প্রশ্ন : অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফলটে স্পেশাল অবজার্ভার পাঠানো। তিনি গিয়ে আজকে তিনি সেসব জায়গাগুলো দেখেছেন। পার্থ: বিষয়ে আপনি তো নিশ্চিতভাবে আপনার প্রশ্নের মাধ্যমেেই আমার মনে হয় আপনার উত্তর আছে । যে এটা ফলতায় পাঠানো হচ্ছে নন্দীগ্রামে পাঠানো হচ্ছে না। ডায়মন্ডারে পাঠানো হচ্ছে বালুরঘাটে পাঠানো হচ্ছে না আপনার প্রশ্নের মধ্যেই আপনার উত্তর আছে। প্র: আপনারা অভিযোগ করছেন এদিকে শমীক ভট্টাচার্য তিনি আবার বলছেন তিনি আবার জ্ঞানেশ কুমারের উপর আক্রমণ করছে তিনি আজকে আবার বলছেন দিল্লী থেকে কাজ হবে না কলকাতায় এসে কাজ করতে হবে। পার্থ: শমিক বাবুকে আমি দয়া করে বলতে চাই যে শমিক বাবু আপনার দলের নেতারাই বলছেন এক কোটি লোকের নাম বাদ যাবে। আপনার দলের নেতারাই তো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তো উনাকে আর এখানে আসতে হবে কেন আপনার দলের লোকেরাই তো নির্বাচন কমিশন হয়ে গেছে। প্র: শুভন্দু অধিকারী বলছেন যে সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে পক্ষত্র তৃণমূলকেই ভোট দেওয়া। পার্থ: এটা শুবেন্দু বাবু সবচেয়ে ভালো করে জানেন। কারণ সিপিএমের ভোটেই তো বিজেপি এই জায়গায় এসছে। অতএব সিপিএম কি করবে না করবে সেটা বিজেপির থেকে ভালো আর কেউ জানে না। প্র: সুকান্ত বলেছেন যে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়তে। পার্থ: সুকান্ত বাবুকে আমি অনুরোধ করব আমি শুনেছি উনারও হাফ প্যান্ট পড়া মন্ত্রী তো উনিও ফুল মন্ত্রী হতে চান। উনার মনের একটা ইচ্ছে আছে প্রধানমন্ত্রী হতে চান। কোন মন্ত্রী হাফ প্যান্ট থেকে উনি ফুল প্যান্ট পড়তে চান। আমি উনাকে বলব দিল্লিতে তো আপনি হাফপ্যান্টই থাকবেন। কারণ বিজেপি বাংলার কোন বিজেপি এমপিকে কোনদিন পূর্ণমন্ত্রী করবেন না এবং বিজেপির কাজই হচ্ছে বাংলাকে বঞ্চনা করা। যার জন্য নরেন্দ্র মোদী যখন 2022 সালে বলেছিলেন সবার মাথার উপরে ছাদ হবে আমরা দেখে েছি সেই বাড়ির টাকাটা আটকে রেখেছে। বাংলার গরিব মানুষের বিজেপি আমরা দেখেছি সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়া সত্ত্বেও এনআরইজিএস এর টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি আমরা দেখেছি বাংলার প্রাপ্য 2000 লক্ষ কোটি টাকা সেটাও আটকে রেখেছে বিজেপি নির্বাচন কমিশন বলছেন আমি বিএলওদের মাইনের 6,000 থেকে 12,000 করে দিলাম এমন ভাব দেখাচ্ছে না আমরা বলছি ওটা 12,000 না 5,000 করে দেব শুধু আমাদের প্রাপ্যদু লক্ষ হাজার কোটি টাকাটা রাজ্য সরকারকে দিয়ে দিন। প্র: এইযে এক কোটি পাশাপাশি যেটা শোনা যাচ্ছে যে 35 লক্ষ ভোটারের নাম কাটা যেতে পারে。 পার্থ: দেখুন ওদের কাজ হচ্ছে ব্যাপারটা যদি কেউ ডেড ভোটার থাকে কাটবে এটা নিয়ে তো কেউ বলছে না । বলছে প্রসেসটা এত তাড়াতাড়ি কেন? তার মানে হচ্ছে যে বৈধ ভোটার বৈধ ভোটারকে অবৈধ করার যে ঘৃণ প্রচেষ্টা তার বিরুদ্ধে যদি কোন ডেড ভোটার থাকে কাটবে। আমরা তো স্যারের প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে নই। আমরা তো বিরুদ্ধে নই কিন্তু যেভাবে করছে আমরা তার বিরুদ্ধে সেই কারণেই তো এটা বলা 35 লক্ষ কাটবে না 36 লক্ষ কাটবে আগে থেকে জেনে যাচ্ছে কি করে? সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না আমাদের ওয়ান ট্যাগলাইন। কোন বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না ও। এর বাইরে আমাদের কোন কথা নেই। ওয়ান ট্যাগলাইন কোন বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না পার্থ: ভারতীয় জনতা পার্টি ফর বিজেপি নেতারা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কয়েকদিন ধরে তারজন অবজারভার নিয়োগ করল। তারপরে মাঝে বিজেপি নেতাদের অবজারভ এটাই তো আমরা বারবার বলছি। যে যা বলা হচ্ছে আমাদের মাননীয় সাংসদ সেটা বললেন যা বলা হচ্ছে যখন বিজেপি যাচ্ছে তাদের কোন কথা নিয়ে অভিযোগ নিয়ে তাদের কোন সমাধান সূত্র সেটা হয়তো প্রকাশ্যে বলছে না তলায় তলায় বলছে সেইটা কিন্তু হয়ে যাচ্ছে ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে সেটা করে দেওয়া হচ্ছে তাহলে কি ইলেকশন কমিশন ভারতের ইলেকশন কমিশন না ভারতীয় জনতা পার্টির ইলেকশন কমিশন সুতরাং পর্যবেক্ষক আসুক পর্যবেক্ষণ করুক তাতে কোন অসুবিধা নেই পর্যবেক্ষণ করবে কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যা বলেছে সেটাই যে আজকে সত্য সেটা কিন্তু প্রমাণিত। সুতরাং ইলেকশন কমিশনকে মানতে হয়েছে। বাধ্য হয়েছে এই সময়টাও সঠিক অল্প সময় এটা আমাদের মাননীয় সাংসদ বললেন যে আমরা চাই যে আরো বেশি এই প্রক্রিয়ার জন্য সময় দেয়া হোক। কিন্তু এই দায় কে নেবে রক্তের দায়টা কে নেবে আমি আগেই তো বললাম যে এটা কি হলো এটা হলো ওই চুপচাপ ঢাকছে পাপ হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে মানুষের কাছে চাইতে হবে হাত জোড় করে মাফ । এটা মনে রাখে যেন পর্যবেক্ষক আসবে পর্যবেক্ষণ করবে করবে তাতে কারোর কেউ কারো কিছু এমনি তো বলার নেই কিন্তু আমরা চাইবো যে নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক। পার্থ: একচুয়ালি আমি বলছি ওরা নিজেরাও ভালো করে জানে নির্বাচন কমিশন যে এত শর্ট টাইমে করা যায় না ওরা ভেবেছিল যে তৃণমূল কংগ্রেস এটা প্রতিরোধ করে আটকে দেবে এবং তার পিরিয়ডটা বাড়বে যাতে ওরা এখানে রাষ্ট্রপতি শাসনটা করতে পারে এটা ছিল ওদের পরিকল্পনা কিন্তু আমরা যে রাজ্য সরকার যে এটা বাধা দেবে না এটা ওরা বুঝতে পারেনি এটা ওদের যে প্ল্যানিং ছিল সে প্ল্যানিংটা একটু ঘেটে গেছে বছরে জন্যয় একটা নির্বাচিত সরকার পড়ে গেলে ফেলে দিলে তার ছ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হয় তাহলে এক বছরের জন্য এইযে মাননীয় সাংসদ বলল এক বছরে জন্য চাই মানে জানেই না যে কি চাইতে হবে আর কি চাইবে না এখন দুধের বাচ্চা যাবে গিয়ে চাইবে আর দিয়ে দেবে বাহ যা খুশি হলেই হলো নাকি যা খুশি হলেই হলো বলা যায় আমার তো মনে হয় যে এরপরে আমরা জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে অনুরোধ করব যে আপনি বিএলএটু বলেছেন বিধানসভা থেকে করে নিতে এরপরে আপনাকে বোধহয় এদের এজেন্ট বসানোরও দায়িত্ব নিতে হবে কারণ এরা যতটা টিভিতে বক্তৃতায় মাঠে ময়দানে বাজে কথা অশালীন ভাষা বলতে অভ্যস্ত এদের বুতে কোন এজেন্ট নেই। কারণ এদের হয়ে বসার মত লোক এরা পাবে কারণ যারকেই এরা এজেন্ট হিসেবে বসাতে যাবে । সেও বলবে আমার বাবা-মাকেও তো তুমি লাইনে দাঁড় করিয়েছো। আমার বাবা মা ভারতীয় নাগরিক কিনা তার সম্পর্কেও তুমি প্রশ্ন চিহ্ন দাঁড় করিয়েছো । আর যাই হোক তোমার দলের হয়ে বসবো না। চন্দ্রিমা: হ্যা নৈতিক জয় হয়েছে তো। আমরা আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় আগে বলেছেন যে শুধু আমাদের রাজ্য নয় অন্যান্য রাজ্যেও এরকমভাবে চাপ দেওয়ার জন্য বিএলওর মৃত্যু হয়েছে বলছি তো আমরা সবার প্রতি সহানুভূতিশীল আমরা তো শুধু বাংলার 40 40 জনের কথা বলিনি অভিষেক বন্দোপাধ্যায় শুধু বাংলার 40 জনের কথা বলেননি সবার কথা বলেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন বাংলায় যে 40 জন মারা গেলেন তাদের প্রতি সহানুভূতি একটা বিজেপির নেতা দেখিয়েছে। আমি সেই প্রশ্নটা আপনাদের সামনে করতে চাইছি । প্র: আপনি যেটা বললেন যে আপনারা এস নিয়ে যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে বিজেপি কিছুটা েটে গেছে সেই কারণেই কি বিজেপি নেতাদের জন্য মোটিভেশনাল স্পিকার এবং ইউটিউবার? পার্থ: এছাড়া ওদের উপায় নেই। ওরা দেখুন ওরা না YouTube Facebook Twitter নির্বাচন কমিশন ইডি সিবিআই ইনকাম ট্যাক্স সংবাদ মাধ্যম এইসব নিয়ে থাকবে। আর আমরা মানুষের সাথে থাকব। মমতা ব্যানার্জীর সৈনিক হিসেবে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে ইন্ডিয়া ইলেকশন কমিশন অফ মনে তো পহলে বল দিয়া ও 6জনে লিয়ে বলা হামারা যখ হামারা পাওনা হ কেন্দ্রীয় সরকার আগার পায়ে তো 500 দিয়ে দো 12 উসক দেনে লিয়ে বল দিজিয়ে। প্র: সিপিএম বাংলা বাঁচাও যাত্রা করছে এর মাঝখানেই তাদের জলপাইপুর দেখা গেল 200 জন সিপিএম কর্মী তারা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। সিপিএমের আগে বাংলা বাঁচাতে হবে না সিপিএম বাঁচাতে হবে? পার্থ: না মূলত বাংলার মানুষের এখন যা মানসিক অবস্থা তারা বলছে যে যারা আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে তাদের বাংলার মাটিতে জায়গা দেব না । এটা হচ্ছে বাংলার মানুষের মানসিকতা এবং বাংলার মানুষের অধিকার বাংলার মানুষের সম্মান বাংলার কৃষ্টি বাংলার সংস্কৃতি বাংলার পরিবেশ এটাকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র মমতা ব্যানার্জী। তাই বাংলার মানুষ দলে দলে দলে মমতা ব্যানার্জীর পতাকার তলায় জড় হচ্ছে। সমস্ত রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে। প্র: এরই মাঝে কল্যাণীতে পরিচয় গোপন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার অভিযোগে বাংলাদেশী পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত。 পার্থ: তদন্ত প্রশাসন করতেই পারে আমরা তো দেখুন আমাদের ওয়ান ট্যাগলাইন কোন বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না ।আমরা তো বলছি আমাদের একটাই ট্যাগলাইন এবার যা অবৈধ আছে প্রশাসন নির্বাচন কমিশন সবকিছু করুক আমাদের কোন আপত্তি নেই আমরা বলছি একটা বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না কিন্তু আমার মা 84 বছর বয়স তাকে যদি এখন নতুন করে প্রমাণ দিতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক কিনা যে 90 বছর বয়সী άνθρωটা তাকে যদি প্রমাণ দিতে হয় তিনি ভারতীয় নাগরিক কিনা আমার 92 তার কোন একটা যদি কাগজ না থাকে তাকে যদি হেয়ারিংয়ে এ যেতে হয় তাহলে এটা অত্যাচার কিনা আপনারা বলুন। আপনাকে কেউ প্রশ্ন করে আপনি কি ভারতীয় নাগরিক এটা আপনার আত্মসম্মানে লাগবে কিনা。 প্র: নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি ওয়াকঅফ সম্পত্তি নিয়ে বলতে গিয়ে এ কথা বলেছেন বলেছেন ওয়াকফ সম্পত্তি কারার সঙ্গে যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী。 পার্থ: নওসাদের সাথে আমাদের বিরোধী দলনেতার খুব ভালো সম্পর্ক। কি লেনা দেনা আছে আমি জানিনা। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সম্পর্ক রাখলে ও সবদিক দিয়ে স্থিত হয় চেহারাতেও। প্র: জাতীয় স্কুল গেমসে বাংলার সাতারুরা গিয়েছিল এবং সেখানে বাংলার সাঁতারুদেরকে মাটিতে শুতে দেওয়া হয়েছে। শীতকালে এবং তাদের খাবার পানীয় সেসব নিয়ে কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি তারা যখন বলেছে তারা বলে যে এখানে থাকলে থাকো না হলে এখান থেকে বের করবে যেখানে থ্রিস্টার একোমোডেশন বা হোস্টেল দেওয়া হচ্ছে । পার্থ: এইটাই তো আমরা বারবার বলছি বাংলার উপরে এই যে বঞ্চনা হচ্ছে সর্বক্ষেত্রে এটা বাংলায় বসবাসকারী সব মানুষের অনুধাবন করা উচিত। আপনি কল্পনা করতে পারেন এরপরে এরা যদি কোনদিন এখানে এক ইঞ্চি জমি পায় তাহলে বাঙালিরা কিংবা বাংলায় বসবাসকারী মানুষেরা যেরকমভাবে জীবন ধারণ করে তার পুরো পরিবেশটাই পাল্টে যাবে । চন্দ্রিমা: এই উত্তরটা তো বিরোধী দলনেতা এবং তার যারা রয়েছেন তার সাথে বিরোধী দলে তাদেরও দেয়া উচিত। একদিকে রিচা ঘোষকে তারা সম্মান জানাতে যাচ্ছেন বাড়িতে । আর অন্যদিকে ভিন রাজ্যে গিয়ে সেখানে গিয়ে মাটিতে শুতে দিচ্ছে বাংলার মেয়েদের মানে বাংলার যারা প্রতিভা তারা বুঝুন।