जलगुड़ी के रंगाती नदी में लाखों मछलियाँ मरईं, अवैध खनन और विषाक्तता का शक

জলপাইগুড়িতে রাঙাতি নদীর পাশে তিস্তায় নানান প্রজাতির প্রচুর মৃত মাছ ভাসতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকাজুড়ে। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের আংড়াভাষা এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এবং শালবাড়ি এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বুক চিরে বয়ে চলা রাঙাতি নদীতে আজ ভোরে একটি মর্মান্তিক দৃশ্য ধরা পড়ে। নদীর জলে ভেসে থাকতে দেখা যায় অসংখ্য মৃত মাছ। উপস্থিত লোকজন চোখে দেখা এই দৃশ্য দেখে আশঙ্কা ও কৌতূহল থেকে কার্যত জড়ো হন। মৃত মাছ ধরতে সকাল থেকেই বহু মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করেন। নদীর একাধিক অংশ জুড়ে এই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই নদী থেকে বালি ও পাথর তোলা হচ্ছে, যার ফলে ক্রমশ নদীর নাব্যতা নষ্ট হচ্ছে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকাবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃতভাবে নদীতে বিষ ঢেলে দিয়েছে। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা স্পষ্ট নয়। জেলার মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অনুযায়ী, নদীর উপর দীর্ঘদিন ধরে চলা বালি ও পাথর উত্তোলন এবং সম্ভাব্য বিষক্রিয়ার মতো ঘটনায় নদী ও পরিবেশ দুটোই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, প্রশাসন এই ঘটনার তদন্তে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অপরদিকে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যুমুখে পড়া মাছগুলোর সংখ্যা হাজারে হাজার বলে স্থানীয় ভাবে বলা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে নদীর জলে ব্যাপক ধাঁধা-ঘটনার মতো মৃত মাছ ভেসে ওঠে। Tিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকায় ঘটনার খবর পৌঁছলে মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান এবং মাছের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বলেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষক্রিয়ায় মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ প্রকাশ্য। এরপর মাছগুলো কারা শিকার করেছে এই নিয়ে আলোড়ন দেখা দেয়। পরিবেশরক্ষীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে নদীর জলে বিষ মেশানোর সম্ভাবনা রয়েছে।