কিডনি রোগে আক্রান্ত,ডায়ালিসিস ছাড়া বেঁচে থাকা দায়।এমন ৩০ জন রোগীদের নিয়ে চন্দ্রকোনায় বনভোজনের আয়োজন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের।হৈ হট্টগোল আনন্দ করতে কার না ভালো লাগে। ইচ্ছে থাকলেও এদের যে উপায় নেই। মন চাইলেও শরীর চায় না। আর যার কারণে পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত ছুটতে হয় হাসপাতালে। তাদের ভরসা শুধু ডায়ালিসিস। কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সপ্তাহে এক থেকে দুদিন বা তিনদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিতে হচ্ছে ডায়ালিসিস। সেই সব রোগী ও পরিবারের একজন করে সদস্যদের নিয়ে শীতের মরশুমে বন ভোজনের আয়োজনে আনন্দে মেতে উঠলেন ডায়ালিসিস রোগীরা। পশ্চিম বেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় চন্দ্রকোনার একটি বেসরকারি নার্সিং হোম আয়োজন করেছিল বন ভোজনের। চন্দ্রকেতু পার্কে কোলাহলে দিনটি কাটালেন ডায়ালিসিস রোগীরা। ডায়ালিসিস রোগী মঈনউদ্দিন মল্লিক বলেন, "সপ্তাহে একদিন করে নিতে হয় ডায়ালিসিস। চন্দ্রকোনা ওই নার্সিং হোমে সরকারি উদ্যোগে দেওয়া হয় ডায়ালিসিস পরিষেবা। কিডনির সমস্যায় জর্জরিত হলেও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ আমাদের নিয়ে আসেন চন্দ্রকেতু পার্কে বন ভোজনের জন্য। চিকিৎসা তো চলবেই, কিন্তু আজ বন ভোজনে অংশ নিতে পেরে মনটা খুবই ভালো লাগলো। মনে হলো কয়েকবছর আগে যেমন আনন্দ করেছি সেই সব কথা." রোগীর এক আত্মীয় মনোয়ারা বিবি বলেন, "ডায়ালিসিস রোগীকে নিয়ে সপ্তাহে দুদিন যেতে হয় ওই নার্সিং হোমে। রোগীকে নিয়ে গৃহবন্দি আর নার্সিং হোম হতে হয়। আজ রোগীকে সাথে নিয়ে পরিবারের একজন করে বন ভোজনে এসেছি। রোগীও আজ আনন্দ পেয়েছে।" চিকিৎসক গৌতম প্রতিহার বলেন, "কিডনি রোগে আক্রান্তদের ডায়ালিসিস দেওয়া হয়, তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। ওদের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যে হয় সেই অনুভূতি দিতেই আজকে বন ভোজনের আয়োজনে করেছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেয়েছেন ডায়ালিসিস রোগীরা।" এদিকে বেসরকারি হাসপাতালের কর্ণধার লক্ষণ কর্মকার বলেন, "কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিস ভরসা। মৃত্যু সামনের দিকে আগত। আমরা কে কত দিন বাঁচতে এসেছি। যতদিন বাঁচবো তা যেন আনন্দের মধ্য দিয়েই বাঁচতে পারি। সেই লক্ষ্যেই ডায়ালিসিস রোগীদের নিয়ে এসেছি বন ভোজন করতে। ৩০ জন রোগী এবং তাদের পরিবারের একজন করে সদস্য এসেছিলেন। দুঃস্থ রোগীদের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকেই ডায়ালিসিস করা হয় এদের।" রোগীরা sারা দিন পার্কে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি দুপুরে একসাথে মেঝেতে বসে পাত পেরে খেলেন খাবার। বন ভোজনে অংশ নিতে পেরে বেজায় খুশি রোগীদের।