Back
बर्धमान में पटाखों के तेज धमाकों से पालतू जानवर चिंतित, पशु प्रेमी परेशान
PCPartha Chowdhury
Oct 25, 2025 01:47:22
Bardhaman, West Bengal
পুজো থেকে দীপাবলী হয়ে ছট পুজো। কিন্তু শব্দবাজির ভূত পিছু ছাড়ছে না মফস্বল এলাকারও। এই আওয়াজে প্রবীণ, অসুস্থ মানুষদের যেমন কষ্ট হয় ঠিক তেমনি চরমভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে গৃহপালিত কুকুর, বিড়ালরাও। রাস্তার কুকুর বা বিড়ালরা তো আরো অসহায়। তাদের গায়ে পটকা ফাটিয়ে, লেজে বাজি বেঁধে বিকৃত আনন্দ পায় কিছু মানুষ! বাড়ির কুকুররাও চরম অসহায়। গত কয়েকবছর ধরে বর্ধমানেও কলকাতার মত কুকুর বা বিড়াল পোষার প্রবণতা বাড়ছে। শহরে এখন গোটা পঞ্চাশেক পেট শপ। বেশ কয়েকটি ভেটেরিনারি ক্লিনিক, হাসপাতাল। সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি এর সংখ্যা বাড়া বুঝিয়ে দেয় এই কথা না বলা বন্ধুদের প্রতি মানুষের আস্থা আরো বেড়েছে। বেশ কয়েকটি পশুপ্রেমী সংস্থাও পথ কুকুরদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলা শহর বর্ধমান। কোভিডের সময় মানুষ যখন একলা হয়ে পড়েন, তখন পোষ্য নির্ভরতা আরো বেড়ে যায় এখানে। পশুপাখিদের নিয়ে ধারাবাহিক কাজ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: পার্থ সরকার। তিনি জানাচ্ছেন, পোষ্য রাখার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। বর্ধমান ও লাগোয়া এলাকায় পোষ্যের সংখ্যা বেশ কয়েক হাজার। এর মধ্যে কুকুর, বিড়াল সবই আছে। একটি পরিসংখ্যানের সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি পোষ্য কুকুর বেড়ালের সংখ্যা কুড়ি হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। সকাল으로 যে কোনোওদিন তেঁতুলতলা, নীলপুর, পুলিশ লাইন বা রথতলা বাজারে গেলে বোঝা যায়, কত মানুষ কুকুর বা বিড়ালের জন্য মাছ, মাংস কিনতে আসছেন। গত কয়েকদিন ধরে শব্দবজির দাপট ক্রমশ বাড়ছে। সারা বছর নানা অনুষ্ঠানে, ধর্মের নামে শব্দের অত্যাচার বাড়ে। তবে এ বছর পুজোর সময় শব্দের দাপট অনেকটাই কম ছিল। সেটাই পুষিয়ে দিয়েছে দীপাবলী। কালীপুজোর রাতে কানফাটানো শব্দে শহরের নানা প্রান্তে বাজি, পটকা ফেটেই চলেছে। ছট পুজো অবধি এই অত্যাচার চললে, কী হবে ভাবতে ভয় পাচ্ছেন পশুপ্রেমীরা। গত কয়েকদিনে চিত্রটা উদ্বেগজনক রূপ পেয়েছে। বর্ধমানের ঘোড়দোড়চটি বা মুচিপাড়ার দুটি বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকশো রোগী এসেছে। কুকুর বেশি, বিড়াল কম। এর মধ্যে সব প্রজাতিই আছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: জাহাঙ্গীর খান বলেন এই অবলাদের বিপন্নতার কথা। তিনি জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি: মানসিক চাপ ও ভয়: বোমার বিকট শব্দে কুকুরদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এর ফলে তারা খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে বা খুব বেশি কুঁকড়ে থাকতে পারে। শ্রবণশক্তির ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত উচ্চ শব্দে তাদের শ্রবণশক্তি চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ডা: খান আরো জানান, হৃদরোগের ঝুঁকিও আছে। তীব্র শব্দের কারণে কুকুরদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: কিছু ক্ষেত্রে, শব্দের তীব্রতা এত বেশি হয় যে কুকুররা অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। আচরণগত সমস্যা: ভয়ের কারণে তারা দিশেহারা হয়ে ছুটোছুটি করতে পারে, যা তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। রাস্তার কুকুরের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বিবাদ: অতিরিক্ত শব্দের কারণে তারা নিজেদের পরিচিত এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায় এবং সেখানে অন্য কুকুরদের সাথে তাদের ঝগড়াও হতে পারে। ডা: জাহাঙ্গীর খান আরো জানান, এর ফলে পোষ্যদের দেহের উষ্ণতা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত আওয়াজ এ কুকুরদের রক্তচাপ বেড়ে যায়। সংখ্যাা খরগোশ, পাখিও এতে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে একটি পেট হাসপাতালের কর্ণধার বৈশাখী চক্রবর্তী বলেন, ওরা কথা বলতে পারে না। কিন্তু ওদের কষ্ট অবর্ণনীয়। বিভিন্ন ব্রিডের কুকুররা এতে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা খাওয়া দাওয়া ছাড়ে দিচ্ছে। মাথা গুঁড়ে পড়ে থাকছে। হাসপাতালে নিয়ে আসতে হচ্ছে তাদের। এই সময় কুকুর যারা পোষেন তাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। তাদের ভয় কাটাতে সঙ্গ দিতে হবে। প্রাণী প্রশিক্ষক ও পশুপ্রেমী অর্ণব দাস দীর্ঘদিন বিভিন্ন পশুপাখি নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি জানান, কুকুর খুব সংবেদনশীল প্রাণী। শব্দের কম্পাঙ্ক সহ্যসীমার বাইরে হলে এরা অস্থির হয়ে পড়ে। খাওয়া বন্ধ করে। মালিক বা প্রিয়জনকে খুঁজে। আড়াল বা খাঁটের নিচে চলে যেতে চায়। তীব্রতা বেশি হলে হৃদজনিত সমস্যা হতে পারে। তার পর্যবেক্ষণ বড় এবং শক্তিশালী ব্রিডগুলোও আতঙ্কিত হয় বাজির শব্দে। তার মতে, এই সময়ে ভীত পোষ্যটিকে যথেষ্ট সঙ্গ দিতে হবে। বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সাথে কথা বলতে হবে। জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। তার আরো পর্যবেক্ষণ দীপাবলীর অতিরিক্ত আলো পরিযায়ী পাখিদের অবধি বিপদে ফেলছে। তারা প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট দুরত্ব অতিক্রম করে। কিন্তু রাতের আলো ঝলমলে আকাশে তারা বিভ্রান্ত হয়। উড়ে যায় ক্ষমতার বেশি। এর ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। বেশ কিছু পাখিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে আজকাল। এর বিষয়ে আরো গবেষণা ও সচেতনতার প্রয়োজন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ রায় জানিয়েছেন, শব্দবাজির ক্ষতিকর দিক নিয়ে সচেতনতা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও এগিয়ে এলে ভালো হয়। ঘরে যারা পোষ্য রাখেন, তাদের একজন সমাজকর্মী সমাপ্তিকা মণ্ডল বলেছেন, আনন্দ পালনের অনেক উপায় আছে। প্রচুর শব্দহীন আতসবাজি আছে, আলো আছে। শব্দ দানবের আশ্রয় যারা নেন, তারাও এক ধরনের দানব। তাদের কথায়, শব্দের ফলে আতঙ্কিত প্রাণীদের পাশে থাকতে হবে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও ভূ-পর্যটক শান্তনু পাঁজা বাড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশেই। তিনি জানাচ্ছেন, শব্দবাজি মানুষের মতই প্রাণীদের কষ্ট ডেকে আনে। প্রশ্ন, আর कब সচেতন হবে আমরা? এই সময় শহরের পেট শপ গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গত কয়েকদিন উদ্বেগ কাটানোর সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধগুলি কাউন্টারে আসতে না আসতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ ছাড়াও কিছু রাসায়নিক ওষুধ আছে। তীব্রতা বেশি হলে পশুচিকিৎসকের নির্দেশমত চিকিৎসা করতে হয়।
4
Report
हमें फेसबुक पर लाइक करें, ट्विटर पर फॉलो और यूट्यूब पर सब्सक्राइब्ड करें ताकि आप ताजा खबरें और लाइव अपडेट्स प्राप्त कर सकें| और यदि आप विस्तार से पढ़ना चाहते हैं तो https://pinewz.com/hindi से जुड़े और पाए अपने इलाके की हर छोटी सी छोटी खबर|
Advertisement
ABAnnu Babu Chaurasia
FollowOct 25, 2025 04:17:360
Report
ASABDUL SATTAR
FollowOct 25, 2025 04:17:240
Report
CSChandrashekhar Solanki
FollowOct 25, 2025 04:17:120
Report
MKMANTUN KUMAR ROY
FollowOct 25, 2025 04:16:470
Report
IKIsateyak Khan
FollowOct 25, 2025 04:16:040
Report
YSYeswent Sinha
FollowOct 25, 2025 04:15:480
Report
0
Report
ANAbhishek Nirla
FollowOct 25, 2025 04:03:571
Report
WJWalmik Joshi
FollowOct 25, 2025 04:03:360
Report
PCPranay Chakraborty
FollowOct 25, 2025 04:03:300
Report
BSBHUPENDAR SINGH SOLANKI
FollowOct 25, 2025 04:03:030
Report
KSKULWANT SINGH
FollowOct 25, 2025 04:02:550
Report
SPSohan Pramanik
FollowOct 25, 2025 04:02:340
Report
KJKamran Jalili
FollowOct 25, 2025 04:02:130
Report
KJKamran Jalili
FollowOct 25, 2025 04:01:550
Report
