Back
केशपुर में विधायक शिउली साहा और मोहम्मद रफीक के बीच खुला संघर्ष, चुनाव से पहले बयानबाजी तेज
CDChampak Dutta
Oct 28, 2025 01:02:00
Kaji Chak, West Bengal
২৬ এর বিধানসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। এবার সরাসরি একে অপরকে আক্রমণ করতে দেখা গেল কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের দলনেতা কেশপুরের মহম্মদ রফিক কে। সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে শিউলি সাহা কে বাইরের লোক বা বহিরাগত আখ্যা দিয়ে পোস্ট রফিকের। পাল্টা জবাব শিউলির। কয়েকদিন আগে কেশপুরে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বিজয়া সম্মিলনীতে মঞ্চের মধ্যেই কেশপুর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাজা কে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল শিউলি সাহাকে। পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজাও। এরপর দলের শাখা সংগঠনের ডাকা বিজয়া সম্মিলানিতে মন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না ব্লক সভাপতি। সেখানেও মন্ত্রী ব্লক সভাপতিকে উদ্দেশ্যে কটুত্কি করেছিলেন। এরপরই সমাজ মাধ্যমে একটি বক্তব্য শেয়ার করেন কেশপুরের নেতা তথা জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক। সেখানে তিনি ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ব্লক সভাপতি নিজে বিজয়া সম্মেলন ডাকেননি দলের নির্দেশ মত তিনি ডেকেছিলেন এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মুখপত্র ঋজু দত্তকে পাঠিয়েছিলেন। সেটাই ছিল শেষ বিজয়া সম্মেলন। কিন্তু তারপরে একটি বিজয়া সম্মেলন হয়েছিল আমাকেও ডাকা হয়েছিল কিন্তু আমি যাইনি। তার কারণ দলে একটা নিয়ম-শৃঙ্খলা রয়েছে। কেশপুরের মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঘর ছাড়া হবে কেশপুরের মানুষ, যদি আমাদের বিপদ ঘটে নিজেদের খাওয়া খাইতে ঘর ছাড়া হলে বাইরের কোন মানুষের যায় আসে না। অতএব এই ঘটনা থেকে বিরত থাকুন। দলের নির্দেশের বাইরে কেউ কোনো রকম কাজ করবেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার টিমের সমস্ত ঘটনা জানা রয়েছে যে দল বিরোধী কার্যকলাপ করবে তার যোগ্য জবাব সে আগামী দিনে পাবে। এই মাটিতে জন্ম আমাদের মৃত্যু হলে এই মাটিতেই মৃত্যু হবে ঘরছাড়া হলে আমরা হব। বাইরের লোক এসে যদি এইসব গন্ডগোল করে তাহলে সঠিক নয়। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করুন। কেউ বড় নয় কর্মী বড়। আমার পিছনে যদি জনতা থাকে তবেই আমি নেতা। দল যদি কালকে আমাকে টিকিট না দেয় তাহলে আমি জনতা হয়ে যাব। এটা মাথায় রাখতে হবে সবাইকে। রফিকের বক্তব্যে তাকে বহিরাগত বা বাইরের লোক বলতেই ক্ষেপে ওঠেন মন্ত্রী শিউলি সাহা।তার বক্তব্য, উনি যে দলের অনুগত সৈনিক নন তা তার বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার। যখন কেশপুর লাইন ধরে সিপিএমের হার্মাদ রা যুদ্ধ করছে লড়াই হচ্ছে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারংবার ছুটে এসেছেন কেশপুরের মাটিতে সেই সময় অবশ্যই সবাই কংগ্রেস এ ছিলেন তখন রফিক बाबু এই লড়াইয়ে নিশ্চিত ভাবে সাথী ছিলেন। আমাদের নেত্রী তাকে যে জায়গা দিয়েছিল তার নিজের কর্মের জন্য সেই জায়গা তিনি হারিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দলের সঙ্গে ছিলেন না। যেদিন আপনি লড়াইটা করেন সেদিন আপনি মেদিনীপুরের মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন কেশপুরের মানুষ হিসেবে। এই ফেসবুক থেকে ভোটার লিস্ট কেটে নিয়ে আপনি মেদিনীপুর শহরে কত বছর ধরে আছেন।শিউলি আসার পর ২০১৬ সালে আপনি তখনও আমার দলে নেই। সুব্রত বক্সির পরামর্শে আমি আপনাকে ডেকে বলেছিলাম দাদা আপনি আসুন সঙ্গে নিয়ে চলুন। আমি আপনাকে আমাদের লড়াইতে শামিল করেছিলাম। মেদিনীপুরে কাউন্সিলরে টিকিট যখন পাননি তখন জেলা পরিষদে টিকিট পাওয়ার জন্য আপনি ফের কেশপুরে এসে নাম তুলেছেন ভোটার লিস্টে। আমরা সেই সময় সহমত পোষণ করেছিলাম। আপনাকে মর্যাদা দেওয়ার সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানি না আপনার ব্লক সভাপতি হওয়া হয়নি বলে বা মনের দুঃখে বা কি কারণে আমাকে বারংবার বলেছিলেন অন্তত একটা বছরের জন্য আমাকে ব্লক সভাপতি করে দেন। আপনি অনেকবার বলেছিলেন আবেদন করেছিলেন কিন্তু আমি হয়তো আপনাকে সেটা করে দিতে পারিনি সেই কারণেই কি আক্রমণ। আমার নেত্রী আমাকে ছোট্ট একটা কেবিনেট মন্ত্রিত দিয়েছেন কিন্তু যেভাবে আপনি কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে আক্রমণ করছেন তাতে এমন কিছু অপ্রিয় কথা আমার মুখ দিয়ে বলাবেন না যেটা নিয়ে কিন্তু আপনি অপ্রস্তুতে পড়বেন। উপকার করলে শালা শুনতে হয়, এটা বিদ্যাসাগরের কথা। সেটাই এখন দেখছি। আমি কখনো আপনাকে আক্রমণ করি না। আমি আপনাকে রবিনহুড বলি কিন্তু আমি অন্যদের মতন বলতে পারছি না যে রাতে বলে এক, দিনে বলে আরেক। রাতে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যায় কি যায় না এলাকার মানুষ জানে। আমি গত ১০ বছর ধরে কেশপুরকে আগলে রেখেছি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখেছি অনেক ত ্যাগ করে। কেশপুরকে আমি কতটা ভালোবাসি সেটা কেশপুরের মানুষ জানে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আপনি সহ দু একজন একদিকে আছেন আর গোটা কেশপুর জুড়ে যারা নেতৃত্ব দেয় যারা ভোট করায় যারা যোগ্য প্রতিনিধি যারা ন্যায়ের সাথে সততার সাথে কাজ করছে তারা আমরা সবাই একসাথে সহমত পোষণ করছি। রফিক বাবু আপনি ৯৮ সালে ৯৭ সালের লড়াই বলেন তারপরে আপনি দীর্ঘদিন দলের বাইরে ছিলেন, আপনিই প্রেসমিট করে বলেছিলেন ব্লক সভাপতি হলে নাকি গাড়ি বাড়ি হয়ে যায়। প্রশ্ন আপনি তুলেছিলেন আমি নই। এর পাল্টা জবাব দেন মহম্মদ রফিক। রফিকের বক্তব্য, কেশপুরের মাটিতে আমার ৪৮ বছর রাজনীতি হয়ে গেছে,যুব কংগ্রেস থেকে কংগ্রেস, কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০০ সালে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, দুবার জেলে গিয়েছি। বহু রাত মাঠে ঘুমিয়েছি পুলিশের জ্বালায়। বহু মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি বহু অর্থ ব্যয় করে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, অবিভক্ত মেদিনীপুরের তৃণমূলের প্রথম পতাকাটা তৈরি হয়েছিল আমার পয়সায়। ২০১৬ সালে কেশপুরের ভোটে প্রথম দাঁড়ানোর সময় শিউলি সাহা বলেছিল তৎকালীন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান হারিয়ে দেবে। সঞ্জয় পান শুভেন্দু অধিকারীর লোক। মুকুল রায় সেই সময়ে আমাকে বলেছিল শিউলির হয়ে নামার জন্য। এক লক্ষ এক হাজারের বেশি ভোটে সেবার জিতেছিল শিউলি সাহা। কাউন্টিং এর পর জড়িয়ে এসে ধরেছিল আমাকে। মুকুল রায় সুব্রত বক্সির নির্দেশে সেই সময় আমি মাঠে নেমেছিলাম। শুভেন্দু অধিকারী শিশির অধিকারী সহ মেদিনীপুরের আরেকজন যিনি মারা গেছেন তারা দিদির কানে কানে আমার বিরুদ্ধে বলেছিল। সেই সময় সিপিএম আমাকে খুন করার জন্য তরোয়াল বন্দুক নিয়ে ঘুরছিল। কিন্তু আমি আন্দোলন বন্ধ করিনি বারবার গতিবেগ বাড়িয়েছি। তখন দলের পয়সা নেই, নিজের ইনকামের পয়সা দুটো বাস বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। এইসব কথা ম্যাডাম ভুলে গিয়েছে। ম্যাডামকে এমএলএ করেছে কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছে কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো অনেক লড়েছেন বাদ দেওয়ার জন্য। ২০১৬ সালে এসেই ব্লক সভাপত সঞ্জয় পান, পরের ব্লক সভাপত উত্তরমানন্দ ত্রিপাঠী,বর্তমান ব্লক সভাপত প্রদ্যুৎ পাঁজা। সবার সাথেই তার গন্ডগোল। কোন ব্লক সভাপত তার পছন্দের নয়। কে ভাল কে খারাপ এবার আপনারাই বুঝে নেন। দল যাকে যে সম্মান দেবে তাকেই আমরা সম্মান দিই। শিউলি ম্যাডাম ভুলে যাচ্ছেন তেইশের জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে উনি আমার নাম বলেননি। উনি অন্যের নাম বলেছিলেন, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা কে বলেছিলেন মহম্মদ রফিককে জেলা পরিষদের টিকিট যেকোনো জায়গা থেকে দিতে হবে। সেই মতন সুজয় হাজরা সহ কয়েকজন আমার হয়ে লড়েছিল উনি আমার হয়ে লড়েন নি। উনি মিথ্যা কথা বলছেন। ২০১৬ সালে উনি এক লাখের বেশি ভোটে জিতলেন তারপর ২০২১ সালে নিজের কৃতিত্ব ফলাতে গিয়ে ২১ হাজার ভোটে ব্যবধান নেমে গিয়েছিল। তারপর আবার ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দীপক অধিকারী ওই কেন্দ্র থেকেই এক লক্ষ তিন হাজারের বেশি ভোট পেয়েছিল। আজকে যদি শিউলি সাহা টিকিট না পায় তাহলে আজকে উনি মন্ত্রী কালকে উনি জনতা হয়ে যাবেন। একই রকম ভাবে দল আমাকে টিকিট দিয়েছে বলে আজকে আমি দলনেতা, দল টিকিট না দিলে আমিও কালকে হয়ে যাব জনতা। সবাইকে বুঝতে হবে দলের উর্ধ্বে কেউ নয়। কেন গ্রুপ বাজি, কিসের জন্য গ্রুপ বাজি, কেন ব্লক সভাপতি কে মানবো না। তুমিই তো করেছ, তার বিরুদ্ধে আবার কেন বার বার কাউন্টার করে যাচ্ছ। পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টা সিটের মধ্যে সবদিকে বেশি মানুষ খুন হয়েছে, সব থেকে বেশি ঘর ছাড়া হয়েছে কেশপুর এ। ২০১৬ সালের আগে আপনার জন্ম লগ্ন থেকে কেশপুরের মাটিতে আপনি একদিনও পা দেননি। অতএব কেশপুরের দিকে আঙ্গুল তুলবেন না কেশপুরের মানুষ, কেশপুরে দলীয় কর্মীরা যাতে শান্তিতে থাকে সেই চেষ্টা করুন।
4
Report
For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com
Advertisement
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:50:310
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:50:170
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:49:461
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:49:323
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:49:070
Report
EGE GOPI
FollowOct 28, 2025 14:48:590
Report
ALArup Laha
FollowOct 28, 2025 14:48:38Belna, West Bengal:মান্থার প্রভাবে পূর্ব বর্ধমানেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। জেলার খণ্ডঘোষ, রায়না,আউশগ্রাম, গলসি, ভাতার সহ সর্বত্রই হালকা ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি চলছে।
0
Report
ABArup Basak
FollowOct 28, 2025 14:48:220
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 14:48:010
Report
KMKIRAN MANNA
FollowOct 28, 2025 13:53:130
Report
KMKIRAN MANNA
FollowOct 28, 2025 13:52:540
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 13:52:370
Report
BSBidhan Sarkar
FollowOct 28, 2025 13:52:180
Report
CDChittaranjan Das
FollowOct 28, 2025 13:52:000
Report
ANArnabangshu Neogi
FollowOct 28, 2025 13:14:000
Report
