Back
नये आईएसआई बिल पर घमासान: विज्ञान और लोकतंत्र बचाने की मांग तेज
SPSANDIP PRAMANIK
Dec 14, 2025 13:50:32
Kolkata, West Bengal
TVU 88. নয়া আইএসআই বিল বাতিল কর
Global excellence এর পীঠস্থান আইএসআই, প্রফেসর প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশের আইএসআই, দ্বিতীয় প্ল্যানিং কমিশনের ভিত্তিভূমি আইএসআই, রবীন্দ্রনাথের জন গণ মন অধিনায়ক যে বাড়িতে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব আসে সেই আই এস আই, জে বি এস হ্যাল্ডেনের মত বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের পূণ্যভূমি আই এস আই, ভারতকে দুনিয়ার দরবারে চিনিয়েছেন যারা তাদের মধ্যে অন্যতম এই সংস্থা আইএসআই-কে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। জ্ঞান বিজ্ঞান의 প্রতিটি কেন্দ্র, বিশেষত বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণাগার বিজেপি আরএসএস এর চক্ষুশূল। উপরন্তু এই সংস্থার উপর তাদের জাত ক্রোধের অন্যতম কারণ পরিসংখ্যান চর্চা। দারিদ্র্য সীমা নিয়ে মোদী বাবু কারসাজি করলে আইএসআই র বিজ্ঞানীরা আপত্তি তোলেন। আইএসআই এর population studies এর গবেষণা অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দেয়। যে AI নিয়ে আজ এত চর্চা তা নিয়ে অর্ধশতক আগেই আইএসআই গবেষণা শুরু করে। Heredity and evolution অধ্যায় থেকে evolution শব্দ বাদ দিলে আইএসআই এর human genetics, anthropology আর sociology বিভাগ আপত্তি তুলবে। তার উপর জহরলাল নেহরুর দূরদর্শিতার ফলে কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থা হলেও আইএসআই আজও রাজ্য সরকারের সোসিটি আইনের অধীন। ফলে রাজ্য সরকারকে লুকিয়ে আইএসআই এর জমি জায়গা সম্পত্তি ইচ্ছামত লুটপাট চালানো মুশকিল বিজেপির পক্ষে। তাই আইএসআই ধ্বংস করতে বিজেপি নয়া বিল এনেছে, নেহरুর ১৯৫৯ সালের আইন বাতিল করে যে বিলকে ওরা আইন বানাতে চায়।
আইএসআই এর আর একটা বড় সমস্যা হল এর অন্তর্নিহিত গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামো। এই সংস্থা পরিচালিত হয় গবেষক, কর্মী, অধ্যাপকদের দ্বারা নির্বাচিত পরিচালক মন্ডলীর মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মেনে, সরকারকে জবাবদিহি অবশ্যই করে এই সংস্থা, কিন্তু সরকারের প্রতিনিধিদের নির্দেশ এই নির্বাচিত সংস্থার মাধ্যমে নেমে আসে। জো হুজুরি ব্যবস্থা নেই এখানে। এমনকি চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত করারও বিধান আছে ব্যবস্থাপনায়। সবচেয়ে বড় কথা এই পরিচালন কমিটিতে যারা ভূমিকা রাখেন তারা এ কাজের জন্য কোনো বিশেষ ভাতা পান না, ফলে তাদের কিনে নেওয়াও মুশকিল।
নয়া আইএসআই বিল বাতিল করো
ভারতীয় বিজ্ঞান ও গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত
Global excellence-এর পীঠস্থান ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই)—প্রফেসর প্রশান্তচন্দ্র মহালনবিশের হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান শুধু একটি গবেষণাগার নয়, আধুনিক ভারতের জ্ঞানচর্চার অন্যতম ভিত্তি। দ্বিতীয় প্ল্যানিং কমিশনের বৌদ্ধিক ভিত গড়ে উঠেছিল এই আইএসআই থেকেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “জন গণ মন” যে বাড়িতে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব পায়, সেই ঐতিহাসিক স্থানও আইএসআই।
জে. বি. এস. হ্যাল্ডেনের মতো বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের পদচারণায় ধন্য এই প্রতিষ্ঠান। ভারতকে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-দরবারে পরিচিত করার ক্ষেত্রে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁকদের অন্যতম কর্মক্ষেত্র ছিল আইএসআই।
আজ সেই আইএসআই-কে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার।
বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চার প্রতিটি স্বাধীন কেন্দ্র—বিশেষত মৌলিক গবেষণাগার—বিজেপি-আরএসএসের চক্ষুশূল। তার ওপর আইএসআই-এর বিরুদ্ধে এই শাসকগোষ্ঠীর বিশেষ ক্রোধের অন্যতম কারণ পরিসংখ্যান চর্চা।
দারিদ্র্যসীমা নিয়ে মোদী সরকারের কারসাজিতে যখন আইএসআই-এর বিজ্ঞানীরা আপত্তি তোলেন, তখনই শুরু হয় আক্রমণ।
আইএসআই-এর Population Studies বিভাগের গবেষণা বিজেপির অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দেয়।
আজ যে Artificial Intelligence (AI) নিয়ে এত মাতামাতি, তা নিয়ে আইএসআই অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় আগে গবেষণা শুরু করেছিল।
পাঠ্যক্রম থেকে যদি Heredity and Evolution অধ্যায় থেকে “Evolution” শব্দ বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়, তবে আইএসআই-এর Human Genetics, Anthropology ও Sociology বিভাগ যে প্রতিবাদে মুখর হবে, তা অনিবার্য।
জওহরলাল নেহরুর দূরদৃষ্টিতার ফলে কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থা হয়েও আইএসআই আজও রাজ্য সরকারের Society Act-এর অধীন। এর ফলে রাজ্য সরকারকে পাশ কাটিয়ে আইএসআই-এর জমি, সম্পত্তি ও পরিকাঠামো ইচ্ছেমতো লুটপাট চালানো বিজেপির পক্ষে সহজ নয়।
এই কারণেই আইএসআই ধ্বংসের উদ্দেশ্যে বিজেপি এনেছে নয়া আইএসআই বিল, যাতে ১৯৫৯ সালের নেহরু প্রণীত আইন বাতিল করে কেন্দ্রের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা যায়।
আইএসআই-এর আরেকটি “অপরাধ” হলো এর অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা।
এই প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় গবেষক, অধ্যাপক ও কর্মীদের দ্বারা নির্বাচিত পরিচালন পর্ষদের মাধ্যমে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জবাবদিহি থাকলেও, এখানে কোনো “জো হুজুরি” ব্যবস্থা নেই। এমনকি চেয়ারম্যান নির্বাচনেরও বিধান রয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—এই পরিচালন কমিটির সদস্যরা কোনো অতিরিক্ত ভাতা পান না। ফলে তাদের কিনে নেওয়াও সহজ নয়।
এই গণতন্ত্র, এই স্বাধীনতা, এই বিজ্ঞানমনস্কতাই আজ শাসকের চোখে সবচেয়ে বড় শত্রু।
তাই স্পষ্ট দাবি—
নয়া আইএসআই বিল বাতিল করো।
আইএসআই বাঁচাও।
বিজ্ঞান বাঁচাও।
গণতন্ত্র বাঁচাও।
0
Report
For breaking news and live news updates, like us on Facebook or follow us on Twitter and YouTube . Read more on Latest News on Pinewz.com
Advertisement
TCTathagata Chakraborty
FollowDec 14, 2025 19:01:410
Report
EGE GOPI
FollowDec 14, 2025 19:00:460
Report
BSBidhan Sarkar
FollowDec 14, 2025 18:16:130
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowDec 14, 2025 17:46:120
Report
RDRaktima das
FollowDec 14, 2025 17:02:240
Report
RDRaktima das
FollowDec 14, 2025 17:02:130
Report
DGDebabrata Ghosh
FollowDec 14, 2025 17:02:04Howrah, West Bengal:বিধাননগর দক্ষিণ থানায় কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এলেন।পুলিশ হেফাজতে এই থানাতেই আছেন শতদ্রু দত্ত।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
0
Report
SCSaurav Chaudhuri
FollowDec 14, 2025 17:01:460
Report
KAKAYESH ANSARI
FollowDec 14, 2025 17:01:310
Report
BSBidhan Sarkar
FollowDec 14, 2025 17:01:140
Report
TCTathagata Chakraborty
FollowDec 14, 2025 17:01:000
Report
SRSanjoy Rajbanshi
FollowDec 14, 2025 14:31:020
Report
SBSoumen Bhattachrya
FollowDec 14, 2025 14:30:490
Report
NHNantu Hazra
FollowDec 14, 2025 14:16:110
Report
SPSANDIP PRAMANIK
FollowDec 14, 2025 14:04:24Kolkata, West Bengal:গতকাল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঘটনার বিরোধিতা করে আজ বেহালায় ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের দাবি নিয়ে সিপিএমের মিছিল। মিছিল শুরু হয় বেহালা চৌরাস্তা থেকে শেষ হয় শিলপাড়া তে।
0
Report