Back
असहाय मां भगवती गड़ाई की फरियाद, कब मिलेगा मदद का सहारा
PCPartha Chowdhury
Sept 23, 2025 09:45:39
Bardhaman, West Bengal
গোটা বাংলা এখন সেলিব্রেশনের মুডে। সারা বছরের প্রতীক্ষার পরে আনন্দময়ী মা আসছেন।
আর ঠিক এই সময়ে রাঢজননী সর্বমঙ্গলা মন্দিরের এককোণে বসে ভিক্ষা করছেন ভগবতী। ভগবতী এক অশীতিপর মা। অসুস্থ, অকেজো একমাত্র ছেলের মুখে দুটো ভাত তুলে দিতে এই ক্লেশযাপন করছেন মা।
একবছর আগেও বাসন মাজতেন। খেটে খেতে আর পারছেন না। তাই এই ভিক্ষাবৃত্তি।
তবু রোজ নিজেরও আর ভাত জোটে না। কারণ ভিখিরি সমাজে তিনি নতুন। তাই তার নিয়মকানুন জানেন না। তাই মন্দিরের এককোণে তিনি বসে থাকছেন প্রতিদিন। এই উৎসবমুখর সময়ে যদি আরো মন গলে তার দু:খ শুনে।এই ব্যস্ত সময়ে এই জেটযুগে কেউ বা কার দু:খ গোনে।
এদিকে গতকালই মহাসমারোহে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে শুরু হয়ে শারদোৎসব। প্রতিপদে মাকে রাজবেশ পরানো হয়েছে। ঘোড়ার গাড়ি করে ঘটোত্তলন করা হয়েছে। ছিলেন জেলাশাসক, বিধায়ক,মহকুমাশাসক থেকে প্রশাসনের বড়কর্তারা। গোটা বর্ধমানের মত এই মন্দিরেও বিধায়কের অসীম প্রভাব। তবু সবার নজর এড়িয়ে গেছে এই ধাক্কা দেবার মত ঘটনাটা।
প্রিয় দর্শক, এই ধাক্কা আমরা আপনাকে দিতে চাইনি। কিন্তু আমরা বাঙালি। মাতৃপুজা করি। তাই আসুন শুনে নিই, এক মায়ের মর্মবেদনা। এই ভরা উৎসবের অন্তরালে দারুন মর্মব্যথা। জেনে নিই এই ভগবতীর বায়ো ডাটা।
ভগবতী গড়াই।
আদি বাড়ি শোলা শিল্পের জন্য বিখ্যাত বনকাপাসির কাছে যজ্ঞেশ্বরডিহি গ্রামে।
ভিক্ষে করে খাবার মত পরিবার তার নয়।
স্বামী মৃত্যুঞ্জয় গড়াই ছিলেন ছোট চাষী।
কিছু জমি জায়গা ছিল।
অলস মানুষ ছিলেন। তাই সব কিছু একসময় বিক্রি হয়ে যায়।দুই ছেলেকে নিয়ে অকুল পাথারে তখন ভগবতী।
আটাত্তরের বন্যায় ভাসতে ভাসতে বর্ধমান শহরে আশ্রয় নেন তিনি। বাড়িভাড়া বাকি পড়ে।
এর মধ্যে বড় ছেলে টিউমার হয়ে ভুগে মারা যায়। ভাল চিকিৎসা হয়নি অভাবে।
কাঞ্চননগরে তার স্ত্রী আর ছেলে মেয়ে থাকে। ছোট ছেলেক নিয়ে ভগবতী থাকেন একজনের দয়ায় বাড়ির উপান্তে।
মেয়ের বিয়ে হয়েছে ভাতছালা পাড়ায়।তারাও দিন আনে, দিন খায়।
ছোট ছেলে বোহেমিয়ান। নাম রমেশ গড়াই।
কিছু কাজ করে না। অল্পসল্প মদ খেত।
এখন বয়স ৩৫ বছর।
দুর্ভাগা একা আসে না। এর মধ্যে ভয়ংকর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছেন সেই ছোট ছেলে।
১৮ দিন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। অভাবে চিকিৎসা তেমন করাতে পারেন নি অসহায় মা।এখন তাকেই বাঁচাতে চান।
কাউকে কাউকে দু:খের কথা বলেন ভগবতী। শোনে না কেউ।
জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি দেবু টুডু, জি ২৪ ঘন্টার প্রতিনিধিদের কাছে একথা শুনে জানান, যখন মা আসছেন, তখন এটা খুব দু:খের। দেবু টুডু শিল্পী মানুষ। জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করবেন।।
ভগবতীর দু:খতো অসীম।
গ্রামের পোড়ো বাড়ি একসময় মাটিতে মিশে যায়।
বর্ধমানে ৭৮ এর বন্যার সময় চলে আসা ভগবতী তাই লোকের বাড়ির এককোণে ঠাঁই পান। বাসন মেজে খেতেন। বয়স হয়েছে। তাই আর কাজ পান না।
এখন তাই ভিক্ষে করে খান। ছেলে তার মুখের দিকে চেয়ে আছে।
নিজের ভাত জুটুক বা না জুটুক ছেলের ভাত ফোটান অশক্ত মা। ফোটানোর আগে জোটানোর পালা।
এদিকে মন্দিরের রয়েছে শতাধিক পুরনো ভিখিরি। তাদের নিয়মকানুন জানেন না। তাই ভাগ পান না গড় ভিক্ষার। সেজন্যই এককোণে বসে ভগবতী ।
ভেক না ধরলে ভিক্ষে মেলে না। ভগবতী ভিক্ষের ঝুলি নেই,বাটিও নেই।
সম্বল রুগ্ন,অশক্ত হাত।
তাই বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্য চাইছেন তিনি।
কোনো হাত কি এগিয়ে আসবে?
বাইট : ১) ভগবতী গড়াই( অসহায় মা)
২) কৌশিক সিনহা( নাগরিক)
৩)মাণিক পাল ( মন্দিরের ভক্ত)
৪) দেবু টুডু ( প্রাক্তন সভাধিপতি)
৪) ওয়াক থ্রু।
সদন সিনহার সঙ্গে পার্থ চৌধুরী।
2309ZG_BWN_MAA1
0
Report
For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com
Advertisement
ANArnabangshu Neogi
FollowSept 23, 2025 09:46:48Kolkata, West Bengal:*দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজ বিচারভবনে কোনও মামলা না করার সিদ্ধান্ত আইনজীবীদের।*
*এজলাসে বসেননি বিচারক।*
*আগামীকাল দুপুর 2টো র সময় চন্দ্রনাথের অর্ডার দেবেন বিচারক*
0
Report
BBBimal Basu
FollowSept 23, 2025 09:46:400
Report
NRNarayan Roy
FollowSept 23, 2025 09:46:260
Report
ALArup Laha
FollowSept 23, 2025 09:46:020
Report
ABArup Basak
FollowSept 23, 2025 09:45:240
Report
CDChampak Dutta
FollowSept 23, 2025 09:45:120
Report
BBBimal Basu
FollowSept 23, 2025 08:50:260
Report
BMBiswajit Mitra
FollowSept 23, 2025 08:50:010
Report
PDPradyut Das
FollowSept 23, 2025 08:49:251
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowSept 23, 2025 08:49:070
Report
SRSanjoy Rajbanshi
FollowSept 23, 2025 08:36:351
Report
AMAshok Manna
FollowSept 23, 2025 08:36:222
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowSept 23, 2025 08:35:492
Report
ANArnabangshu Neogi
FollowSept 23, 2025 08:35:382
Report