শান্তিপুরকে হেরিটেজ ঘোষণার দুই বছর পরও কাজের অগ্রগতি নিয়ে বাড়ছে প্রশ্ন বাংলারপ্রাচীন শহরগুলির মধ্যে অন্যতম নদীয়ার শান্তিপুর শহর। চৈতন্য মহাপ্রভুর সমসাময়িকী এই শহর আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। এই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো, ভাঙ্গা রাস, তাঁতের শাড়ি এর খ্যাতি বিশ্ববিখ্যাত। এ শহরের সিংহভাগ রোজগার তাঁতের শাড়ি উৎপাদনের। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুরের রাসকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এই শহরের আজও বহু ঐতিহ্য রয়েছে যা কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। তোপখানা মসজিদ, গোস্বামী বাড়ি, কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান, শ্যামচাঁদ মন্দির, শান্তিপুরের পাবলিক লাইব্রেরি, বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়ি, ব্রহ্মশাসন, বাবলার অদ्वৈত পাঠ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু পা রেখেছিলেন এই শহরে। একাধিক ঐতিহ্য রয়েছে যা ইতিহাসের পাতায় অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও পর্যটনের দিকে তাকিয়ে গঙ্গার তীরে তৈরি হয়েছে সুদৃশ্য হোটেল। শুধুমাত্র উৎসবের সময়ে প্রচুর মানুষের আনাগোনা হয়। ইতিহাসের বেশ কিছু জিনিস রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সংস্কারের দাবি জানিয়ে এই শহরকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি সাধারণ মানুষের। প্রতিদিন শান্তিপুর কে কেন্দ্র করে কয়েক লক্ষ টাকার তাঁতের কাপড় কেনা বেচা হয় এখানে। তাঁতকে সামনে রেখেই হেরিটেজ ঘোষণা হলে একদিকে যেমন শান্তিপুর শহরের চালচিত্র বদলে যাবে অন্যদিকে নদীয়া জেলার শান্তিপুর এক ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান হিসেবে জায়গা করে নেবে। ২০২২ সালে বিধায়কের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিপুরের ভাঙ্গা রাসকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি শান্তিপুরের বেশ কিছু প্রাচীন তীর্থস্থান উন্নয়নের জন্য জেলাশাসক পর্যায়ে মিটিং করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি পূরণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এখন কবে শান্তিপুর শহর হেরিটেজ ঘোষণা হবে সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। যদিও এ ব্যাপারে বিজেপি কটাক্ষ করতে ছাড়েনি, সাংসদ জগন্নাথ সরকার তিনি জানান মমতা ব্যানার্জি ধোকা দেওয়া নাটক বাজি করাই কাজ খেলা মেলা এই ব্যস্ত লক্ষীর ভাণ্ডার দিতেই শেষ । এবার ভোটে গো হারা হবে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে হেরিটেজ করে দেবে এই শহরকে। 1.বিভাস ঘোষ ব্যবসায়ী 2.জগন্নাথ সরকার সাংসদ রানাঘাট লোকসভা 3.সুব্রত ঘোষ চেয়ারম্যান শান্তিপুর পৌরসভা 4.পলাশ সাধুখা প্রধান শিক্ষক সূত্রাগর 5.লালন শেখ স্থানীয় বাসিন্দা 6.সুকুমার মহলদার স্থানীয় বাসিন্দা