पुरुलिया में मोह़म्मद सलीम का SIR और वोटर लिस्ट पर सरकार पर प्रहार

পুরুলিয়া : কাজ ও সঠিক মজুরি খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার দাবি সহ একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে সিপিআইএমের জেলাশাসক দপ্তরের অভিযানে সামিল মোহাঃ সেলিম । এদিন পুরুলিয়া শহর জুড়ে মিছিল করার পাশাপাশি জেলাশাসক দপ্তরের বাইরে পথসভা করেন তারা । সাংবাদিক সম্মেলনে মোহাঃ সেলিম SIR প্রসঙ্গে বলেন, SIR প্রথম থেকেই বিতর্কে জড়িত। নির্বাচন কমিশন যেভাবে তাড়াহুড়ো করছে, যত কম সময়ের মধ্যে করছে, এটা করার কথা নয় । সরকারের কাজ, কিন্তু সরকারি অফিসার কম । সে জায়গায় স্কুল শিক্ষকদের দিয়ে SIR এর কাজ করানো হচ্ছে । আমরা বলেছি BLO দের নিরপেক্ষভাবে, শান্তিতে কাজ করতে দিতে হবে । সেখানে সরকার এবং শাসক দলের পক্ষ থেকে যে চাপ দেওয়া হচ্ছে ওদের মধ্যে যন্ত্রণা হচ্ছে । আমরা চাই BLO রা ভালো ভাবে কাজ করুক । আমাদের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিজেপি তৃণমূল ভিন্ন রাজনীতি করছে । মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করাচ্ছে, BLO দের মধ্যে চাপ তৈরী করছে । প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং মৃত ও ভুয়ো ভোটারের নাম থাকার জন্য বিজেপি তৃণমূল ইচ্ছে করে সির নিয়ে জল ঘোলা করছে । মমতা ব্যানার্জী উত্তরের বিভিন্ন জেলায় চা বাগানের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, বিভিন্ন জেলায় পাট্টা বিলি করছে । এ প্রসঙ্গে মোহাঃ সেলিম বলেন, যখন উত্তরবঙ্গের মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল সরকারের, পঞ্চায়েতের, ত্রাণের, সাহায্যের তখন মমতা ব্যানার্জীকে রেড রোডে নাচ করছিলেন । তাতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন । এবার তিনি গেলেও সেখানে কেউ সাড়া দেয়নি । এখন তিনি ভোটের আগে নানান জায়গায় プローভন দেবেন । কিন্তু। আদতে মানুষের দাবিকে মানা হয়নি । চা বাগান, মজুরির জন্য কাজ করা হয়নি । ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি । হুমায়ূন কবিরের নয়া জোটের মন্তব্যের প্রসঙ্গে মোহাঃ সেলিম বলেন, বিজেপি তৃণমূল বিরোধী শক্তি যদি এককাট্টা হয় তাহলে রাজ্য থেকে বিজেপি তৃণমূলকে রাজ্য থেকে তাড়ানো সম্ভব হবে । SIR আতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, SIR নিয়ে যারা আতঙ্ক তৈরি করছেন তাদের ধরা উচিত । আগে গণনাই হলো না তার আগে কেন বিজেপি বলেছে এক কোটি লোককে বার করবে। কেন মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে । মমতা ব্যানার্জীর বর্তমানে GST কে অসমর্থনের মন্তব্যের প্রসঙ্গে মোহাঃ সেলিম বলেন, এখনো অমিত মিত্রকে তিনি পুষছেন এবং এডভাইসার করে রেখেছেন। আর মোদীর মতোই লাইন দিয়েছে। আগে মোদি বলেছিল এটা মাস্টার্স স্ট্রোক । ওয়ান ন্যাশন ওয়ান ট্যাক্স । আর এখন বলছে দেখো আমরা শুধরে দিলাম । যারা বেশি মুনাফা করে সেই কর্পোরেটের উপর ট্যাক্স বাড়াতে হবে । যারা সাধারণ উপভক্তা তাদের ট্যাক্স কমাতে হবে । যারা বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানি থেকে ইলেকটোরাল বন্ড যারা নেয় তারা তৃণমুল হোক আর বিজেপি তারা ইনডাইরেক্ট ট্যাক্স সাধারণ মানুষ যেটা দেয় সেটা বাড়ায় এবং কর্পোরেট মালিকদের ট্যাক্স কমায় । এটা নীতিগত ব্যাপার । এটা বামপন্থী এবং দক্ষিণপন্থীর মধ্যে তফাত আছে । সেখানে মোদি মমতার মধ্যে কোনো তফাৎ নেই । বাইট : মোহাঃ সেলিম