नदिया के शांतिपुर में जगद्धात्रि पूजा की शुरुआत चार सौ साल पुरानी परंपरा के साथ

সর্বপ্রথম ঘটে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা নদিয়ারের শান্তিপুরে সময়টা ১৭৬০ সাল। রবার্ট ক্লাইভ মীরজাফরকে সরিয়ে মীরকাশিমকে বাংলার নবাব করেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষ নিয়ে কর দিতে অস্বীকার করায় নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে মীরকাশিম মুঙ্গারে বন্দী করেন। ১৭৬৩ সালে মীরকাশিম ও ইংরেজদের যুদ্ধে সুযোগ পেয়ে রাজা পালিয়ে আসেন। ফেরার পথে গঙ্গায় দুর্গা বিসর্জন দেখে ব্যথিত রাজা স্বপ্নাদেশ পান কার্ত্তিকী শুক্লা নবমীতে দুর্গামন্ত্রে দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা করতে। কোনো রূপ না পেয়ে তিনি ঘটপূজায় সূচনা করেন, যা পরে নদিয়ায় বিখ্যাত হয়। নদিয়ার শান্তিপুরের কাছে ব্রহ্মশাসন গ্রামে বাস করতেন সাধক চন্দ্রচূড় তর্কচূড়ামণী পঞ্চানন। ধ্যানযোগে তিনি সূর্যোদয়ের সময় দেবীকে সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা, রক্তিমবর্ণ রূপে দর্শন করেন। দেবীর আদেশে তিনি প্রথম মূর্তি গড়ে জগদ্ধাত্রী পূজা start করেন। পরে রাজা গিরিশচন্দ্র রায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় তিনি দেবীর কাছ থেকে পূজার মন্ত্র ও পদ্ধতি লাভ করেন। মহামারীতে গ্রাম নিশ্চিহ্ন হলে ব্রাহ്മণরা দেবীর চরণপিঠ ও সামগ্রী সূত্রাগড় বিশ্বাসপাড়ায় রেখে যান। তখন থেকেই সূত্রাগড়ে নিষ্ঠার সঙ্গে মা জগদ্ধাত্রীর পূজা চলে আসছে। জানা যায় ১০৮ ঘর ব্রাহ্মণের ভিতর বর্তমানে রয়েছে এক ঘর ব্রাহ্মণের পরিবার। ব্রাহ্মণ পরিবারের বংশধর রমা প্রসাদ মুখার্জী জানিয়েছেন আজ থেকে প্রায় চারশো বছরও বেশি আগে সর্বপ্রথম এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়েছিল ঘটে পরবর্তীতে মূর্তি পূজার সূচনা হয়। রাজ পরিবারের হাত ধরেই এ পুজোর সূচনা হয়েছিল সাধক চন্দ্রচুর তর্ক চুরা মনি শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের ব্রহ্ম শাসন এলাকায় নদীর পাড়ে কামরাঙ্গা গাছের গোড়ায় পঞ্চমুন্ডির আসনে ধ্যানযোগে তিনি সূর্যোদয়ের সময় মায়ের রূপ দেখতে পান। এরপর শুরু হয় এখানে দেবী মূর্তি গড়ে পূজা অর্চনা। যদিও পূজা উদ্যোক্তা সুমন্ত ব্যানার্জি জানিয়েছেন আমাদের এখানে ঘট পুজোর প্রচলন ছিল পরবর্তীতে মূর্তি পুজো অনুষ্ঠিত হয় , তবে এই পুজোর সাথে রাজ পরিবারের যোগ রয়েছে। কারণ সেই সময় রাজ পরিবারের নির্দেশেই এখানে ঘট পূজোর প্রচলন শুরু হয়েছিল। তবে এখানে ঘট পুজো চালু হলেও ছিল না, কোন মূর্তি ও মন্ত্র , পরবর্তী সময়ে মূর্তি ও মন্তের সূচনা হয় রাজ পরিবারের হাত ধরে। জানা যায় শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলের ব্রহ্মশাসন এই এলাকায় ১০৮ ঘর ব্রাহ্মণ বসবাস করতেন কিন্তু মারণ রোগ দেখা দেওয়ায় একটি ব্রাহ্মণ পরিবার ছাড়া বাকি পরিবার সকলেই মারা যান। এই এক ঘর ব্রাহ্মণ পরিবারের সদস্যরা কেউ থাকেন কলকাতায় বা কেউ থাকেন অন্যত্র। এছাড়াও এই গ্রামে রয়েছেন এই পরিবারের সদস্যরা।