SKY DANGER SKY DANGER SPL একমাত্র চাঁদকেই যা ভাল ভাবে দেখা যায়। পৃথিবীর আকাশে অন্য সব গ্রহ নক্ষত্রই দেখতে বিন্দুর মতো, যেন একজায়গায় স্থির। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। বিধ্বংসী এক গ্রহাণুকে খালিচোখেই ছুটে যেতে দেখতে পারবেন পৃথিবীবাসী। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে ৮০০ বছরে এই প্রথম খালিচোখে কোনও বিধ্বংসী গ্রহাণুকে ছুটে যেতে দেখা যাবে। গ্রহাণুর নাম অ্যাস্ট্রয়েড ৯৯৯৪২ অ্যাপোফিস (অস্থিরতার প্রতীক এক মিশরীয় দেবীর নাম)। ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল পৃথিবীর গা ঘেঁষে ছুটে যাবে অ্যাফোসিস। পশ্চিম আফ্রিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ সেটিকে রাতের আকাশে ছুটে যেতে দেখতে পাবেন একেবারে খালি চোখে। তাও আবার খালিচোখে। বাইট সন্দীপ চক্রবর্তী, মহাকাশ বিজ্ঞানী মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে ৮০০ বছর পর এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে যেখানে বিধ্বংসী কোনও গ্রহাণুকে খালিচোখে দেখা যাবে। গ্রহাণুটির আয়তন ১১০০ ফুট। আটটি আইফেল টাওয়ারের সমান। ২০১৩ সালে এরকমই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছিল। সেটি আয়তনে ছিল নেহাতই ছোট। ভূপৃষ্ঠের একেবারে কাছে এসে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল পৃথিবীর মাটিতে। ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছিল বিশ্বের একটি দেশ। আর এবার? তার থেকে প্রায় ২৫ গুণ বেশি আয়তনের গ্রহাণু পৃথিবীর মারাত্মক ক্ষতি করবে না তো? বাইট সন্দীপ চক্রবর্তী, মহাকাশ বিজ্ঞানী ২০০৪ সালেই ৯৯৯৪২ অ্যাপোফিস গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়। সেই সময় গ্রহাণুটির পৃথিবীর উপর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা ছিল ২.৭ শতাংশ। এযাবৎ আর কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার এত বেশি সম্ভাবনা দেখা যায়নি। অ্যাপোফিস অনিশ্চয়তা এবং বিশৃঙ্খলার দেবী। একেবারে কাছাকাছি এলে অতি শক্তিশালী তেজস্ক্রিয়তার মাধ্যমে সেটির পৃথিবীর দিকে মুখ করা অংশ ভেঙে দেওয়ার কথা ভাবছে নাসা। শেষ পর্যন্ত কি হয়, টানটান উত্তেজনা। অপেক্ষা মাত্র ৪ বছরের। বাইট সন্দীপ চক্রবর্তী, মহাকাশ বিজ্ঞানী ওয়াক থ্রু