শিবের নামে তান্ডব বর্ধমান শহরের বুকে কাল রাতে থেকে ডিজে বাহিত মারাত্মক জগঝম্প। প্রাণ অতিষ্ঠ প্রবীণ মানুষদের। অসুস্থদের পরিত্রাহি কথা শোনার কেউ নেই। প্রশাসন,কমিটি সবার অনুরোধ উড়িয়ে এবারেও এই ইমোশনাল অত্যাচার বজায় রইল। গত ১০ বছরের ধারাবাহিকতা মেনেই। রবিবার রাত থেকেই শহর জুড়ে ডিজের তান্ডব।তান্ডব চলল কাটোয়া বর্ধমান রোড জুড়েও। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে শব্দ দূষণ রোধে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালান সত্ত্বেও রমরমিয়ে চলল ডিজের দাপট । একদিকে শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার, অন্যদিকে ২৫ শে শ্রাবণ বর্ধমানেশ্বরের ( মোটা শিব) আবির্ভাব দিবস। গত কয়েক বছর এইদিন হাজারে হাজারে ভক্ত কাটোয়া থেকে জল নিয়ে আসেন বর্ধমানেশ্বরে জল ঢালতে। তাদের বেশিরভাগ অবাঙালি। কেউ পায়ে হেঁটে তো বেশিরভাগই পেল্লাই গাড়িতে করে কাটোয়া থেকে জল নিয়ে আসেন বর্ধমানেশ্বর মন্দিরে। কিন্তু এবারেও দেখা গেল শহরজুড়ে একইভাবে ডিজের তাণ্ডব। লাইন দিয়ে ট্রাক ও লরি করে যাচ্ছে ডিজে।প্রশাসন বধির। জেলাশাসকের দপ্তর, জেলা আদালত, সভাধিপতির অফিসের লাগোয়া কার্জনগেটের পাশ দিয়ে ট্যাবলোগুলো গেছে। পুলিশ কিছু করে নি। ২৫ শে শ্রাবণ বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস। প্রতিবছর পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে মানুষ কাটোয়া থেকে জল নিয়ে আসেন বর্ধমানেশ্বরে। রাত থেকেই শুরু হয় জল ঢালা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবারেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি শব্দ দূষণ রোধ করতে ও ডিজের তান্ডব কমাতে কাটোয়া থানা, বর্ধমান থানা সহ বেশ কয়েকটি থানার পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালান হয়েছিল। পোস্টে শব্দের সীমা ৬৫ ডেসিবেল পর্যন্ত সীমিত রাখার জন্য বলা হয়েছিল।এমনকি শব্দসীমা লঙ্ঘন করিলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও মিউজিক সিস্টেম বাজেয়াপ্তে হবে বলেও জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও রবিবার ভোররাত থেকে সোমবার পর্যন্ত ডিজিট তান্ডব দেখা গেল। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন বয়স্ক থেকে শিশুরা। তারা বলছেন, বর্ধমানেশ্বর তো অনেক দিনের। এই ঝগঝম্প তো আগে ছিল না। এ উপদ্রব কিছু বছর আগে শুরু হয়। তাদের করুণ আবেদন, কিছু করা হোক এই শব্দদূষণ কমাতে। প্রশাসন যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তার দাবি জানিয়েছেন তারা। যদিও পুজো কমিটি ও একাংশের মানুষের দাবি, গত দু-বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও কম ডিজে তাণ্ডব।পুজো কমিটি এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছিল, এবারে তান্ডব কমাতে তারা আবেদন করবেন। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়েছিল সমাজ মাধ্যমে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হলেও ,তা সফল হয়নি। তাই শহর জুড়ে চলছে ডিজের তান্ডব। যার ফলে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা সমস্যায় পড়ছে। তাই অবিলম্বে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চন্দন ঘোষের সঙ্গে পার্থ চৌধুরী।। বাইট : ১) অর্কেন্দু প্রসাদ দে ( নাগরিক) ২) অঞ্জন দে ( কমিটির সদস্য) 110824ZG_BWN_DJ