বুথস্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতাই সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ বঙ্গ বিজেপির। তাই ছাব्बিশের ভোটের আগে নিচুতলায় দুর্বলতা এবং নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্ব যতটা সম্ভব দ্রুত কাটিয়ে উঠতে होगा। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর শুক্রবার দলের প্রথম বৈঠকে রাজ‌্য নেতৃত্বকে এমনই বার্তা দিয়েছেন ভূপেন্দ্র যাদব। বঙ্গ বিজেপিতে এই মুহুর্তে আদি-নব‌্য দ্বন্দ্ব সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। রাজে‌্যর দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও বলেছিলেন সমস্তস্তরের কমিটিতে ৫০ শতাংশ পুরনোদেরও রাখতে হবে। এদিনের বৈঠকেও ছিলেন বনসল। এছাড়াও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, রাজ‌্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ছাড়াও সতীশ ধন্দ-সহ চারজন সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভায় নির্বাচন। বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে। সহকারী নির্বাচনী পর্যবেক্ষক করা হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ‌্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবকে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। নাম ঘোষণার পর শুক্রবারই প্রথম কলকাতায় এসে বৈঠক করেন ভূপেন্দ্র এবং বিপ্লব দেব। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, পুরুলিয়ার বি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রাজ‌্য নেতা উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার। দুর্গা পুজো মিটতেই ছাব্বিশের ভোটের রণকৌশল নিয়েই মূলত এদিন বৈঠক হয়েছে। আগামীদিনে কোন কোন ইসু‌্যতে কি কর্মসূচি নেওয়া হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। এসআইআর নিয়ে দল কি পন্থা অবলম্বন করবে তা নিয়েও নির্দিষ্ট কিছু গাইড লাইন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজ‌্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের উপর এ রাজে‌্যর শাসকদলের কতটা প্রভাব তা নিয়েও বিস্তারিত খেঁাজখবর নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা। এদিন শমীক ভট্টাচার্যর সঙ্গেও আলাদা করে কথা বলেছেন ভূপেন্দ্র যাদব। উল্লেখ‌্য, পুজোর পরই রাজ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা আসা শুরু করবেন। দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিহারে ভোট শেষ হলে বাংলায় লাগাতারভাবে আসবেন শাহ। অক্টোবরের শেষ থেকেই লাগাতার কর্মসূচি। জেলায় জেলায় বড় কর্মসূচি। ঘোষণা হবে শীঘ্রই.