धुपगुड़ी में पोस्टर बम: तीन साल बाद भी नगर पालिका चुनाव क्यों नहीं?

2C 1509ZG_JAL_DHUPGURI_R সামনেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। আর এরই মাঝে পোস্টার। চাঞ্চল্য জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি পুরএলাকায়। তোরা যে যা বলিস ভাই আমাদের,ধূপগুড়ি পৌর নির্বাচন চাই পাশাপাশি "আমার ওয়ার্ড কাউন্সিলর চাই, একবার ভোটে জিতে ৮ বছর ক্ষমতায়। হায় গণতন্ত্র। অবিলম্বে পৌর নির্বাচন চাই। এভাবেই পুর ভোটের দাবিতে ধুপগুড়ি শহর জুড়ে পোস্টার পড়লো। ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করল নাগরিক মঞ্চ।পুরসভা ভোটের দাবিতে ধূপগুড়ি শহর জুড়ে পোস্টারিং করল মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। ধূপগুড়ি পুরসভা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তিন বছর।২০২২ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর এই পুরসভার দায়িত্ব নেয় পুর প্রশাসনিক মন্ডলী।বিগত তিনবছর থেকে পুর প্রশাসনিক মন্ডলী সমস্ত রকম কাজ পরিচালনা করছে। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে কাউন্সিলর নেই কাজেই নির্বাচন হওয়াটা খুব দরকার।কবে ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচন হবে এই নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে কিছুই জানা যায়নি।তবে নির্বাচনের দাবিতে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন।রবিবার পুর প্রশাসক বোর্ডের তিনবছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সকাল থেকে নির্বাচনের দাবিতে শহর জুড়ে পোস্টার পড়লো ধুপগুড়ি তে। পোস্টার লাগায় ধুপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কেন তিনবছর নির্বাচন না করে শুধুমাত্র পুর প্রশাসনিক মন্ডলের হাতে থাকবে পুরসভার দায়িত্ব।আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাই দ্রুত পুরসভার নির্বাচন হোক।নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন নির্বাচন মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার।কিন্ত তিনবছর ধরে নির্বাচন করা হচ্ছে না।কি কারণে নির্বাচন বন্ধ তার কোনো সূদত্তর আমরা পাইনি।দীর্ঘদিন ধরে মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।এটা কখনো চলতে পারে না। শহর জুড়ে মহকুমা নাগরিক মঞ্চের পোস্টারিং ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অবাধ গণতন্ত্র। এখানে মানুষকে বলবার সুযোগ দেয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যের মতো পুলিশের বাড়ি দেয় না, আন্দোলনকারীদের। ধুপগুড়ি পৌরসভা ভোট করতে সর্বদা প্রস্তুত। এটা পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলে জানান ধুপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং। পুরো ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শ্যাম প্রসাদ বলেন, ধুপগুড়ি পৌর নির্বাচন সময় অতিক্রান্ত হওয়ার তিন বছর পার হয়ে গেলেও নির্বাচন হচ্ছে না। কারণ তৃণমূলের কাছে খবর রয়েছে যে ধুপগুড়ি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। ধুপগুড়িতে যদি পৌর নির্বাচন হয় তাহলে তারা পরাজিত হবে তাই ভয়ে নির্বাচন থেকে বিরত রয়েছে। এটাও জানা দরকার যেদিন ধুপগুড়ি পর নির্বাচন হবে সেদিন থেকে তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বাজবে বলে তীব্র কটাক্ষ করেন। রিপোর্ট :- প্রদ্যুত দাস ক্যামেরা:- সুবোধ রায় ( ধুপগুড়ি, জলপাইগুড়ি )