जलपाइगुड़ी बाढ़ पीड़ितों को प्रशासन और कार्यकर्ताओं की राहत पहुंचाने की कवायद जारी

জলপাইগুড়ি বন্যা কবলিত এলাকা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। পলি মাটি কাদা সরিয়ে মানুষজনেরা ধীরে ধীরে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। কাজে হাত লাগিয়েছেন পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিভিল ডিফেন্স এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা। গ্রাউন্ড জিরো থেকে জী ২৪ ঘন্টার প্রতিবেদন। নাওয়া, খাওয়া ভুলে গত ছয়দিন ধরে বন্যার্ত মানুষদের পরিষেবা দিয়ে চলেছেন জলপাইগুড়ির মন্ত্রী, বিধায়ক ও প্রশাসনের আধিকারিদেরা। দিনে রাতে তারা ছুটে চলেছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ রয়েছে প্রত্যেক বন্যার্ত মানুষদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। এক‌ই নির্দেশ রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির। সেই নির্দেশ মেনে দুর্গত মানুষদের লাগাতার পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তৃণমূল নেতা কর্মীদেরাও। তাদের মধ্যে যেমন রয়েছেন আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক‌ বরাইক‌, জেলাশাসक শামা পারভিন, পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবাহালে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা‌ রায় বর্মন, জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ, ধূপগুড়ির‌ বিধায়ক ডর্ক নির্মলচন্দ্র রায়, জেলা পরিষদের সদস্য মমতা বৈদ্য সরকার সহ অন্যান্য নেতারা। এক‌ইভাবে‌ প্রথম দিন থেকেই ময়দানে রয়েছেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা যুব সভাপতি রামমোহন রায়। জলঢাকা নদীর তীরবর্তী বেতগাড়া এলাকায় একটি ক্যাম্পের মাধ্যমে মহিলা ও শিশু সহ কয়েকশো মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর রয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন‌ও। ধূপগুড়ি ও নাগরাকাটার বন্যা দুর্গতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ সামগ্রী কিট। খাদ্যসামগ্রী, পোশাক, ত্রিপল ইত্যাদি বিতরণ করা হয় ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের হোগলাপাড়া, বগরিবাড়ি ও বেতগাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে। গধেয়াকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বগরিবাড়ি ও হোগলাপাড়া‌ এলাকায় দুর্গতদের কাছে এসে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক‌।