पुरुलिया में शबर समुदाय को नया कपड़ा, कॉलेज का बड़ा दान

পুরুলিয়া : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোপুজোয় উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে রাজ্যবাসী । কিন্তু এই উৎসবের ছোঁয়া থেকে অনেকটাই দূরে থাকে শবর সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা বেশিরভাগই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। সভ্য সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই সমাজের বেশিরভাগ মানুষদের অবস্থা দরিদ্র সীমার নিচে । বছর বছর জোটেনা নতুন পোশাক । আজও মাটির বাড়িতে দিনযাপন, জঙ্গলের কাঠ কুড়োনো, দিনমজুরের কাজ করে দিন কাটান তারা । রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমাজসেবক মানুষেরা পাশে দাঁড়ালেও সেই পরিবেশ থেকে আজও উঠে দাড়াতে পারেনি তারা । পুরুলিয়াতে এই শবর সমাজের মানুষদের পাশে দাড়ালো কলকাতার মহারাজা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা। পুরুলিয়ার কেন্দা থানার রাজনোয়াগড় গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রায় ২৫০ জন শিশু ও মহিলার হাতে তুলে দেওয়া হলো নতুন পোশাক । দিনের একবেলা খাবার এই শবর সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে ভাগ করে নিলেন তারা। কোলকাতা থেকে নিয়ে আসা ২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা ও থাইল্যান্ড থেকে নিয়ে আসা বেল গাছ পুজো দিয়ে চণ্ডীপাঠ করে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তারা। নিজেদের বাড়তি খরচ কমিয়ে, সারাবছর ধরে একটু একটু করে টাকা জানিয়ে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ালেন পড়ুয়ারা । একইসঙ্গে কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকারাও পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সফল করতে শবর মানুষদের কাছে বাড়িতে দিলেন সহযোগিতার হাত । একইসঙ্গে সারাদিন ধরে নাচ গান আনন্দে মেতে উঠলেন সকলেই । কলকাতার মহারাজা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকারা বলেন, গত ১৪ বছর ধরে কলেজের অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের প্রয়াসে "পুজো পরিক্রমা" নামে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয় । এই কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্গা পুজোর মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রকৃত সাহায্যপ্রাপক দুঃস্থ মানুষদের হাতে পোশাক পরিচ্ছদ এবং নানান উপহার তুলে দেওয়া হয় । এবারেও রাজ্যের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার শবর সম্প্রদায়ের মানুষের সামান্য পুজোর উপহার তুলে দিয়ে উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হলো । পড়ুয়ারা জানান, উৎসব সবার । এই কথা মাথায় রেখে নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হয় । কলেজের সকল অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা একত্রিত হয়ে প্রতি বছর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় । মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সামান্য সহযোগিতা করতে সকলেরই ভালো লাগে । গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এলাকার সমস্ত শবর পরিবারের পক্ষে প্রতি বছর নতুন পোশাক কেনাকাটার সামর্থ্য থাকে না । ছেলেমেয়েরা এবং আমরা এই সহযোগিতা পেয়ে খুবই খুশি। পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতির পরিচালক প্রশান্ত রক্ষিত বলেন, মহারাজা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজের কলকাতার মহারাজা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই । আড়াইশো জন শবর সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে পুজোয় নতুন পোশাক এবং তাদের একবেলা খাবার উপহার দিলেন এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। বাইট: ১) বিশ্বজিৎ দাস (অধ্যাপক) ২) সমৃতা গাঙ্গুলি (অধ্যাপিকা) ৩) জয়শ্রী দাস (পড়ুয়া) ৪) সমাদৃতা দাস (পড়ুয়া) ৫) জ্যোৎস্না শবর (গ্রামবাসী) ৬) প্রশান্ত রক্ষিত (পরিচালক, পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি)