हिमालयन इकोलॉजी कन्ज़र्वेशन फाउंडेशन ने घीस नदी के किनारे सफाई अभियान शुरू किया

প্রকৃতির কোলে পাঠশালা বসানোর আগে পরিবেশ রক্ষার শপথ... চুনাভাটিতে ঘীস নদী ও পাহাড় পরিষ্কারে নেমে পড়ল হিমালয়ান ইকোলজি কনজারভেশন ফাউন্ডেশন। শীতের হালকা হিমেল হাওয়ার সঙ্গে পাহাড়ে যখন পর্যটনের আনাগোনা বাড়ছে, ঠিক সেই সময়েই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল ওদলাবাড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিমালয়ান ইকোলজি কনজারভেশন ফাউন্ডেশন। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শুরু হতে চলা নেচার ক্যাম্পের আগেই ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা ও ঘীস নদী পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়লেন সংগঠনের সদস্যরা। কালিম্পং জেলার চুনাভাটির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সংগঠনটির নবম নেচার ক্যাম্প। প্রতিবছরের মতো এবছরও ক্যাম্প শুরুর আগে পরিবেশকে প্রস্তুত করে তোলাই সংগঠনের মূল লক্ষ্য। সেই ভাবনা থেকেই ঘীস নদী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে জোরদার পরিষ্কার অভিযান। নদীর বুকে জমে থাকা প্লাস্টিক, পলিথিন ও নোংরা আবর্জনা তুলে ফেলার পাশাপাশি, যেসব স্থানে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আবর্জনায় বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, সেসব জায়গাও শ্রম দিয়ে পরিষ্কার করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ঘীস নদী ও সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে আশপাশের বিভিন্ন নদী ও ঝোরা সাফাইয়ের কাজ চলবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ছয় দিনের নেচার ক্যাম্প, যা চলবে বছরের শেষ পর্যন্ত। এই ক্যাম্পে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করবে। আধুনিক সভ্যতার কোলাহল থেকে দূরে, পাহাড়ের নিস্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে ছয় দিন কাটাবে তারা। এই সময় শুধুমাত্র প্রকৃতিকে কাছ থেকে দেখা নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে বাঁচার নানা কৌশল শেখানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। বিশেষ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীরা শিখবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আত্মরক্ষার উপায়, নদী পারাপারের কৌশল, পাহাড়ি পথে নিরাপদে ওঠানামা, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পাখি চেনা এবং সেগুলির পরিবেশগত উপকারিতা। প্রকৃতিকে ভালোবাসা ও রক্ষা করার পাঠই এই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য বলে জানাচ্ছেন আয়োজকেরা। এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞকে সফল করতে ইতিমধ্যেই সংগঠনের মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা একসঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন। নদী পরিষ্কার থেকে শুরু করে ক্যাম্পের বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ—সবেতেই দেখা যাচ্ছে তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। পরিবেশ রক্ষা যে শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং কাজে নেমে তবেই তা সম্ভব—এই বার্তাই পাহাড়ের কোলে আবারও তুলে ধরল হিমালয়ান ইকোলজি কনজারভেশন ফাউন্ডেশন।