল এই পুলিশ বন্ধু কিয়স্ক। আগামী দিনে বনগাঁ মহকুমার বাসিন্দারা কোন অভিযোগ জানাতে গেলে তদন্তকারী অফিসারের কাছে না গিয়ে , থানায় থাকা এই কিয়স্ক এ পুলিশ বন্ধু অ্যাপ ব্যবহার করেই তদন্ত কতদূর এগোলো বিশদ বিবরণ পেয়ে যাবেন অ্যাপ এর মধ্যেই। প্রয়োজনে তদন্তকারী আধিকারিক এর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও কথা বলার ব্যবস্থাও রয়েছে এই বিশেষ পুলিশ বন্ধু অ্যাপ এ । এমনি জানান বনগাঁ জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। ফলে এবার আরো দ্রুত ও সহজভাবে পুলিশি পরিষেবা পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন অনেকে। এদিন বনগাঁ থানায় এই পুলিশ বন্ধু কিয়স্ক এর উদ্বোধন হয়। পুলিশ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। সেই ভীতি কাটাতেই মানুষের সঙ্গে নিবিড় সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দিতেই এমন উদ্যোগ বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
0
comment0
Report
PDPradyut Das
Sept 13, 2025 11:49:49
Jalpaiguri, West Bengal:2C 1309ZG_JAL_NEPAL_TRUEST_R1 Nepal story R & R1 বলে ২সি তে বাইট, ভিডিও এবং স্টিল ছবি গেছে। নেপাল থেকে ফিরে এলেন জলপাইগুড়ির গবেষক ময়ূখ! চোখের সামনে গুলি-বোমার বিভীষিকা! চোখের সামনে গুলি চলতে দেখার অভিজ্ঞতা কোনও সাধারণ মানুষের জীবনে সহজে আসে না। সেই হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা নিয়েই নেপাল থেকে বাড়ি ফিরলেন জলপাইগুড়ির গোমস্তাপাড়ার বাসিন্দা ও গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য। দীর্ঘ কয়েক দিন নেপালে আটকে থাকার পর অবশেষে জলপাইগুড়িতে ফিরলেন গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন পরিবারের লোকজন। বাড়িতে খুশির হাওয়া। ক্যামেরার সামনে নেপালের হাড় হিম করার অভিজ্ঞতা শোনালেন ময়ূখ। জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সেমিনারে গিয়ে নেপালে আটকে থাকা জলপাইগুড়ির গবেষক ময়ূখ ভট্টাচার্য বাড়ি ফিরলেন।প্লেনের টিকিটের চড়া দাম থাকায় বিহার সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে গোমস্তা পাড়ার বাড়িতে ফিরলেন ময়ূখ। গত ৮ তারিখ থেকেই নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে যাওয়ায় সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যে কার্যত হোটেল বন্দী হয়ে পড়েছিলেন ময়ূখরা। হোটেলে বসেই একের পর গুলির শব্দে কান ঝালাপালা হয়েছিল।খাদ্য সংকট তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পেরে স্বস্তির নি:স্বাশ ফেলেন ময়ূখের পরিবার। আন্তর্জাতিক জলবায়ু সংক্রান্ত এক সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, সেমিনারের মাঝপথেই নেপালের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অস্থিরতায় হঠাৎ করেই চারদিক জুড়ে গুলির শব্দ, রাস্তায় সেনা টহল, আতঙ্কে থমথমে পরিবেশ। কার্যত হোটেলের ভেতরে বন্দি হয়ে পড়েছিলেন ময়ূখ ও তাঁর সহযাত্রী গবেষকরা। মোবাইলের ভিডিও কলেই পরিবারকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তব ছিল ভয়ংকর। ময়ূখের কথায়, “হোটেলের কাচের জানালার ওপারেই একের পর এক গুলি চলছিল। কানে ঝাঁঝালো শব্দ, বুক কেঁপে উঠছিল। খাবার জোগাড় করতেও সমস্যা হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আর হয়তো ফেরা হবে না।” শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই তাঁরা সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছন। প্লেনের টিকিটের আকাশছোঁয়া দামে সম্ভব না হওয়ায় সড়কপথে বিহার সীমান্ত হয়ে অবশেষে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসেন ময়ূখ। বহু আতঙ্কের মুহূর্তের পর গতকাল নিজের বাড়ি গোমস্তাপাড়ায় ফিরতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন পরিবারের সদস্যরা। ময়ূখের বাবা জানান, প্রতিটি রাত তাঁদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে। “ছেলেকে সুস্থভাবে ফিরে পেয়ে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি,” চোখে জল নিয়ে বললেন তিনি। নেপালের বিভীষিকাময় পরিস্থিতি থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসে আজ যেন নতুন জীবনের স্বাদ পেলেন গবেষক ময়ূখ। কিন্তু সেই গুলির শব্দ, আতঙ্কে ভরা রাতগুলো আজীবন তাঁর মনে গেঁথে থাকবে। অপরদিকে জানা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বের প্রচেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন নেপালে যাওয়া গবেষক ছাত্রদের প্রতিনিধি দল। গত ৫ই সেপ্টেম্বর 2025 নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগ দিতে নেপালে গিয়েছিলেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র ময়ূখ ভট্টাচার্য সহ আরও চার পাঁচ জন গবেষক ও ছাত্রদের প্রতিনিধি দল। পরবর্তীতে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ও যোগাযোগের জটিলতায় তারা সেখানে আটকে পড়েন। ক্রমবর্ধমান অশান্তি ও লাগাতার রাজনৈতিক অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন হয়ে নেপালে আটকে পড়ায় তাদের পরিবারও দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। ময়ূখের কথায়, "নেপালে আটকে পড়ে প্রাথমিকভাবে আমরা কি করব, কোথায় যোগাযোগ করব বুঝতে পারছিলাম না। একাধিক জায়গায় মেইল মারফত যোগাযোগ করেও কোনো সুবিধা করা যায়নি। এই সময়ে আমার স্কুল জুনিয়ার তথা গবেষক ছাত্রনেতা ভাই সুপ্রিয় চন্দকে গোটা বিষয়টা জানাই। পরবর্তীতে ওর মাধ্যমেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রামমোহন রায়ের সাথে কথা হয়। যেভাবে প্রশাসনিক সহযোগিতায় ও লাগাতার খোঁজখবর নিয়ে রাত জেগে যুব নেতৃত্বরা বাড়ি ফিরতে সাহায্য করেছেন, তাতে আমরা সত্যিই অন্তর থেকে খুশি। বাড়ি ফিরে ভালো লাগছে। মাননীয় রামমোহন রায়কে আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। " এই প্রসঙ্গে সুপ্রিয় চন্দকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমরাও আশঙ্কার মধ্যে ছিলাম। ময়ূখ দা আমার জলপাইগুড়ির ছেলে, স্কুল সিনিয়র ও কৃতি গবেষক। আমি খবরটা পেয়েই আমাদের জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি রামমোহন দা কে জানাই আলোচনা করি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই রামমোহন দা সবসময় মানুষের পাশে যেভাবে থাকেন, সেভাবেই এক্ষেত্রেও পুরো ব্যাপারটা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। রামমোহন রায় বলেন, ওরা সাবধানে ভালো ভাবে বাড়ি ফিরে এসেছেন, এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা। রোকসান সীমান্ত পার হওয়া অবধি আমি ভোর চারটে অবধি ওদের সাথে ফোনে যোগাযোগে ছিলাম। খবর পাওয়ার থেকে আজকে অবধি, আমি নিজেও টেনশনে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে ছিল, আছে, সবসময়। তৃণমূল কর্মী হিসেবে জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধিনায়ক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে, মানুষের পাশে থাকাটা আমাদের কর্তব্য। রিপোর্ট:- প্রদ্যুত দাস ক্যামেরা :- ঋষি চক্রবর্তী ( জলপাইগুড়ি )
1
comment0
Report
STSrikanta Thakur
Sept 13, 2025 11:49:35
Dinajpur, Rangpur Division:বালুরঘাট শহরে বিশ্বাসপাড়া পেট্রোল পাম্পের উল্টোদিকে একটি আবাসনের নিচে আজ বিকেলে ভিক্ষাবৃত্তি করার পর দুইজন মহিলা বসে গল্প করছিলেন এবং সারাদিনে মাধুকরি করে যে উপার্জন দুজন মিলে করেছিলেন তারই ভাগ বাটোয়ারা চলছিল বলে খবর। ভাগ বাটওয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ হয়। তখনই একজনের ব্যাগে থাকা লোহার হাসুয়া দিয়ে অন্য জনকে আক্রমণ করে। তার মাথায়, হাতে ও ঘাড়ে একাধিক কোপ মেরে দেয়। যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকেন বয়স্ক ওই মহিলা। দায়িত্বে থাকা আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটে এসে হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেন কিন্তু ততক্ষণে রক্তাক্ত হয়ে গেছেন ওই মহিলা। এরপরই হইচই শুরু হতেই এলাকায় লোকজন জমে যায়। আক্রমণকারী মহিলাকে আটকে রাখা হয় আবাসনের সামনে। খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে আহতকে উদ্ধার করে পাঠায় বালুরঘাট হাসপাতালে। অন্য জনকে নিয়ে গেছে বালুরঘাট থানায়। এখনো পর্যন্ত ওই দুই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান বালুরঘাট শহরের আশপাশেই এদের বাড়ি। প্রতি শনিবার করে ভিক্ষাবৃত্তি করতে বাজারে আসেন এবং দিনের শেষে নিজেদের উপার্জন ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার বাড়ি চলে যান। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোন গন্ডগোলের কারণেই এই আক্রমণ বলে প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের। বাইট ১/ বিকাশ দাস (বাসীন্দা) 1309ZG_SDIN_ATTACK
2
comment0
Report
PCPartha Chowdhury
Sept 13, 2025 11:49:16
Bardhaman, West Bengal:বাড়ির মেয়েকে বাঁচাতে চন্দ্রবোড়ার কামড় খায় ছ বছরের চিকু। দ্রুত নেতিয়ে পড়ছিল।বৃষ্টির মধ্যে বাইক চালিয়ে ত্রিশ কিলোমিটার দূরের বর্ধমানে নিয়ে আসেন মা আর বাবা। তারপর...? story: চিকু এখন ভাল আছে। কয়েকদিন আগেই জীবনমরণ সমস্যা হয়েছিল চিকুর। ভয়ংকর চন্দ্রবোড়ার কামড়ে ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ছিল। ব্লিডিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। এখন চিকু সুস্থ। পরিবারের লোকের তৎপরতা আর ডাক্তারবাবুর সময় সিদ্ধান্ত বাঁচিয়ে দিয়েছে চিকুর প্রাণ। চিকু একটি ছ বছরের স্পিটজ কুকুর।এই গোত্রের কুকুরই একসময় বেশি পোষা হত ভারতে। এরা খুব ঘরোয়া আর পারিবারিক হয়। খাওয়া দাওয়ার ঝামেলা কম। কম জায়গায় দিব্যি মানিয়ে নেয়। আবার পাহারাও দিতে পারে। একটু উনিশ বিশ দেখলেই চিৎকার করে পাড়া মাথায় তোলে।ভালবেসে অনেকে এই ব্রিডকে ' চিল্লানোসরাস ' বলেন।এরা খুব সজাগ প্রকৃতির। সেদিনও একটা বিপদ আঁচ করেছিল ছ বছরের মেয়ে কুকুর চিকু। বাড়ির মেয়েটি ফ্রিজ থেকে দুধ আনতে গিয়েছিল। ঘরের কোণে ওঁত পেতে ছিল রাসেল ভাইপার। চন্দ্রবোড়া! সেসময় মেয়েটিকে বাঁচাতেই সাপের কামড় খায় চিকু। পরিবারের কর্তা রামতনু দাস জানান, ' ও নিজের উপর নিয়ে নিয়েছে। এ বিপদ আমার মেয়েরই হতে পারত। যদিও চিকুও আমার মেয়ে। ' বাড়িটা গলসীতে। দেরি করেননি রামতুন আর ইতু। বাইকে চাপিয়ে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে চিকুকে নিয়ে আসেন বর্ধমানের ঘোড়দৌড়চটিতে। ইতু দাস জানান, পাগুলো নীল হয়ে গিয়েছিল। রক্তবমি শুরু হয়ে গিয়েছিল। পিছন থেকেও রক্ত বেরোচ্ছিল। চনমনে চিকু ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছিল। আশা কমে আসছিল। তারপরে বিশিষ্ট প্রানী চিকিৎসক পার্থ সরকারের কয়েকদিনের চিকিৎসা। এখন সুস্থ চিকু। ফিরে গেছে বাড়ির চেনা জগতে। ডা: সরকার এর আগেও তিনটি সর্পদষ্ট কুকুরের চিকিৎসা করেছেন। অ্যান্টিভেনাম পাওয়া সহজ নয়। আরো কঠিন চন্দ্রবোড়ার কামড়ের আফটার শক। ধীরে কিন্তু নিশ্চিত মৃত্যু চোখ রাঙাতে থাকে। কিন্তু কেন? ডা: সরকার জানাচ্ছেন, ভারতের গ্রামীণ ও আধা–শহর অঞ্চলে বর্ষাকাল এলেই সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। নদী–নালা খানা -খন্দ উপচে পড়ে, গর্তে বর্ষার জল ঢুকে যায় এবং সাপ আশ্রয় খুঁজতে মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে চলে আসে। এসময় শুধু গবাদি পশুই নয়, ঘরোয়া পোষা প্রাণী—বিশেষ করে কুকুর ও বিড়াল—সাপের দংশনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সাপের প্রকারভেদ: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ইত্যাদি জেলায় বর্ষাকালে সাধারণত দুটি ধরনের সাপ বেশি দেখা যায়— 1. নির্বিষ (Non-venomous) : ঘর চিতি, দারাশ, জলধড়া, লাউডগা ইত্যাদি। 2. বিষাক্ত (Venomous) : নিউরোটক্সিক – গোখরো, কেউটে, কালাচ ইত্যাদি হেমোটক্সিক – চন্দ্রবোড়া বা বোড়া (রাসেল ভাইপার)। সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই বিষ। মজার ব্যাপার, এ সাপের ফণা নেই। তিনি জানান, এদের মধ্যে চন্দ্রবোড়ার কামড় সবচেয়ে বেশি ঘটে এবং তা বেশিরভাগই প্রাণঘাতী হতে পারে। সবচেয়ে বিপদ হয় তখন যখন বুঝতে দেরি হয়ে যায়। তিনি জানান, 'সম্প্রতি আমাদের কাছে আনা হয়েছিল “চিকু ” নামের ৬ বছর বয়সী একটি স্পিচ কুকুর (Female)। তাকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দেয় পায়ের অংশে। মালিক প্রথমে দেখেন এবং বুঝতে পারেন এটি সাপের কামড়। কারন তিনি চন্দ্রবোড়া সাপটিকে দেখতে পান এবং ক্ষত স্থানে রক্ত ঝরা, ফোলা আর দুর্বলতা দেখেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন। কিন্তু কীভাবে প্রাণ ফিরে পেল চিকু? রক্ত পরীক্ষায় Whole Blood Clotting Test (WBCT20) পজিটিভ আসে, যা হেমোটক্সিক বিষক্রিয়াকেই নিশ্চিত করে।চিকুর মা, বাবার দু:শ্চিন্তা বাড়তে থাকে। ততক্ষণে ক্লিনিক্যাল লক্ষণ প্রকট হয়ে উঠতে থাকে। কামড়ের স্থানে ফোলা, ব্যথা ও কালচে হওয়া। দ্রুত দুর্বলতা ও নিস্তেজ হয়ে পড়া। রক্তবমি, রক্তসহ পায়খানা আর একটা লক্ষণ। এসব কামড়ের গুরুতর ক্ষেত্রে Acute Kidney Injury (AKI) হতে পারে। এরপর শুরু হয় চিকিৎসা পর্ব। অ্যান্টিস্নেক ভেনম (ASV) প্রয়োগ করা হয় নির্দিষ্ট ডোজে। এসব ক্ষেত্রে সাপোর্টিভ কেয়ার খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে IV Fluid,PPI ড্রাগ,অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়।প্রয়োজনে ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড। রোগীকে ৩–৫ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং কিডনি ফাংশন বারবার পরীক্ষা করা হয়। কয়েকমাস আগে একটি ল্যাবকে গোখরো কামড়েছিল। সময়মতো অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগ তাকে বাঁচিয়েছিল। এক্ষেত্রেও “চিকু ” সময়মতো চিকিৎসা পাওয়ায় সুস্থ হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে। ডাক্তার পার্থ সরকার জানান, এই ধরণের কেস তারা কম পান। চিকুকে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর দশ ভাওয়েল অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগ করতে হয়।এক্ষেত্রে অ্যান্টিভেনাম, ওষুধের ডোজ গুরুত্বপূর্ণ। এই ফলাফল অন্য প্রাণীর চিকিৎসায় সাহায্য করবে। কুকুর মানুষের সঙ্গে আছে কম করে দশ হাজার বছর৷ আর কোনোও প্রাণীর সঙ্গে মানুষের এই বন্ডিং নেই। প্রিয়জনকে বাঁচাতে নিজেকে এগিয়ে দিতে কুকুরই পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের মত, দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হবে বর্ষাকালে। বাইট : ১) রামতনু দাস ( মালিক) ২) ইতি দাস ( গৃহকর্ত্রী) ৩) ডা: পার্থ সরকার ( চিকিৎসক)। ভিস্যুয়াল আছে। সদন সিনহার সঙ্গে পার্থ চৌধুরী। ঘোড়দৌড়চটি,বর্ধমান।। 1309ZG_BWN_VIPER
2
comment0
Report
Advertisement
Back to top