নবদ্বীপে রাস উৎসব বৈষ্ণব, শাক্ত মিলন উৎসব প্রচলন সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়, যিনি জগদ্ধাত্রী পুজো প্রচলিত করেছিলেন প্রথম রাস এর ও তার বড় ভূমিকা ছিল, রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে নবদ্বীপে পুজো হয় বৈষ্ণব, শাক্ত ও শৈব মত অবলম্বনে প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো হয় নবদ্বীপে, মহাপ্রভু, রাধাকৃষ্ণের চক্ররাস, পার্থসারথী, যুগলমিলন তেমনি, কৃষ্ণকালী,রণকালী, বামাকালী, ভুবনেশ্বরী, কমলেকামিনী, গণেশ জননী ইত্যাদি নাম করা পুজো। রাসেও থিম চোখে পড়ার মত, যেমন নবদ্বীপে ওলাদেবীতলা সবুজ সঙ্ঘেরও এবারের থিম আকর্ষণ 'ভৌতিক রেল স্টেশন , ভুতুড়ে ট্রেন'। এই পাড়ার নাম ওলাদেবীতলা। সে কারণে এই রেল স্টেশনের নাম দেওয়া হয়েছে ওলাদেবীতলা স্টেশন। এই স্টেশনে করা হয়েছে দু'কামরা বিশিষ্ট পুরনো দিনের সেই কয়লার ইঞ্জিন ট্রেন। সেটা প্লাটফর্মে দাঁড়ানো আছে। সেই ট্রেনে দর্শকরা উঠবে সেখানে কিছু জীবন্ত ভূত থাকবে। সেই ভূত তাদের যে ভৌতিক বিষয় সেগুলো দেখাবে। বাচ্চারা তাতে বিনোদন লাভ করবে। রেল স্টেশনের আদপে এই স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এখানে টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে যাত্রী প্রতীক্ষালয় জিআরপি অফিস, স্টেশন মাস্টারের ঘর, টিকিট কাউন্টার রেলওয়ে ওয়ার্কশপ সমস্ত কিছু রয়েছে। সবকিছুর দায়িত্বে ভূতের দল। সম্পূর্ণ লাইট এবং সাউন্ডের মাধ্যমে ভৌতিক পরিবেশ বজায় থাকবে। ভূত দেখার পাশাপাশি কয়লার ইঞ্জিনের ট্রেন দেখা উপরি পাওনা।এখনকার প্রজন্মরা নতুনভাবে চাক্ষুষ দেখতে পারবে। এখানে মহাভারতের অবলম্বনে প্রতিমা সৌপ্তিক মহাদেব। পান্ডব এবং কৌরবদের মধ্যে যে যুদ্ধ সেই যুদ্ধে মহাদেব পান্ডবদের পক্ষ হয়ে তির গিলে খাচ্ছেন তির খাওয়া অবস্থাত মহাদেবের যে মূর্তি সেটাই এখানে পূজিত হচ্ছে।