स्थायी भवन की राह पर दक्षिण दिनाजपुर विश्वविद्यालय, राजनीतिक दंगल शुरू

২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মত পথ চলা শুরু হয় দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটির। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির জন্য কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার অভিযোগ বিজেপির। এরই মাঝে তিন তিনজন উপাচার্য বদল হয়েছে সকলেই চেষ্টা করেছেন自己的 মতো করে কিন্তু সিকে ছেঁড়িনি দক্ষিণ দিনাজপুরের ভাগ্যে। ২০২১ এর অক্টোবর মাস থেকে ক্লাস চালু হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান অংক এবং ইংরেজি বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রির কোর্স চালু করে দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনভার্সিটি কিন্তু প্রথম থেকেই নতুন এই ইউনিভার্সিটির কোন স্থায়ী ভবন নেই। মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুশো। সব থেকে বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে ইংরেজি বিভাগে। নতুন শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র ইংরেজি বিভাগই ভর্তি হয়েছে সত্য জন ছাত্রছাত্রী এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অংক বিভাগে ভর্তি হয়েছে কুড়ি জন কুড়ি জন করে ছাত্র-ছাত্রী। প্রতিবছরই সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। ছাত্র-ছাত্রীরা বেছে নিচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস কে। পঠন পাঠন নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কোন অসন্তোষ নেই বরং স্কুল স্তরে যেমন পড়াশোনা হত ঠিক সে রকম ভাবেই পড়াশোনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। আর এই কারণেই প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাও বাড়ছে। এতকিছু সত্বেও এখনো পর্যন্ত স্থায়ী ঠিকানা তৈরি হয়নি, দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটি কখনো ভাড়া বাড়িতে, কখনো বা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ঘরে ক্লাস চালু করার চেষ্টা হলেও তা খুব একটা বেশি সফল হয়নি। বর্তমানে বালুরঘাট বিএড কলেজের পরিত্যক্ত হোস্টেলে কোনোক্রমে ক্লাস চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটির। এবং তা পঠন পাঠনের উপযুক্ত নয় বলছেন উপাচার্য নিজেই। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতসেঁতে ঘরে চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটি নিত্যনৈমিত্তিক পঠন পাঠন। ভবঘুরে তকমা জুটে যাওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটি কে স্থায়ী ঠিকানা দেবার জন্য বালুরঘাট বিএড কলেজের পরিত্যক্ত হোস্টেলে এখন ইউনিভার্সিটি পঠন পাঠন থেকে শুরু করে যাবতীয় অফিসিয়াল কাজকর্ম হচ্ছে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করছেন ইউনিভার্সিটির একটা স্থায়ী ভবন তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হোক। আর ইউনিভার্সিটিটির স্থায়ী ভবন বা ঠিকানা তৈরি কে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রান্তিক জেলাকে নজর দেয় না রাজ্য সরকার নামকেবাস্তে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে কিন্তু তার উন্নয়নের কোন পরিকল্পনা নেই। এই সরকার না গেলে কোন উন্নয়নমূলক কাজ সঠিকভাবে হবে না। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার থাকা সত্ত্বেও জেলা কেন একটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় পাবে না? কেন্দ্র থেকে কোন প্রকল্প তিনি আনতে পেরেছেন? শিক্ষা স্বাস্থ্য কোন ক্ষেত্রেই তিনি কিছু করতে পারেননি। একটা ইউনিভার্সিটি তৈরি করে অন্ততপক্ষে কুড়ি বছর সময় লাগে তারপরে কাঠামো তৈরি করতে আর সেই ভাবেই ধীরে ধীরে কাজ চলছে সরকারকে বলা হয়েছে আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই স্থায়ী ঠিকানা তৈরীর কাজ শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালের ইউনিভার্সিটি ঘোষণার পর তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসন বেশ কয়েকটি স্থানকে চিহ্নিত করে। বালুরঘাট এয়ারপোর্টের পাশে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত জমি কে চিহ্নিত করে সেখানে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে দেওয়া হয়। চিহ্নিত হয় ইউনিভারেরিটির প্রস্তাবিত জায়গা বলে। কিন্তু ওই পর্যন্তই সীমানা প্রাচীর তৈরি হলে এখনো পর্যন্ত ইউনিভার্সিটির ঘর তৈরির জন্য কিছুই বরাদ্দ হয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ। সবমিলিয়ে বালুরঘাট শহরে দক্ষিণ দিনাজপুর ইউনিভার্সিটি পঠন পাঠন সহ অন্যান্য কাজ সঠিকভাবে চললেও এখনো পর্যন্ত পরিকাঠামোগত অভাব রয়েছে আর যা নিয়ে মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয় জেলায়।