২০২৪ সালের মাঝামাঝি রাজ্যের ৫ টি অমৃত ভারত স্টেশনের তকমা পাওয়া বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প স্টেশনের মধ্যে ঢোকে শিয়ালদহ স্টেশনের নাম। পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেশনে দৈনিক ফুট ফল কমবেশি ১২ লাখ। অজস্র শহরতলীর এবং একগুচ্ছ দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াতকারী শিয়ালদহ দেশের ব্যস্ততম রেল স্টেশনগুলির অন্যতম। গত ৭ থেকে ৮ মাসে এই স্টেশনের মুকুটে জুড়েছে একের পর এক পালক। পূর্ব ভারতের একমাত্র স্টেশন হিসেবে শিয়ালদহ পেয়েছে মডেল যাত্রী আবাস। আছে চলমান সিঁড়ি। ভিতরে আছে মিনি শপিং কমপ্লেক্স। রেস্তোরাঁ। এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ। রয়েছে মেট্রো সংযোগ। আছে লাগোয়া রেল হাসপাতাল। স্টেশন এবং মেট্রো সংযোগকরণ বিশ্বমানের আন্ডার গ্রাউন্ড সাবওয়ে। স্টেশনের বাইরে আছে ১২০০ বর্গ মিটার पार्कিং লট এবং যাত্রী সাথী ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের ওপর সুদৃশ্য ৫৬০ বর্গ মিটার শেড। তবু খুশি নন শিয়ালদহ স্টেশনের যাত্রীরা। কারণ জবরদখল। ভোর ৫ টা থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে একটার পর একটা গুরুত্বপুর্ন ট্রেন ঢুকতে শুরু করে। যার সিংহভাগ আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। ট্রেনগুলো সকাল সাড়ে ৮ টা বা ৯ টার পর থেকে ফিরতি যাত্রা শুরু করে। এই সময়কালে স্টেশনে আসতে এবং স্টেশন থেকে বেরিয়ে শহরে পৌঁছাতে হিমসিম খান যাত্রীরা। কারণ শিয়ালদহ স্টেশন রাত আড়াইটে থেকে সকাল ১১ টা ১২ টা পর্যন্ত কার্যত চলে যায় জবরদখলকারীদেরHAND। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ফল বিক্রেতা, ৫০০ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রেতা, খবরের কাগজের গাড়ির ভেন্ডার। আক্ষরিক অর্থে স্টেশনে গাড়ি ঢোকা বেরোনোর জায়গা থাকে না। পায়ে হেঁটে বেরোনো বা ঢোকাও দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে মাঝেমাঝে। বাইট যাত্রী বাইট যাত্রী-station চত্বরের পুরো জমিটাই রেলের। এদিকে শিয়ালদহ কোর্ট। ওদিকে কোলেস মার্কেট। এদিকে বিদ্যাপতি উড়ালপুল। কোনো দিকের কোনো জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। বারবার ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। রেল নিজেও বিষয়টি নিয়ে সম্যকভাবে ওয়াকিবহাল। কলকাতা পুলিসকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখনও কাজের কাজ হয়নি। প্রস্তাবগুলো পাঠানো হলেও নির্দিষ্ট ফল না মেলায় আপাতত ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা কৃষাণ-জাতীয় শিয়ালদহ স্টেশনে চলছে নিত্যদিনের যাতায়াত। ওয়াক থ্রু