অভিযান চালিয়ে জাল নথি তৈরির চক্রের পর্দাফাঁস করল রতুয়া থানার পুলিশ। রতুয়া থানার চাঁদমুণি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আন্ধারু গ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি জাল নথি ও সিলমোহর উদ্ধার হয়। এই জাল নথি কারবারের সঙ্গে জড়িত দু'জনকে গ্রেফতার করেছে রতুয়া থানার পুলিশ। ধৃতদেরকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন চাঁদমনি ২ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আসফাতুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। যদিও এই বিষয়ে প্রধানের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত শাসকদলের ঘনিষ্ঠ স্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ধৃতরা হল (১) আব্দুল খালেক ওরফে বুলেট (৪০)। অন্যজন সারিফ খান (৩৫)। সম্পর্কে তারা কাকা ভাইপো। ধৃত সারিফ খান চাঁদমণি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত আসফাতুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। রতুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, তার দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া ২৯টি সিলের মধ্যে রয়েছে সামসী গ্রাম পঞ্চায়েত, চাঁদমণি-২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত, শ্রীপুর অঞ্চল হাই স্কুল, মিলনগড় হাই মাদ্রাসা ও বাটনা হাই মাদ্রাসার সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একাধিক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট, মার্কশিট, জন্ম শংসাপত্র ও একটি কম্পিউটার প্রিন্টার। তথ্য লোপাট করতে কিছু সিল দোকানের পিছনের নয়নজুলিতে ফেলে দেয়। সেগুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে, চাঁদমনি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্ধারু গ্রামে ‘রাজা কম্পিউটার’ নামে দোকানে রীতিমতো তৈরি হত এই সমস্ত জাল নথি। প্রথমে ওই দোকানের মালিক সারিফ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জেরা করে আর এক অভিযুক্তের নামে তথ্য বেরিয়ে আসে। রতুয়া থানার পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে“ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া সরকারি নথি ও সিলমোহরের উৎস এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্য জানতে তদন্ত চলছে।” সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিশা দাস এবং বাটনা হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেনের বক্তব্য যারা এই ধরনের কাজে যুক্ত রয়েছে পুলিশ সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোঃ আবদুল তোয়াব স্বীকার করে বলেন ধৃতদের মধ্যে একজন সারিফ খান চাঁদমনি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আসফাতুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। আইন আইনের পথে চলবে এখানে কোন রং দেখা হবে না।