*সাংসদ অভিনেতা দেবের সাহায্যে হারিয়ে যেতে বসা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিল তাদের ছেলে,সেই বৃদ্ধ দম্পতি এখন গৃহহীন, কখনো খোলা আকাশের নিচে কখনো এর ওর বাড়িতে দিনকাটছে অসহায় দম্পতির।* *অতি বর্ষণে ভেঙেছে মাটির বাড়ি, আশ্রয়হীন বৃদ্ধ দম্পতি,দিন কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে।প্রশাসনের কাছে সরকারি সাহায্যে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন অসহায় দম্পতির।* পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের কাশন্ড গ্রাম।কাশণ্ড গ্রামের বাসিন্দা শালেহা বিবি,স্বামী আজিয়ার রহমান খাঁন।সকাল হলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন গ্রামে গ্রামে ঘুরে লোহা ভাঙা,টিন ভাঙা,কাঁচ ভাঙা সংগ্রহ করে দিন কাটান।হঠাৎই তাদের বসবাসের মাটির বাড়ি অতি বৃষ্টির কারণে ভেঙে গিয়েছিল,আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন বৃদ্ধ দম্পতি।যার জেরে কখনও খোলা আকাশের নিচে কখনও আত্মীয়ের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন।বাড়ির সামান্যটুকু আসবাবপত্রও প্রতিবেশীর এর ওর বাড়িতে রেখে এসেছেন।অভিযোগ প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি,আমল দেয়নি ব্লক প্রশাসন। জানাগেছে,আজিয়ার রহমানের চার কন্যা ও এক সন্তান।মেয়েদের বিবাহ দিয়েছেন,একটি মাত্র ছেলে সাবির।কয়েক বছর আগে সাবির আস্তে আস্তে তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছিল।গ্রামেরই এক যুবক সাবিরের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সামাজিক মাধ্যমে দেবকে উদ্দেশ্য করে পরিবারকে সাহায্যের আবেদন করলে বিষয়টি দেবের নজরে আসে এবং সাবিরের চিকিৎসার সমস্ত রকম দায়িত্ব নেয় দেব।ঘাটালের তৃণমুল সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব সাবিরের চোখের চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করেন,সাবির তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।বর্তমানে ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক সাবির, বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা আজিয়ার রহমান খাঁন ও মা শালেহা বিবি।সাবিরের বাবা আজিয়ার রহমান বলেন,ছেলের চোখের চিকিৎসার সময় ঘাটালের সাংসদ দেব তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।এখন তাদের আশ্রয়টুকুও চলে গিয়েছে তাই দেব ও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।তিনি চাইছেন তাদের আশ্রয়টুকু তৈরি করে দিক প্রশাসন।এরই সাথে অসহায় বৃদ্ধা স্থানীয় শাসকদলের নেতা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন। এবিষয়ে মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ চক্রবর্তী বিশেষ কিছু বলতে চাননি তবে তিনি জানিয়েছেন,"বাড়ি ভেঙে যাওয়ার রিপোর্ট পাঠিয়েছি ড্যামেজ বাড়ির অ্যালটমেন্ট এলেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।"সাংসদ অভিনেতা দেবের হাত ধরে যাদের ছেলের চোখ ফিরে এলো সেই ছেলে রুজিরুটির টানে ভিনরাজ্য।মাথার ছাদ চলে যাওয়ায় গৃহহীন দম্পতির পাশে দাঁড়ানোয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসন উদাসীন কেনো?উঠছে প্রশ্ন।নাকি এক্ষেত্রেও সেই দেবেরই স্বরণাপন্ন হতে হবে।এখন দেখার কত দ্রুত মাথার উপর ছাদ ফিরে পায় আশ্রয়হীন বৃদ্ধ দম্পতি। ছবি বাইট 2c তে Slug- 1909ZG_WMID_HOMELESS_R বাইট ১)শালেহা বিবি(গৃহহীন মহিলা) ২)আজিয়ার রহমান খাঁন(গৃহহীন ব্যক্তি) ৩)নুরজাহান বিবি(প্রতিবেশী) ৪)দিলীপ চক্রবর্তী(উপপ্রধান,মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত)