উত্তরের জলপাইগুড়িতে Chায়ে চিন্তা। আবহাওয়ার খালকে খেয়ামিপানার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে বন্যার জের। চায়ের ফলনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। অক্টোবরে রাজ্যে চায়ের উৎপাদন কমল দেড় কোটি কেজি। নভেম্বরেও সেই ধাক্কা সামালে উঠতে পারেনি চা শিল্প মহল। ফলে বছর শেষে চায়ের উৎপাদন কোথাই গিয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে উদ্বেগে বাগান মালিকরা。 টি বোার্ড এবং টি রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, গত বছর অক্টোবরে রাজ্যে সবমিলেয়ে ৬১.১৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু এবার অক্টোবরে রাজ্যে মোট চা উৎপাদন হয়েছে ৪৬.০৭ মিলিয়ন কেজি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় ১৫.০৬ মিলিয়ন কেজি উৎপাদন কম এবার। খেয়ালি আবহাওয়ার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে অক্টোবরে হওয়া বন্যা যার অন্যতম কারণ বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তীর দাবি, খেয়ালি আবহাওয়ার জেরে চায়ের উৎপাদন মারাত্মকভাবে মার খাচ্ছে। কখনও টানা বৃষ্টি না হওয়া, আবার কখনও নাগাড়ে ভারী বৃষ্টির কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে চা শিল্প। অক্টোবরে উদ্বেগজনকভাবে চায়ের উৎপাদন কমার পিছনে উত্তরবঙ্গে বন্যা অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি। বলেন, খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে চা বাগানে পোকার আক্রমণ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। অনুমোদিত কীটনাশক দিয়ে ওিো পোকা দমন করা সম্ভব হচ্ছে না। কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিস্টা) সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘সেপ্টেম্বরেও চায়ের উৎপাদন কম হয়েছে। অক্টোবরে গত বছরের তুলনায় এবার রাজ্যে চায়ের উৎপাদন কম দোড় কোটি কেজি। নভেম্বরের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। তবে যতটুকু খবর মিলছে, ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয়নি। ফলে বছর শেষে এবার চায়ের উৎপাদন যে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বুঝা যাচ্ছে না’।