तोलाबाज़ी पर चेतावनी? तृणमूल युवाध्यक्ष की पोस्ट से राजनीतिक घमासान

তোলাবাজি বন্ধ করার সতর্কতা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তৃনমূলের যুব সভাপতির পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক, হুঁশিয়ারি নয় স্বীকারোক্তি দাবি বিজেপির, বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সম্প্রতি জেলার সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়েছে। আর সেই রদবদল হতেই বিভিন্ন জায়গায় সামনে আসছে তৃনমূলের অন্তর্কলহ। এবার নতুন দায়িত্ব পেতেই সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের একাংশকে তোলাবাজি নিয়ে সতর্ক করলেন বিষ্ণুপুর শহর যুব তৃনমূলের সভাপতি ঐশ্বর্য চক্রবর্তী। তবে তাঁর এই হুঁশিয়ারি কাকে উদ্যেশ্য করে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। সামাজিক মাধ্যমে এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই তৈরী হয়েছে বিতর্ক। এই পোস্ট আসলে হুঁশিয়ারি নয় বরং তোলাবাজির স্বীকারোক্তি এমনই দাবি বিজেপির। সম্প্রতি তৃনমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় ব্যপক রদবদল হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে পুরানো পদাধিকারীদের সরিয়ে বসানো হয়েছে নতুন মুখকে। জেলা ও ব্লক স্তরের পাশাপাশি বিষ্ণুপুর শহর সংগঠনেও রদবদল ঘটিয়েছে তৃনমূল। বিষ্ণুপুর শহরে যুব তৃনমূলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঐশ্বর্য চক্রবর্তীকে। দায়িত্ব পেতেই তিনি গতকাল নিজের ফেসবুকে লেখেন "তোলাবাজিতে যারা হাত পাকিয়েছো এবং যারা সহযোগিতা করে চলেছো তাদের জন্য শেষ সতর্কীকরণ। তোমাদের চুরিতে বিধায়ক ভাগ নেন না, তাই বিধায়ক তোমাদের কলঙ্কের ভাগও নেবে না"। নব দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃনমূল যুব সভাপতি কাদের উদ্যেশ্যে এমন সতর্কবার্তা দিলেন? এব্যাপারে তিনি ফেসবুকে যেমন সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু লেখেননি তেমনই সে সম্পর্কে নিজের মুখেও কিছু বলতে চাননি। তাঁর দাবি দল অনেক বড় হয়েছে। বাজারে দলীয় পতাকাও কিনতে পাওয়া যায়। কেউ সেই পতাকা নিয়ে অন্যায় করে থাকলে দল তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেবে। বিজেপি অবশ্য কটাক্ষের এমন সুযোগকে হাতছাড়া করেনি। বিজেপির দাবি তৃনমূলের বিষ্ণুপুর শহর যুব সভাপতি নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে যা লিখেছেন তা আসলে দলের একাংশের প্রতি হুঁশিয়ারি নয়, বরং অন্তর্দ্বন্দে জর্জরিত তৃনমূল ওই পোস্টে তোলাবাজির কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।