শুভেন্দু অধিকারীর মালদা সফর কে ঘিরে শুধু বিতর্ক। তৃণমূল আতঙ্কিত বিরোধী দলনেতাকে দেখে আর সেই কারণেই তার কর্মসূচিতে নানানভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আগামী ২ তারিখ মালদায় আসতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মালদার ইংরেজবাজার শহরের ফুলবাড়ী পাকুরতলা এলাকায়, একটি মন্দিরে হনুমান মূর্তি উদ্বোধন করবেন। আর এই মুখটি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল কর্মী সুজিত দাসের অভিযোগ, এই মন্দিরের সেবায়েত তার পরিবার। বহু পুরনো এই মন্দির। বর্তমানে একটি কমিটি তৈরি করে বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরি এটা দেখাশোনা করেন। কমিটির প্রেসিডেন্ট ও রয়েছেন অম্লান ভাদুরি। তিনি দেখাশোনা করুন তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু ভোটের ঠিক আগে আমাদের পারিবারিক মন্দিরে শুভেন্দু অধিকারী কে এনে বিজেপি রাজনীতি করতে চাইছে। আমি এর আগে অম্লান ভাদুর গিয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। এই মন্দিরের সাথে অনেক মানুষ যুক্ত। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক। কোনদিনও এই মন্দিরে রাজনীতির রঙ লাগেনি। কিন্তু বিজেপি এটা লাগাতে চাইছে। আমরা চাই না আমাদের পারিবারিক মন্দিরে শুভেন্দু অধিকারী এসে রাজনীতি করুক। তারপরেও যদি বর্তমান কমিটি তাকে নিয়ে সেখানে রাজনীতি করে তাহলে যা ব্যবস্থা নেব আমরা নেব। পাল্টা অম্লান ভাদুরি বলেন, এটা বহু পুরনো মন্দির। একসময় এই মন্দিরের নামে অনেক জায়গা জমি ও ছিল। সেবা সেগুলো ধ্বংস করেছে। এখন তারা মন্দিরের দিকে ফিরে তাকায় না। এলাকার মানুষ একটি কমিটি করে এই মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। এলাকার মানুষ নিজেদের উদ্যোগে সেখানে একটি হনুমান মূর্তি, স্থাপন করেছে। বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বাংলার হিন্দুদের কাছে আস্থা ও বিশ্বাসের মানুষ হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ চাই তিনি আসুন আর সেই কারণেই তাকে আনা হয়েছে। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। এটা রাজনীতির কোন বিষয় নয় এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, যে জায়গা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে সেদিকে বিরোধী দলনেতা না যাওয়া উচিত। তিনি মন্দিরে পূজা-অর্চনা করতেই পারেন। তাতে কারুর কোন আপত্তি থাকবে না। কিন্তু এখানে রাজনীতি আসছে। আর সে কারণেই মানুষ এই রাজনীতি করনের প্রতিবাদ করছে। তৃণমূল এই প্রতিবাদী মানুষের সাথে আছে.