केशपुर कॉलेज में वेतन बकाया समाप्त, प्रशासनिक बाधाएं दूर—कैसे हुई योजना?

দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল কেশপুর কলেজে। অবশেষে জট কাটতে চলেছে কেশপুর কলেজের। গত কয়েকদিন ধরেই দুমাস বেতন না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন কেশপুর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা। হাতে প্লেকার্ড নিয়ে তাদেরকে অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা גিয়েছিল কলেজ চত্বরে। ফলে ব্যাহত হচ্ছিল কলেজের পঠন-পাঠনের। মূলত এই সমস্যার সৃষ্টি হয় কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার ভূঁইয়া অবসরের পর থেকেই। পুজোর ছুটি/র মধ্যে অবসর নিয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ। তারপর থেকে তালা খোলা অবস্থায় রয়েছে অধ্যক্ষের ঘর এবং অফিস ঘর; সেই ঘরের মধ্যেই রয়েছে কলেজের প্রশাসনিক সমস্ত ডকুমেন্টস থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের সার্টিফিকেট, এটেন্ডেন্স খাতা। সম্প্রতি নতুন টিচার ইনচার্জ হয়েছেন বামাদেব সেনাপতি, অধ্যক্ষের ঘর ও অফিস রুম বন্ধ থাকায় তিনিও ঢুকতে পারেননি। ফলে তিনিও নিরুপ্ত, চেকে সই করার ক্ষমতা তার না থাকায় গত দু’মাস বেতন থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে কলেজের শিক্ষক থেকে শিক্ষা কর্মীরা। কলেজের পরিকাঠামোর উন্নতি এবং বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা। প্ল্যাকার্ড হাতে অধ্যক্ষের রুমের সামনে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। অবশেষে শুক্রবার বিকেলে কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি শিউলি সাহা, কাউন্সিল নমিনি সুশান্ত কুমার দলুই, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এর নমিনি, জয়ন্ত কুন্দু, স্টেট গভর্নমেন্ট নমিনি তপন ভূঁইয়া ও সেক হাইসেন আলি, কলেজের টিচার ইনচার্জ বামাদেব সেনাপতি। এবং রেজুলেশন অনুযায়ী কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা। এই গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান টিচার ইনচার্জ চেকে সই করতে পারবেন ফলে শীঘ্রই শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা তারা তাদের বেতন পেয়ে যাবেন। মিটিং এর পরেই কেশপুরের বিধায়ক তথা কলেজ পরিচলন কমিটির সভাপতি শিউলি সাহা আশ্বাস দেওয়ার পরেই শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা তাদের এই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ বামাদেব সেনাপতি বলেন, কলেজের গভর্নিং বডির মিটিং হয়েছে। সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। রেজুলেশন হয়েছে অধ্যক্ষের ঘর বা অফিস ঘর খোলার বিষয়টা জেলাশাসককে জানানো হবে, মেজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে অফিস খোলা হবে। কেশপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি শিউলি সাহার বক্তব্য, কলেজের অচল অবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী হচ্ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ। কারণ তিনি চার্জ হ্যান্ড ওভার না করেই চলে গিয়েছেন। আমরা পোস্টে চিঠি পাঠিয়েছি, ইমেইল করেছি বারবার রিকোয়েস্ট করেছি আপনি চার্জ হ্যান্ডওভার করুন টিচার ইনচার্জ বামদেব বাবুকে। কিন্তু তিনি কোন রেসপন্স করেননি। ফলে ওনাদের কোন উপায় ছিল না কারণ ওই রুমটার মধ্যেই স্টুডেন্টদের সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে স্টাম্প থেকে শুরু করে সবকিছুই রয়েছে। উনি কাউকে বিশ্বাস করতেন না সেই কারণের জন্যই একটা অচল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। আজকে ফুল জীবি মিটিং হয়েছে, সবাই সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল। দু-একদিনের মধ্যে ডিডিও পরিবর্তন হয়ে যাবে এরপর শিক্ষক আর শিক্ষা কর্মীরা স্যালারিও পেয়ে যাবেন। এইসঙ্গে তিনি বলেন নতুন প্রিন্সিপালের জন্য কাউন্সেলিং হয়ে গিয়েছে, মেদিনীপুর গোপ কলেজ থেকে অংশুমান চন্দ্র তিনি আসবেন, তাকে আমরা আবেদন করেছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কলেজে যোগদান করার জন্য।