Back
मंदिर के कोने में असहाय मां-बेटे: क्या मिली मदद?
PCPartha Chowdhury
Sept 27, 2025 10:18:23
Bardhaman, West Bengal
পুজো শুরু হল এক অন্যরকম খবর দিয়ে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার ' যা বলব সত্যি বলব' গোটা বর্ধমানকেও নাড়িয়ে দিয়েছে।
পুজোর সেলিব্রেশন আর জাকজমক এর অন্তরালে রাঢ়ের অধিষ্ঠাত্রী জনপ্রিয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরের এক কোণে অসুস্থ ছেলের জন্য হাত পেতে ভিক্ষে করছিলেন অশীতিপর মা ভগবতী।
এই খবরের অভিঘাতে কয়েকজন মানুষ সাহায্য করে গেছেন। শনিবার দুপুরে মন্দিরে এসে পৌছল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারের পাঠানো সামগ্রী।
গতকাল এক অনুষ্ঠানে জি ২৪ ঘন্টার জেলা প্রতিনিধিকে তিনি জানান, ' 'যা বলব সত্যি বলব ' তে সম্প্রচার হওয়া এই কাহিনী তাঁকেও ছুঁয়ে গেছে। ওই মায়ের দায়িত্ব তিনি নিচ্ছেন।
সেই মতো আজ দুপুরে মন্দিরে এল একমাসের চাল, ডাল,তেল, নুন, মশলা,হরলিক্স, আলু সহ সব একমাসের রেশন। সংগে তার জন্য পাঁচ সেট শাড়ি, ছেলের জামা,লুঙ্গি। ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য। ভগবতী দেবীর রান্না গ্যাস চুরি হয়ে গেছিল। সেজন্য নতুন একটি মিনি গ্যাস।
সভাধিপতি নিজে অন্তরালে থাকতে চান। তাই সর্বমঙ্গলা ট্রাস্টের সদস্য সঞ্জয় ঘোষ, জেলা পরিষদের কর্মী কানাই পাল, নাগরিক সদন সিনহা এই সাহায্যগুলি তার হাতে তুলে দেন।
সভাধিপতি আমাদের জানিয়েছেন , ' এই খবর তুলে ধরে জি ২৪ ঘন্টা ভাল কাজ করেছে। তিনি আগামীদিনেও ভগবতী দেবীর পাশে থাকবেন। খোঁজখবর নেবেন।
মন্দির ট্রাস্টের সদস্য সঞ্জয় ঘোষ, জি ২৪ ঘন্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, যা বলব সত্যি বলব অনুষ্ঠানে অনেক সত্যি সামনে আসছে। তারাও ভগবতী মায়ের খেয়াল রাখবেন।
বাইট : ১) সঞ্জয় ঘোষ ( মন্দির ট্রাস্টের সদস্য) ২) ভগবতী গড়াই( মা)।
৩) ওয়াক থ্রু।।
চন্দন ঘোষ, সদন সিনহার সঙ্গে পার্থ চৌধুরী।
2709ZG_BWN_MAA
* ভালভাবে ছবি তোলা আছে।
আগের কপি: গোটা বাংলা এখন সেলিব্রেশনের মুডে। সারা বছরের প্রতীক্ষার পরে আনন্দময়ী মা আসছেন।
আর ঠিক এই সময়ে রাঢজননী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের এককোণে বসে ভিক্ষা করছেন ভগবতী। ভগবতী এক অশীতিপর মা। অসুস্থ, অকেজো একমাত্র ছেলের মুখে দুটো ভাত তুলে দিতে এই ক্লেশযাপন করছেন মা।
একবছর আগেও বাসন মাজতেন। খেটে খেতে আর পারছেন না। তাই এই ভিক্ষাবৃত্তি।
তবু রোজ নিজেরও আর ভাত জোটে না। কারণ ভিখিরি সমাজে তিনি নতুন। তাই তার নিয়মকানুন জানেন না। তাই মন্দিরের এককোণে তিনি বসে থাকছেন প্রতিদিন। এই উৎসবমুখর সময়ে যদি আরো মন গলে তার দু:খ শুনে।এই ব্যস্ত সময়ে এই জেটযুগে কেউ বা কার দু:খ গোনে।
এদিকে গতকালই মহাসমারোহে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শুরু হয়ে শারদোৎসব। চলবে নবমী অবধি। প্রতিপদে মাকে রাজবেশ পরানো হয়েছে। ঘোড়ার গাড়ি করে ঘটোত্তলন করা হয়েছে। ছিলেন জেলাশাসক, বিধায়ক,মহকুমাশাসক থেকে প্রশাসনের বড়কর্তারা। গোটা বর্ধমানের মত এই মন্দিরেও বিধায়কের অসীম প্রভাব। তবু সবার নজর এড়িয়ে গেছে এই ধাক্কা দেবার মত ঘটনাটা।
প্রিয় দর্শক, এই ধাক্কা আমরা আপনাকে দিতে চাইনি। কিন্তু আমরা বাঙালি। মাতৃপুজা করি। তাই আসুন শুনে নিই, এক মায়ের মর্মবেদনা। এই ভরা উৎসবের অন্তরালে দারুন মর্মব্যথা। জেনে নিই এই ভগবতীর বায়ো ডাটা।
ভগবতী গড়াই।
আদি বাড়ি শোলাশিল্পের জন্য বিখ্যাত বনকাপাসির কাছে যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামে।
ভিক্ষে করে খাবার মত পরিবার তার নয়।
স্বামী মৃত্যুঞ্জয় গড়াই ছিলেন ছোট চাষী।
কিছু জমি জায়গা ছিল।
অলস মানুষ ছিলেন। তাই সব কিছু একসময় বিক্রি হয়ে যায়।দুই ছেলেকে নিয়ে অকুল পাথারে তখন ভগবতী।
আটাত্তরের বন্যায় ভাসতে ভাসতে বর্ধমান শহরে আশ্রয় নেন তিনি। একসময় বাড়িভাড়া বাকি পড়ে। ঠাঁইহারা হন।
এর মধ্যে বড় ছেলে টিউমার হয়ে ভুগে মারা যান। ভাল চিকিৎসা হয়নি অভাবে।
কাঞ্চননগরে তার স্ত্রী আর ছেলে মেয়ে থাকে। ছোট ছেলেক নিয়ে ভগবতী থাকেন একজনের দয়ায় বাড়ির উপান্তে।
মেয়ের বিয়ে হয়েছে ভাতছালা পাড়ায়।তারাও দিন আনে, দিন খায়।
ছোট ছেলে বোহেমিয়ান। নাম রমেশ গড়াই।
এখন আরবকিছু কাজ করার ক্ষমতা নেই। রমেশ আগে অল্পসল্প মদ খেত। এখন অসুস্থ। বয়স ৩৫ বছর।
দুর্ভাগ্য একা আসে না। এর মধ্যে ভয়ংকর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন সেই ছোট ছেলে।
কিছুদিন আগে, টানা ১৮ দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। অভাবে চিকিৎসা তেমন করাতে পারেন নি অসহায় মা।এখন তাকেই বাঁচাতে চান।
কাউকে কাউকে দু:খের কথা বলেন ভগবতী। শোনে না কেউ। মন্দিরে আসা ভক্তরাই তার কাহিনী শুনেছেন। ( বাইট)
জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু, জি ২৪ ঘন্টার প্রতিনিধিদের কাছে এ কাহিনী শুনে জানান, যখন মা আসছেন, তখন এটা খুব দু:খের। দেবু টুডু শিল্পী মানুষ। জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করবেন।।
ভগবতীর দু:খ তো অসীম।
গ্রামের পোড়ো বাড়ি একসময় মাটিতে মিশে যায়।
বর্ধমানে ৭৮ এর বন্যার সময় চলে আসা ভগবতী লোকের বাড়ির এককোণে ঠাঁই পান।
বাসন মেজে খেতেন। বয়স হয়েছে। তাই আর কাজ পান না।
এখন তাই ভিক্ষে করে খান। ছেলে তার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
নিজের ভাত জুটুক বা না জুটুক ছেলের ভাত ফোটান অশক্ত মা। ফোটানোর আগে জোটানোর পালা।
এদিকে মন্দিরের রয়েছে প্রায় শতাধিক পুরনো ভিখিরি। তাদের নিয়মকানুন এই মা জানেন না। ভাগ পান না গড় ভিক্ষার। তাকে তারা পছন্দ করেও না। সেজন্যই এককোণে বসে ভগবতী ।
ভেক না ধরলে ভিক্ষে মেলে না। ভগবতী ভিক্ষের ঝুলি নেই,বাটিও নেই।
সম্বল রুগ্ন,অশক্ত হাত।
তাই বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্য চাইছেন তিনি।
কোনো হাত কি এগিয়ে আসবে?
0
Report
For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com
Advertisement
DGDebabrata Ghosh
FollowSept 27, 2025 11:34:060
Report
ALArup Laha
FollowSept 27, 2025 11:33:560
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowSept 27, 2025 11:33:420
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowSept 27, 2025 11:33:290
Report
TCTathagata Chakraborty
FollowSept 27, 2025 11:33:160
Report
MCMoumita Chakraborty
FollowSept 27, 2025 11:33:050
Report
BSBarun Sengupta
FollowSept 27, 2025 11:32:590
Report
BSBarun Sengupta
FollowSept 27, 2025 10:32:370
Report
MCMoumita Chakraborty
FollowSept 27, 2025 10:18:560
Report
PMPiyali Mitra
FollowSept 27, 2025 10:02:390
Report
ABArup Basak
FollowSept 27, 2025 09:46:320
Report
BSBarun Sengupta
FollowSept 27, 2025 09:36:33Barrackpore, Kolkata, West Bengal:হালিশহর বলাকা শিশু মঙ্গল এইরার এই পুজো ৩৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল এ বছরের তাদের ভাবনায় দীঘার জগন্নাথ ধাম।
চারটি ভাগে মন্দককে ভাগ করা হয়েছে প্রথম ভাগে নাট মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, দেবী দুর্গার ঘর, তারপরে রয়েছে জগন্নাথের মন্দির।
270925_BKP_HALISHAR
2C TE
0
Report
BSBarun Sengupta
FollowSept 27, 2025 09:16:05Barrackpore, Kolkata, West Bengal:ন পাড়া দাদাভাই সংঘ তাদের এবারের ভাবনা বা THE BONDING ।
সম্পর্ক মানে শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্ক নয়, মানে হৃদয়ের সম্পর্ক। এক অদৃশ্য সুতোর টান। ২২ তম বর্ষে পদার্পণ করে এই সম্পর্কের টান কেই তুলে ধরেছেন তারা।
270925_BKP_THE_BONDING
2C TE
0
Report
AMAshok Manna
FollowSept 27, 2025 09:07:050
Report