बारासत के नए चेयरमैन सुनील मुखोपाध्याय ने सफाई-डम्पिंग सुलझाने का वादा किया

'পরিচ্ছন্ন বারাসত এবং সবুজায়ন বারাসত ' এই স্লোগানকে সামনে রেখেই সোমবার বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়।এদিন পুরসভার বিদ্যাসাগর প্রেক্ষাগृहে সুনীল মুখোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান এস ডি ও সোমা দাস। অন্যদিকে,দলের নির্দেশকে মান্যতা না দেওয়ায় বনগাঁ পুরসভা নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি রয়েই গেছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ইস্তফার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ নভেম্বর বনগাঁ শহরে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দিয়েছেন গোপাল শেঠ। জেলার সদর বারাসত শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জঞ্জাল।শহর জুড়ে রয়েছে জমা জঞ্জাল।১২ নম্বর জাতীয় সড়ক,যশোর রোড থেকে পুরসভার অলি গলির রাস্তাতেও জঞ্জাল ছড়িয়ে রয়েছে।আধুনিক মানের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ চলছে।এখনও শেষ হয় নি।ফলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র জঞ্জাল নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের ক্ষোভও রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।শহরের মানুষের এই নিয়ে ক্ষোভের কথা অজানা নয় সুনীল মুখোপাধ্যায়의।তাই শপথ গ্রহণের পরেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে সংস্কার করে জমা জঞ্জাল সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলেন তিনি।বিষয়টি নিয়ে যে তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্টেট আরবান অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট দপ্তরের ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা হয়েছে,সেটাও জানিয়েছেন তিনি।আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে বারাসতের জঞ্জাল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলেও শপথের পর জানিয়েছেন সুনীল। গত লোকসভা নির্বাচনে শহরে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের।জমা জঞ্জাল থেকে অটো, টোটোর দাপট সহ পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন বারাসতের বাসিন্দারা।সামনে বিধানসভা নির্বাচন।এরপর ২০২৭ সালে পুরসভা নির্বাচনে।সেই প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান সুনীলের হাতে মাত্র দুই বছর সময় রয়েছে। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজর বারাসতের উপর রয়েছে।সেকথা জানিয়ে এই সময়ে বারাসত পুরসভার সামগ্রীক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি থেকে পুরসভার কর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার কথাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন নতুন চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায়। এদিন সুনীল অবশ্য বাংলাতেই শপথ নিয়েছেন। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী সন্দেহে পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা হতে হয়েছে ভিনরাজ্যে। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলা ভাষায় শপথ নিয়ে বেশ আবেগ তারিত হয়েই চোখে জল চলে এসেছিল সুনীলের। বনগাঁর ইছামতি নদীতে জমে থাকা কচুরিপানা কাটার মেশিন চালু করেছে পুরসভা।পুরসভার জঞ্জাল কর্মীরা ওই মেশিন নিয়ে নিয়মিত ইছামতীর কচুরিপানা কাটার কাজ করেন।পুরসভার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পথ রয়েছে ইছামতীর।পুরোটাই পরিষ্কার হয়েছে।এদিন বনগাঁ থানার ঘাট থেকে আপনজন ঘাট পর্যন্ত নৌকা নিয়ে ঘুরে দেখেন গোপাল শেঠ। এদিন পুরসভার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন,পুরসভার এই অস্থির পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়েছে নাগরিকদের সামনে আসা উচিৎ।বনগাঁর মানুষ আমাকে ভালোবাসেন।তাদের সামনেই সমস্তটা তুলে ধরা হবে。