দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এস আই আর এর কাজ খতিয়ে দেখতে বুধবার ৩ হাউসে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে মিটিং করলেন বিশেষ অবজারভার অশ্বিনী কুমার যাদব। বুধবার দুপুর নাগাদ বালুঘাট সার্কিট হাউসে এসে উপস্থিত হন তিনি উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আবদারের দায়িত্বে রয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বিশেষ মিটিংয়ে। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক টি বালা সুব্রামানিয়াম অবশ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাননি বিশেষ এই অবজারভার। মিটিং শেষে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। সিপিআইএম দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা কল্যাণ দাস তিনি মিটিং শেষে বেরিয়ে মিটিংয়ে নির্বাচন দপ্তরের থেকে নিয়োগ করা আধিকারিকদের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করেন এখনো পর্যন্ত জেলায় ১২ হাজার এনুমারেশন ফর্ম কালেকশন হয়নি। হিসেবে এখনো পর্যন্ত উঠে এসেছে তাতে ৪১ হাজার ৯৭০ জন মৃত ভোটারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ভোটার অর্থাৎ স্থায়ী ঠিকানায় থাকেন না এমন ভোটারের সংখ্যা ৮৯৯৪ এছাড়াও ভিন্ন রাজ্যে বা তার স্থায়ী ঠিকানা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন এরকম ভোটার সংখ্যা ২১৫১২। ডুপ্লিকেট ১২৩০। অন্যান্য ২০২ অবশ্য কল্যাণবাবু এটাও দাবি করেন মোট কত ভোটারের নাম বাদ পড়তে চলেছে খসড়া ভোটার লিস্টে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি কমিশনের কর্মীরা। তবে যে পরিসংখ্যান উঠে আসছে তাতে এসআইআর সঠিকভাবে হলে এক লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম বাদ যাবে sepertiটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জেলায় জেলা শাসকের পরেও একজন অবজারভার পেলাম যিনি এই দায়িত্ব এলেন এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এখন থেকে যে সমস্ত বিষয় জেলাশাসককে দিয়ে সমাধান হবে না সেটা আমরা অবজারভারকে দিয়ে করাতে পারবো। খসড়া আলিকা প্রকাশের পর যে সময় জেলায় হেয়ারিং কাজ চলবে সেই সময় অবজারভার কে প্রয়োজন পড়বে কারণ শাসক দল প্রথম থেকেই এস আই আর কে তাদের নিজেদের মতো করে চালাতে চাইছে। ফোন দিতে কংগ্রেসের তরফ থেকেও একই বক্তব্য রাখা হয়েছে তারা বলছেন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এস আই আর এর প্রভাব বোঝা যাবে না কমিশনের অবজারভারের সাথে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল তারা সে বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন তবে ভবিষ্যতে খরচা তালিকা প্রকাশের পর বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে।