खानाकुल में बिना अनुमति बीजेपी बाइक मार्च से राजनीतिक तकरार तेज

আরামবাগঃ২৭ অক্টোবর --------------------------------------------- পুলিশের অনুমতি না নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস ও হুমকি প্রদর্শন করে রীতিমতো বাইক মিছিল করে বেড়ালো বিজেপির কর্মীরা।ভীত ও সন্ত্রস্ত করে রাখতে সেই পুরানো কায়দায় সিপিএমের মত একই ভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে খানাকুলে।এমনই অভিযোগ শাসক দলের। আর এতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে।যদিও পুলিশ বলেছে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।কারণ পুলিশের কাছে কোন অনুমতি নেয়নি বিজেপির কোন নেতা বা বিধায়ক।আর তাতেই বিতর্ক শুরু।ছাড়তে নারাজ শাসক দলের লোকজন। তারাও এবার কোমর বেঁধে নামছেন।উল্লেখ্য যে হাতে গোণা আর কয়েকমাস পরেই এই রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রায় শুরু করেই দিয়েছে। কিন্তু খানাকুলের বিজেপির এই বাইক মিছিল নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ও বিতর্ক বাড়ছে।বিজেপির বাইক বাহিনীর তান্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে খানাকুলের চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও নতিবপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন। ভোটের আগে এই ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল থেকে সিপিএম নেতৃত্ব। জানা গেছে, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই শতাধিক বাইক নিয়ে চিংড়া এলাকায় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ মিছিল করে।শনিবার রাতের অন্ধকারে হঠাৎই গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় অলি গলি ঢুকে দাপিয়ে বেড়ায় তারা।সাথে হুমকি। আর এতেই এলাকায় প্রশ্ন উঠছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি শান্ত এলাকা অশান্ত করতে চাইছে। তা না হলে কেন এলাকায় বাইক নিয়ে বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে হুমকি প্রদর্শন করবে। রাতের অন্ধকারে কেন শান্ত গ্রাম্য পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জবাব বিজেপিকে দিতে হবে বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের আরও দাবি কোনও রাজনৈতিক মিছিল করতে হলে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তাও নেওয়া হয়নি। তাহলে কি এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করতে কি এই বাইক বাহিনীর দাপট। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই তৃণমূলের বাইক মিছিলে নতিবপুর এলাকায় হামলা করে বিজেপি বলে অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ ছিল, তৃণমূলের বাইক মিছিল থেকে মহিলাদের উপর হামলা করা হয় । এর প্রতিবাদে বনধ করে বিজেপি। আবারও রাতের অন্ধকারে বিজেপির বাইক মিছিল چিংড়া এলাক। আর এই নিয়ে ওই এলাকায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে।উল্লেখ্য যে,খানাকুলের এই সমস্ত এলাকা অত্যন্ত উত্তেজনা পূর্ণ ও স্পর্শ কাতর এলাকা।উল্লেখ্য যে আজ সোমবার খানাকুলে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেও এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক স্বপন নন্দী বলেন, " বাইক মিছিল করতে হলে অনুমতি নিতে হয়৷ রাতে বাইক মিছিল করায় শিশু থেকে ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এই ধরনের অনৈতিক কাজ করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।আমরা পুলিশ কে জানিয়েছি"। অপরদিকে আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, " বাইক মিছিল ভারতীয় জনতা পার্টির একটি অঙ্গ। পূর্ব সূচনা অনুযায়ী প্রত্যেক বিধায়ককে বাইক মিছিল করতে বলা হয়েছিল। বিধায়ক মিছিল করেছে। বিজেপের বাইক মিছিল দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে গেছে।বিজেপিকে কোন মিছিলের অনুমতি নিতে হলে প্রশাসনের কাছে ৭২ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে হয়। তৃণমূল যখন করবে তখনই তারা অনুমতি পাবে। এটা কি নিয়ম। এটা উচ্চ নেতৃত্বের তাৎক্ষণিক সূচনাতে কর্মসূচি হয়েছে।কিন্তু শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছেন আমাদের কর্মীরা।কোন অশান্তি বা গোলমাল কিছুই হয়নি।তৃণমূল অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করছে।আসলে ওদের আর কিছু নেই।তাই ভয়ে এসব করছে।আর পুলিশ কে হাতিয়ার করতে চাইছে। আবার সিপিএম নেতা অভিধান হিসেবে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিপ্লব মৈত্র বলেন, এটা তো প্রশাসনের দেখা উচিত। আসলে প্রশাসনও বিজেপি ও তৃণমূলের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে নিয়ে নিরব আছে।প্রশাসনের উচিত যারাই এই ধরনের অনুমতি ছাড়া মিছিল করবে তাদেরই শাস্তি দিতে হবে। স্লাগ--- 2710ZG_ARM_BJP_MICHIL_R ছবি ও বাইট আছে 2 C তে।