CPI(M) की বাংলা बचाओ यात्रा जलপाईगुड़ी में प्रवेश, विभाजन विरोधी संदेश तेज

৩১ নভেম্বর জলপায়গুড়িতে প্রবেশ করবে সিপিআই(এম)-এর ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’—বিভাজন বিরোধী বার্তা ঘিরে জোর প্রস্তুতি জলপাইগুড়ি তে। ২৯ নভেম্বর তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হতে চলেছে সিপিআই(এম)-এর উদ্যোগে সংগঠিত ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা পরিক্রমা শেষে ৩০ নভেম্বর এই যাত্রা প্রবেশ করবে জলপাইগুড়ি জেলায়। জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বহু কর্মসূচি, সভা ও জনসংযোগের মধ্য দিয়ে এগোবে এই যাত্রা। বিভাজন ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে যুক্ত করার আহ্বানই এ যাত্রার মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। এই কর্মসূচির প্রস্তুতি হিসেবে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন কালিয়াগঞ্জ ক্লাব মাঠে পার্টির জেলা কমিটির ডাকে সদর পূর্ব/পশ্চিম, সদর দক্ষিণ পূর্ব/পশ্চিম ও রাজগঞ্জ এরিয়া কমিটির যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টি নেতা তপন গঙ্গয়ালী। বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র, রাজ্য কমিটির সদস্য সলিল আচার্য সহ বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ধুপগুড়ি-ময়নাগুড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি শহর এবং সেখান থেকে রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা অতিক্রম করবে যাত্রা। ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, কালিয়াগঞ্জ ও রাজগঞ্জ বাজারে মোট চারটি বড় সভা ছাড়াও পথে মনীষীদের মূর্তিতে মাল্যদান, অসংখ্য পথসভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ির মানুষ যেভাবে ভাষা, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতিকে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে ধারণ করে, সেই সামাজিক ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করার বার্তাই তুলে ধরা হবে যাত্রাজুড়ে। নেতৃত্ত্ব বলেছেন, বাংলার আর্থিক সংকট, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, চা বাগানের সমস্যা, শিল্পহীনতা, কৃষিকাঠামোর বিপর্যয়, দুর্নীতি, কেন্দ্র-রাজ্যের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আটকে থাকা উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক অধিকারের সংকোচন—এসব বড় প্রশ্নকে সামনে আনতে চলেছে বাংলা বাঁচাও যাত্রা। পাশাপাশি রাজ্যের ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা—সমস্ত ক্ষেত্রে political হস্তক্ষেপ বন্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিও জোরালো ভাবে তুলে ধরা হবে। নেতৃত্বের দাবি, বিভাজনের রাজনীতিকে পরাজিত করে সাধারণ মানুষের হাতে রাজ্যের ভবিষ্যৎ ফিরিয়ে আনার পথেই চলবে এই যাত্রা। জলপাইগুড়ি জেলার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আন্দোলন আরও শক্তিশালী হবে বলেই প্রত্যাশা।