Become a News Creator

Your local stories, Your voice

Follow us on
Download App fromplay-storeapp-store
Advertisement
Back
North 24 Parganas700120
66 साल से आरियादह मौसुमी क्लब में देवी रानी माता की पूजा जारी
BSBarun Sengupta
Oct 01, 2025 09:34:37
Barrackpore, Kolkata, West Bengal
আরিয়াদহ মৌসুমী ক্লাব এই পূজোর বয়স ৬৬ বছর এখানে দেবী রানী মা রূপে পূজিত হন। প্রতি বছর ই প্রতিমার হাইট এক থাকে মুখো থাকে এক শুধু পাল্টায় গহনার রং। তিনটে ক্লাব একসঙ্গে ৬৬ বছর আগে এই পুজো শুরু করেছিল আজো চলে আসছে সেই পুজো।
0
comment0
Report

For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com

Advertisement
ABArup Basak
Oct 01, 2025 11:48:50
Mal Bazar, West Bengal:পুজো পরিক্রমা মালবাজার মহকুমা (BANER দেওয়া পুজো) ১) মালবাজার শহরের অন্যতম দূর্গা পূজা রাধা গোবিন্দ মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। কম বাজেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে অভিনবত্বর ছোঁয়া প্রতিবছরই ফুটিয়ে তোলা হয় এই পুজো মন্ডপে। ২১ তম বর্ষের থিম শিবালয়ের দেশে। আলো ও বিভিন্ন মাটির কারুকার্যতার মধ্য দিয়ে সুদৃশ্য থিম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সুদৃশ্য মণ্ডপসজ্জা নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের。 ২) ৫৬ তম বর্ষে মালবাজার শহরের নাবভারত সংঘের পূজা দর্শনার্থীদের নজর কাড়লো। পিরামিডের আদলে তৈরি মন্ডপসজ্জা ও সুদৃশ্য মাটির কারুকার্যতা ও নিপুণতার ছোঁয়ায় মা দুর্গার মূর্তি নজর কেড়েছে সকলের। শহরের প্রবীণ মৃৎশিল্পী লক্ষণ পালের হাতে তৈরি মায়ের মূর্তি দর্শনার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। ৩) কর্মসূত্রে মালবাজার শহরে এসেছিলেনmany। পরবর্তীতে শহরকে ভালোবেসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করলেন তারা। পরবর্তীতে সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন মায়ের আরাধনায় মেতে উঠবে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে মিলিত হয়ে শুরু করলেন দেবী দুর্গার আরাধনা। মালবাজার শহরের ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডে নতুনপল্লী সার্বজনীন দুর্গা পুজো। দ্বিতীয় বর্ষের পূজায় নজর কাড়লো শহরের এই پুজо। পুজোর কটা দিন এলাকা বাসীর একসাথেই জমাটি আড্ডা পূজার যাবতীয় কর্মসূচি নজর কাড়তে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। ৪) মালবাজার শহরের অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো এটিও ক্লাব (এ্যাবলুম ট্যালেন্টেড অর্গানাইজেশন)। ২৮ তম বর্ষের তাদের থিম চটের তৈরি মন্ডপসজ্জা। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি রোডের দ্বিগবিজয় পালের তৈরি সুদৃশ্য মায়ের মূর্তি নজর কেড়েছে। মহালয়ার পূর্ণ প্রভাতে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা, নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়েই ২৮ তম বর্ষের পূজার আয়োজন করা হয়েছে এটিও ক্লাব কর্মকর্তাদের উদ্যোগে। ৫) ৭৭ তম বর্ষে কলোনি সার্বজনীন দুর্গাৎসব কমিটি। শহরের প্রাচীন পুজোগুলির অন্যতম কলোনী সার্বজনীন। শহরের রথখোলা ময়দানে কলোনির পূজোকে কেন্দ্র করে ভিড় জমান বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে তৈরি মন্ডপ নজর কেড়েছে দর্শনার্থীদের। ৬) ডুয়ার্সের মধ্যে সব থেকে বড় এবং বিগ বাজেটের পুজোর মধ্যে অন্যতম চালসার মা আনন্দময়ী কালীবাড়ির দুর্গাপূজো। এই পুজো এবছর ৫০ বছরে পরলো। সেই কারনেই সব দিক দিয়েই অন্যান্য পুজো গুলোকে টেক্কা দিয়েছে এই পুজো। এই পুজোর মেন দায়িত্বে রয়েছে মহিলারাই। পুরো মন্ডপে বাকুড়ার টেরাকোটা শিল্পকেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশাল এই মন্ডপে রয়েছে নানা ধরনের ঝারবাতি। মায়ের প্রতিমাও অপরুপ সুন্দর। কোলকাতা থেকে আনা হয়েছে ১০ জনের মহিলা ঢাকিদের। পাশাপাশি মন্ডপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মন্ডপের প্রবেশ মুখে এবং রাস্তায় রয়েছে চন্দন নগরের আলোকসজ্জা। ৭) পর্যটন কেন্দ্র মেটেলি বক্কার উত্তর ধুপঝোড়ায় পুজো কে ঘিরে উন্মাদনা সকলের মধ্যে। এখানে শ্যামলী সংঘের দুর্গাপূজা এবার ১৮ তম বর্ষে পদার্পন করলো। কাল্পনিক এই মন্ডপ তৈরি হয়েছে। মন্ডপে পট শিল্পকে ব্যাবহার করা হয়েছে। এই পুজো দেখতে আসছে পর্যটকেরা। পাশাপাশি একচালা মায়ের প্রতিমা তৈরি করেছে স্থানিয় শিল্পিরা। ৮) জঙ্গল সংলগ্ন চালসার উত্তর ধুপঝোড়ায় পিপলস ক্লাবের দুর্গাপুজো ঘিরে সকাল থেকেই উন্মাদনা স্থানিয়দের মধ্যে। যেহেতু সামনেই টুরিস্ট স্পট মুর্তি রয়েছে, তাই পর্যটকেরা বেশি মাত্রায় এই পুজো দেখতে আসে। ৪৯ বছরের এই পুজোর থিম সহজ পাঠ। ৯) মাল ব্লকের আও একটি বড় পুজো হল দক্ষিন ওদলাবাড়ি সর্বজনীন এর দুর্গা পুজো। ২৮ বছরের এই পুজোর দক্ষিণ ভারতের মন্দির। আউটডোরের পাশাপাশি ইনডোরেও রয়েছে নানা কারুকার্য। রয়েছে আলোক সজ্জাও। ১০) ওদলাবাড়ি আমরা সবাই সর্বজনীন দুর্গা পুজো এবার ৫ বছরে পরলো। পুরলিয়ার মন্দিরের ধাচে এখানে মন্ডপ সজ্জা হয়েছে। মন্ডপ তৈরি হয়েছে খর, চট ও বাশ দিয়ে। মন্ডপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জা রয়েছে। রয়েছে একচালা দুর্গা প্রতিমা। সরকারি কোন অনুদান না পেলেও এই পুজো সবার নজর কেরেছে।
0
comment0
Report
ALArup Laha
Oct 01, 2025 10:38:17
Belna, West Bengal:বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবমীতে হল কুমারী পুজো। দুর্গাপুজোর অন্যতম আচার কুমারী পুজো। বহু Prাচীন রীতিনীতি মেনে নবমীর দিন বর্ধমানের অধিস্থিতাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এই আচার পালিত হয়। পরম্পরাগত নিয়ম অনুসারে ন’জন কুমারীকে দেবী দুর্গার ন’টি রূপে পূজিত করা হয় এখানে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের নাবালিকাদের উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর বিভিন্ন রূপে পুজো করার প্রথা রয়েছে। দেবী সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভুজা রূপে বিরাজমান। প্রতিবছরের মতো এবারও নবমীর দিন সকালে ভক্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল এই বিশেষ কুমারী পুজো। মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে উঠল ভক্তি আর আধ্যাত্মিক আবহে। বহুস্বর ঐতিহ্যবাহী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অধিষ্ঠাতা দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত দেবী হিসেবেই মানেন গোটা পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা। কথিত আছে, রাজা তেজচন্দ্রের আমলে এই মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। মন্দির ঘিরে অনেক উপকথা আছে। চুনুরী বাড়ির মেয়েরা নাকি দেবীর পাষাণপ্রতিমায় গুগলি থেতো করতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীকে এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পুজিতা হন। সারাবছরই তিনি বিরাজ করেন। পুজোর চারদিন ষোড়ষোপচারে দেবী আরাধনা হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। আগে মহিষ ও পাঁঠা বলি হত। এখন বলিপ্রথা বন্ধ হয়েছে। আগে সন্ধিপুজোর মহালগ্নে কামান দাগা হত। কিন্তু ১৯৯৭-এ বিস্ফোরণের পর থেকে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। নবমীতে কয়েক হাজার মানুষকে ভোগ বিলি করা হয়। পুজোর দিনগুলোতে কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয়। প্রথা মেনে মহালয়ার পরদিন সকালে ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজো শুরু হয়। প্রতিপদে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপন হবার সঙ্গে সঙ্গেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে বর্ধমানে। রীতি মেনে প্রতিপদের দিন বর্ধমানের রাজাদের খনন করা কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হয় ঘটে। প্রথা অনুযায়ী, সেই ঘট সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে স্থাপন করা হয়। দেবীকে সেদিন পরানো হয় রাজবেশ। বর্ধমানের রাজারা জন্মসূত্রে ছিলেন পাঞ্জাবী। পরে বধূ হিসেবে নানা রাজ্যের মেয়েরা এসেছেন পরিবারে। নানা সংস্কৃতি, লোকাচারের মিশেল হয়েছে এখানে। প্রতিবার প্রতিপদে শুরু হয় রাঢ়-জননী সর্বমঙ্গলার পুজো। কৃষ্ণসায়র থেকে আচার মেনে জল ভরা হয়। সহস্রাব্দ প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মূর্তি, পরিচালনায় আছে ট্রাস্টি বোর্ড বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি মন্দিরের থেকেও প্রাচীন। কারও মতে এর বয়স প্রায় হাজার বছর, আবার অনেকে বলেন দুহাজার বছরেরও পুরনো। কষ্টিপাথরে নির্মিত এই অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মহিষামর্দিনীর মূর্তির দৈর্ঘ্য বারো ইঞ্চি, প্রস্থ আট ইঞ্চি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বর্ধমান মহারাজা উদয় চাঁদ মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। বর্তমানে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই ঐতিহ্যবাহী সর্বমঙ্গলা মন্দির আজও বর্ধমানের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রতীক।
0
comment0
Report
PSPrasenjit Sardar
Oct 01, 2025 09:51:40
0
comment0
Report
ALArup Laha
Oct 01, 2025 08:21:31
Belna, West Bengal:বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবমীতে হল কুমারী পুজো। দুর্গাপুজোর অন্যতম আচার কুমারী পুজো। বহু প্রাচীন রীতিনীতি মেনে নবমীর দিন বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এই আচার পালিত হয়। ঠিক কা র্থান অনুযায়ী ন’জন কুমারীকে দেবী দুর্গার ন’টি রূপে পূজিত করা হয় এখানে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের নাবালিকাদের উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর বিভিন্ন রূপে পুজো করার প্রথা রয়েছে। দেবী সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভুজা রূপে বিরাজমান। প্রতিপদে স নবমীর দিন সকালে ভক্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল এই বিশেষ কুমারী পুজো। মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে উঠল ভক্তি আর আধ্যাত্মিক আবহে। বহু প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অধিষ্ঠাতা দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত দেবী হিসেবেই মানেন গোটা পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা। কথিত আছে, রাজা তেজচন্দ্রের আমলে এই মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। মন্দির ঘিরে অনেক উপকথা আছে। চুনুরী বাড়ির মেয়েরা নাকি দেবীর পাষাণপ্রতিমায় গুগলি থেতো করতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীকে এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পুজিতা হন। সারাবছরই তিনি বিরাজ করেন। পুজোর চারদিন ষোড়শোপচারে দেবী আরাধনা হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। আগে মহিষ ও পাঁঠা বলি হত। এখন বলিপ্রথা বন্ধ হয়েছে। আগে সন্ধিপুজোর মহালগ্নে কামান দাগা হত। কিন্তু ১৯৯৭-এ বিস্ফোরণের পর থেকে সেই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়। নবমীতে কয়েক হাজার মানুষকে ভোগ বিলি করা হয়। পুজোর দিনগুলোতে কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয়। প্রথা মেনে মহালয়ার পরদিন সকালে ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজো শুরু হয়।প্রতিপদে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপন হবার সঙ্গে সঙ্গেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে বর্ধমানে। রীতি মেনে প্রতিপদের দিন বর্ধমানের রাজাদের খনন করা কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হয় ঘটে। প্রথা অনুযায়ী, সেই ঘট সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে স্থাপন করা হয়। দেবীকে সেদিন পরানো হয় রাজবেশ। বর্ধমানের রাজারা জন্মসূত্রে ছিলেন পাঞ্জাবী। পরে বধূ হিসেবে নানা রাজ্যের মেয়েরা এসেছেন পরিবারে। নানা সংস্কৃতি, লোকাচারের মিশেল হয়েছে এখানে। প্রতিবার প্রতিপদে শুরু হয় রাঢ়-জননী সর্বমঙ্গলার পুজো। কৃষ্ণসায়র থেকে আচার মেনে জল ভরা হয়। সহস্রাব্দ প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মূর্তি, পরিচালনায় আছে ট্রাস্টি বোর্ড বर्धমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মূर्ति মন্দিরের থেকেও প্রাচীন। কারও মতে এর বয়স প্রায় হাজার বছর, আবার অনেকে বলেন দুহাজার বছরেরও পুরনো। কষ্টিপাথরে নির্মিত এই অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মহিষামর্দিনীর মূর্তির দৈর্ঘ্য বারো ইঞ্চি, প্রস্থ আট ইঞ্চি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বর্ধমান মহারাজা উদয় চাঁদ মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। বর্তমানে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই ঐতিহ্যবাহী সর্বমঙ্গলা মন্দির আজও বর্ধমানের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রতীক।
0
comment0
Report
ALArup Laha
Oct 01, 2025 08:21:07
Belna, West Bengal:বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবমীতে হল কুমারী পুজো। দুর্গাপুজোর অন্যতম আচার কুমারী পুজো। বহু প্রাচীন রীতিনীতি মেনে নবমীর দিন বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এই আচার পালিত হয়। পরম্পরাগত নিয়ম অনুসারে ন’জন কুমারীকে দেবী দুর্গার ন’টি রূপে পূজিত করা হয় এখানে। ১৩ বছর পর্যন্ত বয়সের নাবালিকাদের উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, সুভাগা, কালসন্দর্ভা সহ দেবীর বিভিন্ন রূপে পুজো করার প্রথা রয়েছে। দেবী সর্বমঙ্গলা অষ্টাদশভুজা রূপে বিরাজমান। প্রতিবছরের মতো এবারও নবমীর দিন সকালে ভক্তদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল এই বিশেষ কুমারী পুজো। মন্দির প্রাঙ্গণ ভরে উঠল ভক্তি আর আধ্যাত্মিক আবহে। বহু প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অধিষ্ঠাতা দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত দেবী হিসেবেই মানেন গোটা পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দারা। কথিত আছে, রাজা তেজচন্দ্রের আমলে এই মন্দির নির্মাণ হয়েছিল। মন্দির ঘিরে کئی উপকথা আছে। চুনুরী বাড়ির মেয়েরা দেবীর পাষাণপ্রতিমায় গুগলি থেতো করতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবীকে এই প্রাচীন মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পুজিতা হন। সারাবছরই তিনি বিরাজ করেন। পুজোর চারদিন ষোড়শোপচারে দেবী আরাধনা হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। আগে মহিষ ও পাঁঠা বলি হত। এখন বলিপ্রথা বন্ধ হয়েছে। আগে সন্ধিপুজোর মহালগ্নে কামান দাগা হত। কিন্তু ১৯৯৭-এ বিস্ফোরণের পর থেকে সেই প্রথা বন্ধ হয়। নবমীতে কয়েক হাজার মানুষকে ভোগ বিলি করা হয়। পুজোর দিনগুলোতে কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয়। প্রথা মেনে মহালয়ার পরদিন সকালে ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে সর্বমঙ্গলা মন্দিরের পুজো শুরু হয়। প্রতিপদে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপন হবার সঙ্গে সঙ্গেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে বর্ধমানে। রীতি মেনে প্রতিপদের দিন বর্ধমানের রাজাদের খনন করা কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হয় ঘটে। প্রথা অনুযায়ী সেই ঘট সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে স্থাপন করা হয়। দেবীকে সেদিন পরানো হয় রাজবেশ। বর্ধমানের রাজারা জন্মসূত্রে ছিলেন পাঞ্জাবী। পরে বধূ হিসেবে নানা রাজ্যের মেয়েরা এসেছেন পরিবারে। নানা সংস্কৃতি, লোকাচারের মিশেল হয়েছে এখানে। প্রতিবার প্রতিপদে শুরু হয় রাঢ়-জননী সর্বমঙ্গলার পুজো। কৃষ্ণসায়র থেকে আচার মেনে জল ভরা হয়। সহস্রাব্দ প্রাচীন সর্বমঙ্গলা মূর্তি, পরিচালনায় আছে ট্রাস্টি বোর্ড বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি মন্দিরের থেকেও প্রাচীন। কারও মতে এর বয়স প্রায় হাজার বছর, আবার অনেকে বলেন দুহাজার বছরেরও পুরনো। কষ্টিপাথরে নির্মিত এই অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মহিষামর্দিনীর মূর্তির দৈর্ঘ্য বারো ইঞ্চি, প্রস্থ আট ইঞ্চি। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে তৎকালীন বর্ধমান মহারাজা উদয় চাঁদ মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। বর্তমানে প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে মন্দিরের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এই ঐতিহ্যবাহী সর্বমঙ্গলা মন্দির আজও বর্ধমানের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অন্যতম প্রতীক।
0
comment0
Report
EGE GOPI
Oct 01, 2025 08:20:45
Kharagpur, West Bengal:DEBRA: नवमीर ভোরে অঘটন,গৃহস্থের বাড়ি থেকে দূর্গাপূজোর মন্ডপে আগুন! এলাকায় তীব্র চঞ্চল্য আজ মহানবমী। ষষ্ঠী থেকে দশমী শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় আনন্দে মেতে উঠেছে মাতোয়ারা বাঙালি। পশ্চিমবঙ্গের গণ্ডি পেরিয়ে দেশ, বিদেশের মানুষরাও মেতে হচ্ছেন এই উৎসবকে ঘিরে। এই আনন্দ উৎসবের মাঝেই দুঃখের খবর। বুধবার নবমীর ভরে দুর্গোৎসব পুজো কমিটির মন্ডপে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, নবমীর ভোরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের পেপার মিল সংলগ্ন একটি বাড়িতে হঠাৎই আগুন লাগে। দাউ দাও করে জ্বলতে থাকে পুরো বাড়ি। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়ির আসবাসপত্র। সেই বাড়ির আগুনের লেলิน শিখা বাতাসের মাধ্যমে ডেবরা পেপার মিল সার্বজনীন দূর্গা উৎসব কমিটির পূজা মণ্ডপে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর দুর্গা মন্ডপে আগুন লেগে যায়। ঘুমন্ত ভরে! ডিউটি সেরে থানার দিকে ফিরছিলেন ডেবরা থানার ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মীরা। বিষয়টি তাদের নজরে আসতেই তড়িঘড়ি তারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। প্রায় দু'ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও প্যান্ডেলের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। বাড়ির সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে মন্ডপের সামনে বাড়িতে আগুন লাগে। সেই বাড়ির লেলিন শিখা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে মন্ডপে। তবে কি কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডেবরা থানার পুলিশ।
0
comment0
Report
Dussera 2025
Advertisement
Back to top