পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় বিজেপির দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি রুদ্রনীল ঘোষ। ১) হুমায়ূন কবিরের নতুন দল ঘোষণা নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, একটা নয় তিন চারটে দল ঘোষণা করতে পারেন তিনি । মমতা ব্যানার্জী কতগুলো দল ঘোষণা করতে বলবেন সেই বিষয়ে কয়েকদিন পর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। মসজিদে নির্মাণে মমতা ব্যানার্জী তাঁর বহুদিনের ঘনিষ্ট হুমায়ূনকে সহযোগিতা করেছেন । হুমায়ূন কবির কোন দল করবেন সেটা মমতা ব্যানার্জী এবং হুমায়ূন কবিরের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ২) বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, এটা একটা মানসিকতার ব্যাপার । পশ্চিমবঙ্গের ভোগবনপুরে গায়িকা লগ্নজিতা জাগো মা গান গেয়েছেন বলে মেহবুব মল্লিক তাকে মারতে গিয়েছিলেন । এটা একটা ভাবনা থেকে তৈরি হয়েছে । পুরো ইসলামিক ফ্যাসিবাদী ধারণা সারা পৃথিবীতেই এক । যতক্ষননা ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রজনীতিক ঝান্ডা ভুলে সকলে একত্রিত হয়ে এই শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ ঘোষণা করছে ততক্ষন এরা দমবার নয় । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যদি না পবিত্র ঈদের নামাজের মঞ্চে হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছিলেন, যদি না তিনি মহाकুম্ভকে মৃত্যু কুম্ভ বলে অসম্মান করতেন, হিন্দু দেবদেবীকে যারা অপমান করে তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নীরবতা বা প্রচ্ছন্ন সমর্থন সেটা এপার হোক বা ওপর হোক সেটা ইউনূস হোক কিংবা মমতা ব্যানার্জী এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এক ভাবনা থেকে বিষ ছড়ানো হচ্ছে। এই ভাবনার মৃত্যু হওয়া দরকার, যা মানবিকতার পক্ষ ভয়ংকর। ৩) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিএলওদের নিয়ে বৈঠকের প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন,  দুঃখের সঙ্গে প্রবীনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই হয় যে তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নন । বয়সজনিত কারণে বা তৃণমূল আচরণের জন্য তিনি গুলিয়ে ফেলেন কোনটা নবান্ন আর কোনটা বাহান্ন অর্থাৎ তৃণমূলের পার্টি অফিস। পার্টি অফিসে বসে যে আচরন বা মিথ্যাচার করবার কথা সেটা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে করেন। আবার ঠিক উল্টো চেয়ারে বসে একই কাজ করেন । যারা আইন মেনে বিএলও রয়েছেন, যারা পশ্চিমবঙ্গের সাংঘাতিক অবস্থা দেখে সচেতন হয়েছেন তারা প্রবীনা মুখ্যমন্ত্রীর খামখেয়ালীপনায় মত্ত হবেন না । বাইট: রুদ্রনীল ঘোষ