*রাতভোর বৃষ্টিতে জলমগ্ন বাগরাকোটের টপলাইনের বহু ঘরবাড়ি...* আবার জলমগ্ন মাল ব্লকের বাগরাকোটের টপ লাইনের বহু ঘরবাড়ি। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জলমগ্ন হলো এই এলাকা। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রথমবার জলমগ্ন হয়েছিলো এই এলাকা। গত তিন দিন সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় স্বাভাবিক ছিলো পরিস্থিতি কিন্তু রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টির জন্য জল বেড়েছে বাগড়াকোটেরর জুরন্তী নদীর। সেই জলে জলমগ্ন হলো বাগড়াকোটের টপ লাইনের বেশ কিছু ঘরবাড়ি । ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি। স্থানিয় বাসিন্দাদের দাবি রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি হয় পাহাড় এবং সমতলে আর যার ফলে ফুলে ভেঁপে ওঠে জুরন্তি নদী। আর এই জুরন্তি নদীর জলেই বাগরাকোটের টপ লাইনে বেশ কিছু ঘর বাড়ি জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি কৃষি জমির ক্ষতি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ এই জুরন্তি নদীর বাধ ছোট্ট থাকায় সেই বাঁধের উপর দিয়েই জল চলে আসে গ্রামে যার ফলে এই বিপত্তি। কিছুদিন আগেও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। সেই সময় সেচ দপ্তরের আধিকারিকেরা মাপঝোঁক করে চলে যায় কিন্তু কোন কাজ সেচ দপ্তর না করায় আবার জলমগ্ন হলো এই এলাকায়। শুধু এলাকা পরিদর্শন করলেই হবে না কাজ করতে হবে সেচ দপ্তর কে, দাবি স্থানিয়দের। দিন দিন জুরন্তী নদীর বেড উঁচু হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে স্থানিয়দের দাবি। এই নদীর পাশেই ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে একটা ছোট নিচু বাধ ছিল। নদীর বেড উচু হয়ে যাওয়ায় সেই জল বাঁধের উপর দিয়েই গ্রামে ঢুকে পড়ে। দ্রুত সেচ দপ্তর কে ব্যাবস্থা নিতে হবে বলে দাবি স্থানিয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রবীন প্রধানের। তিনি আরো বলেন, সেচ দপ্তর কোন কাজই করছে না। এর আগে আমরাই জেসিপি দিয়ে নদী গভীরতা বারানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সেচ দপ্তর সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। জানাগেছে বাগড়াকোট এলাকায় ৭১৭ জাতীয় সড়ক তৈরির জন্য পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি হয়েছে। পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সময় পাহাড়ের অবশিষ্ট অংশ নদীতে ফেলাতে নদীর বেড উঁচু হয়ে গেছে বলে দাবি করে স্থানিয়রা। আর তার কারণেই জুরন্তি নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় সেই জল গ্রামে ঢুকে পড়ে। তাই নদীটির দ্রুত ড্রেজিং এর প্রয়োজন আছে। এ ব্যাপারে আধিকারিক এর সাথে কথা বলেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে এলাকার মানুষ সুদিপ ওড়াও জানিয়েছেন। বাইট ১) রবীন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। ২) সুদিপ ওড়াও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। ৩)অরুপ বসাক পিটুসি। 1908ZG_MAL_FLOOD_BAGRAKOTE_R