নদীয়া অনুপ কুমার দাস *পুজোর স্টোরি ফেলে দেওয়া জিনিষ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছেন গৃহবধূ,প্রতিমা বিক্রি করে গরীব শিশুদের পুজোয় পোশাক কিনে দেবার উদ্যেশে এই উদ্যোগ।* যে রাধে সে চুল ও বাধে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কৃষ্ণগঞ্জ এর বাসিন্ধা গৃহবধূ পাপিয়া কর আবারও অনন্য উদ্যোগে শিরোনামে।সমাজসেবার পাশাপাশি সৃজনশীলতাকে হাতিয়ার করেই তিনি গত কয়েক বছর ধরে দুর্গা মূর্তি গড়ে তুলছেন একেবারে ভিন্নভাবে। ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে মূর্তি নির্মাণে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। প্রায় পাঁচ হাজার নারকেলের মালাই ব্যবহার করে তিনি গড়ে তুলেছেন এক মনোমুগ্ধকর দুর্গা মূর্তি। প্রায় আট ফুট উচ্চতা ও দশ ফুট প্রস্থ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মূর্তি ইতিমধ্যেই এলাকায় কৌতূহল ও প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। পাপিয়া দেবী জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি এই মূর্তি নির্মাণ করেছেন। তবে তার লক্ষ্য কেবল শিল্পসৃষ্টি নয়, সমাজসেবা।প্রতিবছরের মতো এ বছরও এই মূর্তি বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা তিনি ব্যয় করবেন দুস্থ শিশুদের জন্য জামাকাপড় ও পুজোর সামগ্রী কিনতে। তার এই মহৎ উদ্যোগে প্রতিবছর অসংখ্য পরিবার উপকৃত হয়।উল্লেখযোগ্য যে, পাপিয়া করের ব্যতিক্রমী কাজ আগেও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে এসেছেন তিনি। এমনকি কলকাতার এক নামী পুজো সংস্থা তার জীবনশৈলীকে কেন্দ্র করে দুর্গাপূজোর আয়োজন করেছিল, যার নামকরণ হয়েছিল ‘ভাগাড়ের মা’। সমাজসেবার সঙ্গে শিল্পকে মিলিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টা পাপিয়া করকে আজ আলাদা পরিচয় দিয়েছে। প্রতিবছর কিছু না কিছু ফেলে দেওয়া জিনিষ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেন। এছাড়া সামাজিক কাজকর্ম করেন গরিবদের রোজ ফ্রিতে মা অর্নপূর্ণা হোটেল থেকে গরীব দের খাওয়ার ব্যবস্থা ও করেন। বাইট পাপিয়া কর, শিল্পী বাইট বাইট ঋষিকেশ কর,পাপিয়া করের পুত্র। ছবি বাইট 2সি তে 100925ZG_PA_NAD_PAPIA নামে 1 ফাইল