Kalimpong के चुईखिमे में पैराग्लाइडिंग शुरू, ग्रामीण पर्यटन को नया आयाम

পাখির মতো উড়ে দেখার স্বপ্ন এবার বাস্তব চুইখিমে: চালু হলো প্যারাগ্লাইডিং..."এমন যদি হতো, আমি পাখির মতো, উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ" — জলের গানের এই জনপ্রিয় গানের পঙ্‌ক্তি যেন সত্যি হয়ে উঠল ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চুইখিমে। কালিম্পং জেলার এই শান্ত, নির্জন গ্রামে এবার অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা পাখির মতো আকাশে ভেসে বেড়ানোর রোমাঞ্চ উপভোগ করতে পারবেন প্যারাগ্লাইডিং-এর মাধ্যমে। কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা, জিটিএ-র স্থানীয় সভাসদ সন্চাবির সুব্বা, পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা ও পাবরিংটার পঞ্চায়েত প্রধান রবিন সুব্বার উপস্থিতিতে চুইখিমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারাগ্লাইডিং পরিষেবা চালু হয়। চুইখিম ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটিের উদ্যোগে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য—গ্রামীণ পর্যটনের প্রসার এবং স্থানীয়দের জীবন-জীবিকার নতুন দিগন্ত উন্মোচন। সেপ্টেম্বর মাসে সফল ট্রায়াল রানের পর এদিন প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেন প্রশিক্ষিত পাইলট রূপক অধিকারী। দর্শনার্থীদের মধ্যে গরুবাথানের হায়দার আলিও অংশ নেন এই রোমাঞ্চকর উড়ানে। জিটিএ সভাসদ সন্চাবির সুব্বা জানান, “চুইখিমের লিম্বু দাড়া থেকে ‘টেক-অফ’ করে পর্যটকরা লিশ নদীর ধারে সবুজ মাঠে ‘ল্যান্ড’ করবেন, দু’টি পাহাড়ের মাঝখানে। চমৎকার ভিউ আর নিরাপদ অভিজ্ঞতা মিলবে।” জিটিএ পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া শেরপার কথায়, “শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার তো বটেই, দক্ষিণবঙ্গ থেকেও বহু পর্যটক এখানে আসবেন বলে আশা করছি। এতে চুইখিমের গ্রামীণ পর্যটন আরও গতিশীল হবে。” চুইখিম প্যারাগ্লাইডিং প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ও ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি–র সভাপতি হোম খাওয়াস বলেন, “মোট চারজন প্রশিক্ষিত পাইলট এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন। প্রতিটি ফ্লাইটের মেয়াদ ১৫–২০ মিনিট, আর খরচ রাখা হয়েছে ৩,০০০ টাকা—যা দেশের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মতোই।” এতদিন কালিম্পংয়ের ডেলোতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের একচেটিয়া আধিপত্য থাকলেও, চুইখিম এবার তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে চলেছে। আলিপুরদুয়ার থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিরলিপ্ত সাহা ও তাঁর স্ত্রী কাব্যশ্রী সাহা বলেন, “এত সুন্দর জায়গা আগে দেখিনি। আজ শুধু ঘুরলাম, কাল প্যারাগ্লাইডিং করব। পরিবেশ এবং নিরাপত্তা—দু’টিই প্রশংসনীয়।” বাইট ১) জিটিএ সভাসদ সন্চাবির সুব্বা। ২)জিটিএ পর্যটন বিভাগের ফিল্ড ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা। ৩)কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন সাদা লেপচা। ৪)চুইখিম প্যারাগ্লাইডিং প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ও ভিলেজ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপত হোম খাওয়াস। ৫) পর্যটক কাব্যশ্রী সাহা। ৬) নিরলিপ্ত সাহা। ৭)এদিন প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করেন প্রশিক্ষিত পাইলট রূপক অধিকারী। ৮)দর্শনার্থীদের মধ্যে গরুবাথানের হায়দার আলিও অংশ নেন এই রোমাঞ্চকর উড়ানে। ০৯)পিটুসি অরুপ বসাক。