हाई सिक्योरिटी ज़ोन में दहशतनाक चोरी, रायगंज थाने के पास सुरक्षा पर सवाल

হাই সিকিউরিটি জোনে দুঃসাহসিক ছিনতাই — রায়গঞ্জ থানার ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন, রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের আবাসনের সামনে, প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটে গেল দুঃসাহসিক ছিনতাই। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলায়। শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক তরজা。 অভিযোগ, চলতি মাসের ৭ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০টা নাগাদ কর্নজোড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মল্লিক স্থানীয় বোগ্রাম এলাকা থেকে বাজার করে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাড়ির সামনে তাঁকে দাড় করায় দুই হিন্দিভাষী বাইক আরোহী। নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁরা প্রসেনজিতকে জানান, সকালে এলাকায় ছিনতাই হয়েছে, তবুও তিনি এত সোনার গয়না পরে ঘুরছেন কেন। এরপর তাঁদের চোখের সামনেই আরও এক বাইক আরোহীর গলার চেন খুলিয়ে পকেটে রেখে দিতে দেওয়া হয়। ঠিক সেই কায়দায় প্রসেনজিতকেও গলার ৫৭ গ্রাম ওজনের একটি চেন ও ৮টি আংটি খুলে পকেটে রাখতে বলা হয়। उसी মুহূর্তে ওই দুই দুষ্কৃতী গয়নাগুলো কেড়ে নিয়ে বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসেনজিৎ কর্নজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে তাঁর অভিযোগ, প্রথমদিকে পুলিশ অভিযোগপত্রের রিসিভ কপি দেয়নি। একাধিকবার ফাড়িতে যাওয়ার পরও থানা থেকে কাগজ না আসার কথা বলে রিসিভ দেওয়া হয়নি। অবশেষে ৮ তারিখ রাতে অভিযোগের ঘটনাস্থলের বয়ান পরিবর্তন করিয়ে তবেই রিসিভ কপি দেওয়া হয় বলে প্রসেনজিতের অভিযোগ。 ঘটনাস্থল মূলত অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের আবাসনের সামনে হলেও, তা লিখিয়ে নেওয়া হয় মাল্টিপারপাস হলের সামনে। যদিও দুটি যায়গা ১০০ মিটারের মধ্যে। তবুও বিষয়টি নিয়েই শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন。 সিসিটিভি জোনেই ছিনতাই, তবুও ৭২ ঘণ্টা পেরিয়েও গ্রেফতার শূন্য রায়গঞ্জ থানা ও কর্নজোড়া এলাকা মিলে পুলিশের নিজস্ব প্রায় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। এরপর পুরসভা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ক্যামেরার সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফুটেজে অপরাধীদের শনাক্তও করা হয়েছে। তবুও ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়েও গ্রেফতার হয়নি কাউকে。 SP, ADL SP, DM, ADM, SDO-সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের আবাসন ঘেরা এলাকায় এ ধরনের দুঃসাহসিক ছিনতাই ও অপরাধীদের অদ্যাবধি ধরতে না পারা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে。 রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ঘটনাটি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ঘটনাটি নতুন করে রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি নিমাই কবিরাজ বলেন, “SP, DM-এর আবাসনের সামনে ছিনতাই হচ্ছে — এটাই প্রমাণ করে পুলিশের ব্যর্থতা কতটা প্রকট। চারিদিকে এত সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ছে না। আসলে পুলিশ এখন শুধু তৃণমূলের নিরাপত্তা নিয়েই ব্যস্ত। মানুষের নিরাপত্তা নেই। এই সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। ২০২৬ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পর সোনার বাংলা গড়া হবে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার বলেন, “আমাদের ধারণা পার্শ্ববর্তী বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসেছে। চোরের কাজ চোরই করবে। পুলিশের কাজ পুলিশ করছে ও করবে। বাংলায় এত সিসিটিভি ও নিরাপত্তা বিজেপি শাসিত রাজ্যেও নেই। বিজেপি রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তাই এভাবে রাজ্যকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে।” জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহ বলেন, “বিজেপি ও তৃণমূল আসল সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত। মুকুল রায় যেমন বলেছিলেন, ‘বিজেপি মানে তৃণমূল আর তৃণমূল মানে বিজেপি’। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্নে ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে গা-এলিয়ে আছে。” সব মিলিয়ে... হাই স सिकিউরিটি জোনে ঘটনার সময়, স্থান ও পদ্ধতি — সব কিছুই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলায় রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। বাইটঃ ১) প্রসেনজিৎ মল্লিক (অভিযোগকারী) ২) নিমাই কবিরাজ (জেলা সভাপতি, বিজেপি) ৩) অরিন্দম সরকার (জেলা সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেস) ৪) তুষার গুহ (সাধারণ সম্পাদক, জেলা কংগ্রেস) 1010ZG_NDIN_POLICE_CNT_R