बालुरघाट दिवस: डांगि गाँव को स्वतंत्रता संग्राम से जोड़ने की मांग उबल पड़ी

যথাযথ মর্যাদার সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনে পালন করা হলো বালুরঘাট দিবস। ১৪ তারিখ বালুরঘাট শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে ডাঙ্গি গ্রামে শহীদ বেদীতে মাল্যদান ও ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বালুরঘাট শহরে বিপ্লবীরা যে কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন সেই ঘটনাকে স্মরণ করে এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে জাতীয় আন্দোলনে বালুরঘাটের ভূমিকা কে তুলে ধরতেই প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয় প্রশাসনিকভাবে। অবশ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের পক্ষ থেকে ডাঙ্গী গ্রামকে ভারতছাড়ো আন্দোলনের নামের সাথে যুক্ত করার একটা দাবি তোলা হয়েছে। দাবি তোলা হয়েছে বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আবেক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার। উল্লেখ্য ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকা ভারতছাড়ো আন্দোলনের সারা দিয়ে বালুরঘাট ও আশপাশে বিপ্লবীরা আজকের দিনে বালুরঘাটে ব্রিটিশ পতাকা "ইউনিয়ন জ্যাক"নামিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন । ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রবিবার সেই দিনটির বিজয় গাথাকে স্মরণ করে সাড়ম্বরে পালিত হল ৮৩ তম বালুরঘাট দিবস। এই দিনের বালুরঘাট দিবসে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবার ও প্রশাসনিক শীর্ষ কর্তারা। উল্লেখ্য মহাত্মা গান্ধীর আহবানে সমস্ত দেশজুড়ে ৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল।সেই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটেও। ১৯৪২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরের রাতে স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজ রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ খুব গোপনে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিমঘাট থেকে নৌকায় এ পারে দক্ষিণ দিকের ডাঙিঘাটে সমবেত হয়।ইংরেজ শাসন অবসান করতে পরদিন সকালে বালুরঘাট অভিযান করে। বালুরঘাটের ট্রেজারি বিল্ডিং থেকে বৃটিশ পতাকা নামিয়ে ভারতের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। এছাড়াও বালুরঘাট আদালত ট্রেজারি বিল্ডিং ও প্রশাসনিক ভবন থেকে ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ খুলে ফেলে বিপ্লবীরা বালুরঘাট কে স্বাধীন ঘোষণা করে। একদিন বালুরঘাট ব্রিটিশ শাসনকালে স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করে। এর পরবর্তী সময়ে তৎকালীন মহকুমাশাসক পানাউল্লা বালুরঘাটবাসীর উপর চরম অত্যাচার শুরু করে দেয়। ১৪ই সেপ্টেম্বর যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা উপস্থিত ছিলেন তাদেরকে না পেয়ে বাড়ি ভাঙচূড় করবার পর প্রতিটি পরিবারের উপর মোটা টাকা জরিমানা ধার্য করে ব্রিটিশ সরকার। এই দিন ডাঙি এলাকায় প্রথম পর্যায়ের অনুষ্ঠান শেষে বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ ও স্বাধীনতার সংগ্রামের দের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা প্রশাসনিক ভবনের পুরনো ট্রেজারি বিল্ডিং এর সামনে অনুষ্ঠিত হয় বালুরঘাট দিবসের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান। এরপর সেখানে ৪২ এর স্মৃতিসৌধতে মাল্যদান করেন প্রশাসনের একাধিক কর্তাদের পাশাপাশি বালুরঘাটের বিশিষ্ট মানুষেরা। বাইট:- সুভাষ চাকি, উদযাপন কমিটির সদস্য 1409ZG_SDIN_CEREBRATION