বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুর কে পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা চলবে" সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে এতই জানালেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। কয়েক মাস পরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে ও এলাকার মানুষের সাথে জনসংযোগ করতে সিঙ্গুর বিধানসভা এলাকায় প্রবাস কর্মসূচিতে এলেন বিজেপি সাংসদ। দলীয় নেতৃত্বদের সাথে সাংগঠনিক বৈঠক করার পাশাপাশি এলাকার ব্যবসায়ী ও বিশিষ্টদের সাথে জনসংযোগ করেন জয়ন্ত রায়। সিঙ্গুরে শিল্প না হওয়া এবং জমিতে চাষ আবাদ না হওয়া নিয়ে সাংসদের গলায় আক্ষেপের সূর শোনা গেল। বিজেপি সাংসদ বলেন, আমি সিঙ্গুরের ওই জায়গায় গিয়ে দেখেছি সত্যিই খুব বেদনাদায়ক কারণ এখানে হাজার হাজার মানুষকে বঞ্চিত করা হলো এবং জীবন জীবিকা, রুজি রোজগারের তাদের যে সুযোগ ছিল তা ছিনিয়ে নেওয়া হলো। এখানকার বেশীর ভাগ জমি কাশ ফুল এ ভর্তি, যেখানে কারখানা হয়েছিলো সেখানে এখনো কংক্রিট হয়ে আছে। অর্থাৎ এটা এখন চাষ যোগ্য অবস্থায় নেই। এখানে যেমন কারখানায় বাধা দেওয়া হল, তেমনি সেই জমি চাষযোগ্য অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হল না। এই মানুষগুলোকে বঞ্চিত রাখা হল। আমরা ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরকে আবার ও পুনুরুজ্জীবন করার চেষ্টা চালাবো , এটা নিশ্চিত। দুর্গাপুর মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়া নির্যাতন প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, এখানে পুলিশ প্রশাসন কি সক্রিয় ? যদি সক্রিয় হয় তাহলে তারা শুধু বিরোধীদের জন্য সক্রিয়। এখানে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কারোর নেই। প্রতিবাদ করলেই তাকে ধরে জেলে পাঠানো হয়। দলীয় কার্যক্রমে এসে শনিবার সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দিরে পুজো দেন জলপাইগুড়ির সাংসদ। মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ পুজো দিয়ে মা এর চরণে ফুল অর্পন করেন। এরপর মন্দিরে উপস্থিত সকলকে নিজ হাতে প্রসাদ বিতরন করেন。 ২০২৪ সালে হুগলি লোকসভায় প্রার্থী হয়ে প্রচারে সর্বপ্রথম সিঙ্গুরের ডাকাত কালীমন্দিরে প্রথম পুজো দিয়েছিলেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপর হুগলি জেলায় শিল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন , হুগলী তে অনেক শিল্প হয়েছে। গাড়িতে আসতে আসতে দেখেছি চারিদিকে শুধু ধোঁয়া।যা নিয়ে কম মিম হয়নি। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, চারিদিকে সব ধোঁয়া মানে, উনি অন্ধকার দেখেছিলেন।ওনাদের আমলে সব অন্ধাকারই থাকবে কিছু হবে না সেটা উনি আগেই বুঝতে পেরেছিলেন。